ছবি প্রতীকী।
১৯৮৪ সালের ৩ এপ্রিল। রাশিয়ার মহাকাশযানে মহাশূন্যে পাড়ি দিয়েছিলেন ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা। রাকেশই ছিলেন প্রথম ভারতীয় নভশ্চর। ৩৪ বছর পর ভারত আবার নজির গড়ার পথে এগিয়ে চলেছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো ঘোষণা করেছে, দেশে তৈরি মহাকাশযানে দেশের মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর কথা। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘গগনযান মিশন’।
মহাকাশযান পাঠানোই নয়, মহাকাশচারী কল্পনা চাওলার মর্মান্তিক পরিণতির কথা মাথায় রেখে মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে কী ভাবে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হবে, সেই ব্যবস্থাও ইসরো সেরে ফেলেছে। এমনটাই জানিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে ভারতীয় মহাকাশচারীদের বাঁচাতে ইসরো ভরসা রাখছে দেশে তৈরি ক্রু এস্কেপ সিস্টেম (সিইএস)-এর উপর। মহাকাশে আচমকা জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে এই প্রযুক্তিই মহাকাশযাত্রীদের বাঁচাবে বলে ইসরোর দাবি। ইসরো তরফে জানানো হয়েছে মে মাসে এই প্রযুক্তি ‘বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার’-এ পরীক্ষা করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন:
‘ফাঁসির পরিবর্তে কম যন্ত্রণাদায়ক এবং মর্যাদাপূর্ণ বিকল্প খুঁজুক কেন্দ্র’! নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
যা-ই খাচ্ছেন, তাতেই পেট জ্বালা করছে? রোজ কোন কোন খাবার পাতে রাখলে সমস্যা কমবে
‘ক্রু এস্কেপ সিস্টেম’ (সিইএস) কী? আসলে এই প্রযুক্তি হল ফাইটার জেটের চালক আসনের মতো কাজ করে থাকে। যেকোনও রকম জরুরি পরিস্থিতিতে জন চালক জেট থেকে ওই আসন সমেত বাইরে আসতে সক্ষম হবেন। সিইএস প্রযুক্তিতে আসনে থাকা প্যারাসুটের সাহায্যে মহাকাশযাত্রীরা নিরাপদে মাটিতে অবতরণ করতে পারেন। তবে ‘ক্রু এস্কেপ সিস্টেম’ জেট বিমানের প্রযুক্তির থেকেও অনেক উন্নত ও স্বয়ংক্রিয়। ‘ক্রু এস্কেপ সিস্টেম’ সিস্টেমে মহাকাশচারীরা রকেটে একটি প্রকোষ্ঠের মধ্যে থাকবেন।
আরও পড়ুন:
পর্দার আড়ালে, পর্ব-২৮: সপ্তপদী: মূল কাহিনিতে দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী পুরুষ ও নারীর ভালোবাসার মধ্যে মিলন রাখেননি তারাশঙ্কর
চলো যাই ঘুরে আসি: অযোধ্যা— ইতিহাস ও জনশ্রুতি /২
কম্পিউটারে কোনও বিপদ এলেই মহাকাশচারীদের নিয়ে মূল যানটি থেকে আলাদা হয়ে যাবে ওই প্রকোষ্ঠটি। সেক্ষেত্রে মহাকাশচারীদের নিয়ে প্যারাস্যুটের সাহায্যে সমুদ্রে নিরাপদে অবতরণ করবে। যে কোনও উচ্চতায় ‘ক্রু এস্কেপ সিস্টেম’ (সিইএস) যাতে নিখুঁত ভাবে কাজ করে সে ব্যাপারে নজর রাখা হয়েছে।