বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫


ত্বকের জৌলুসের জন্য কোলাজেন খুব জরুরি।

কোলাজেন এক ধরনের প্রোটিন। আমাদের ত্বকের গঠন ঠিক রাখতে, কোমলতা ও স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে কোলাজেন নামের এই প্রোটিন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বছর এই কোলাজেন তৈরির পরিমাণ কমতে থাকে। এই কারণে ত্বক কুঁচকে যায়। বয়সের আগেই যেন বয়স বৃদ্ধির ছাপ বোঝা যায়।

কোলাজেন উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে বার্ধক্য আসে। যার ফলে বলিরেখা, সূক্ষ্ম রেখা এবং ত্বক ঝুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। ২৫ বছর বয়সের পরে, আমাদের শরীরের কোলাজেনের প্রাকৃতিক উৎপাদন বার্ষিক এক শতাংশ হারে হ্রাস পায়। ত্বকের যত্ন নিতে ত্বকের বার্ধক্যের ছাপ কম আসার জন্য বিভিন্ন ক্রিম আমরা ব্যবহার করি। সেই সঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল কোলাজেনযুক্ত খাবার খাওয়া। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো সরাসরি ত্বকে কোলাজেনের গঠন বাড়াতে পারে।
 

কোলাজেন ঠিক রাখতে পাতে কী কী রাখবেন?

 

ভিটামিন-সি যুক্ত ফল

● কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন-সি। কোলাজেন গঠনের জন্য এই ভিটামিন খুব জরুরি। আর ভিটামিন-সি যুক্ত অনেক ফল আছে, যেমন কমলা, আঙুর, লেবু ও টক জাতীয় বিভিন্ন ফল। পেয়ারাতে আছে জিংক, যা কোলাজেন তৈরির জন্য অণুঘটক হিসেবে কাজ করে। লেবুর মতো ফলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। শরীরের কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন-সি অপরিহার্য। কারণ এটি একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ফ্রি র্যা ডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই ফ্রি র্যা ডিক্যাল ত্বকের কোষের ক্ষতি করে। তাই এ ধরনের ফল নিয়মিত খেলে তা ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

আরও পড়ুন:

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৫০: রোজই দেখি আলাস্কা পর্বতশৃঙ্গের বাঁ দিকের চূড়া থেকে সূর্য উঠতে

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০৬: ভারতীয় পারিবারিক জীবনে স্নেহময় জ্যেষ্ঠর ভূমিকায় রামচন্দ্র কতটা আকর্ষণীয়?

 

হাড়ের ঝোল

● কোলাজেনের অন্যতম খাদ্য উৎস হল হাড়ের ঝোল। এটি তৈরি করতে, কোলাজেন ভেঙে ফেলার জন্য প্রাণীর হাড় এবং সংযোগকারী টিস্যু কয়েক ঘণ্টা ধরে সিদ্ধ করা হয়। হাড়ের ঝোল সংযোগকারী টিস্যু এবং হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত হওয়ায় এটি অ্যামাইনো অ্যাসিড, কোলাজেন ইত্যাদি গঠনে সাহায্য করে।
 

মাছ

● মাছের কাঁটা ও লিগামেন্ট কোলাজেন দিয়ে তৈরি। তাই মাছে থাকা এই কোলাজেন ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং টানটান ভাব ধরে রাখতে ভালো কাজ করে। এ জন্যই যেসব অঞ্চলের মানুষেরা মাছ খান, তাদের ত্বক সহজে বুড়িয়ে যায় না।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৪: রবীন্দ্রনাথের ‘মুকুট’ ত্রিপুরার ইতিহাসাশ্রিত গল্প

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৯: সে এক স্বপ্নের ‘চাওয়া পাওয়া’

 

চিংড়ি

● চিংড়িতেও কোলাজেন থাকে। পাশাপাশি যাঁরা মাংস, শুয়োরের মাংস বা মুরগির মাংস খান না তাঁদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
 

ডিমের সাদা অংশ

● ডিমের মধ্যে সেভাবে কানেক্টিভ টিস্যু থাকে না। তবুও ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোলিন নামের এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন হয়।
 

বেরি জাতীয় ফল

● স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি বা ব্লুবেরির মতো বেরি জাতীয় ফলগুলো আপনার ত্বকের জন্য কোলাজেন সমৃদ্ধ সুস্বাদু খাবারের উৎস হতে পারে। এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রতিরক্ষায় সহায়তা করে।

আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯২: দুর্গা টুনটুনি

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০৭: লুকাবো বলি, লুকাবো কোথায়?

 

ব্রকলি

● আপনার খাবারে আরও ভিটামিন সি যোগ করার জন্য ব্রকলি একটি সুস্বাদু এবং সহজ সবজি হতে পারে। রান্না করা বা কাঁচা এক কাপ ব্রকলিতে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ভিটামিন-সি থাকে। ভিটামিন-সি কোলাজেন গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
 

রসুন

● খাবারের স্বাদ বাড়াতে রসুন ব্যবহার করা হয়। আর এই রসুনই কোলাজেন প্রোডাকশনের জন্য বুস্টার হিসেবে কাজ করে। রসুনে আছে প্রচুর পরিমাণে সালফার। এটি কোলাজেন সমন্বয় করতে ও ভেঙে যাওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। সারাদিনে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন যথেষ্ট।

আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৮: সকালবেলাই হাঁটতে হবে?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৯o: মা সারদার কথায় ‘ঈশ্বর হলেন বালকস্বভাব’

 

টম্যাটো

● ভিটামিন সিয়ের আরও একটি উৎস হচ্ছে টম্যাটো। কোলাজেন গঠনের জন্য এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান আছে। এতে পর্যাপ্ত মাত্রায় লাইকোপেন আছে, যা ত্বকের সুরক্ষায় শক্তিশালী ভূমিকা রাখ।
 

ক্যাপসিকাম

● ভিটামিন-সি এবং ক্যাপসাইসিন নামের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে ভরপুর ক্যাপসিকাম। এটি কোলাজেন কমে যাওয়া রুখে দেয় ও ত্বকের ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।
 

কাজু বাদাম

● আপনি যদি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস মিক্স বানাতে চান, তাহলে অবশ্যই এতে কাজুবাদাম রাখবেন। এতে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও কপার আছে, যা শরীরের কোলাজেন বাড়ানোর জন্য খুব ভালো কাজ করে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content