বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


নতুন বাড়ি বসুন্ধরা ভিলার অন্দরমহল।

স্বর্ণ ঠিকুজি-কুষ্ঠিতে বিশ্বাসী। আবার এই ভাগ্যগণনা এ পরিবারে ভয়ানক বিপদ ডেকে এনেছিল। তাই বিনয়কান্তি ওসব বিশ্বাস করে না। বসুন্ধরা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝে দোদুল্যমান। কৃষ্ণসুন্দরের মৃত্যু হুবহু মিলেছিল। কিন্তু শ্যামসুন্দরের দেশান্তরি হওয়া সংসার জীবন না করতে পারা বা ১৯ বছর যোগাযোগ ছিন্ন থেকেও দেখা যখন হল মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি চলে গেলেন। কই এসব তো জ্যোতিষী কিছু বলেননি! যাঁর হাত দেখছেন তার জীবনের ইঙ্গিতটা তো তিনিই দেবেন। কিন্তু বিনয়ের পায়ে পায়ে এগিয়ে চলা। গুহবাবুদের হিসেব লেখার কাজ থেকে আজকের এই সাফল্য। তার ইঙ্গিত তো সেই জ্যোতিষীই দিয়েছিলেন। বসুন্ধরা ভাবতে পারে না। মা দুর্গা সমস্ত সংসারকে আগলে রাখুক সকলকে সুস্থ রাখুক এটুকুই তাঁর কামনা।

বসুন্ধরা ভিলার অলস দুপুরগুলোতে শান্তিলতার একা একা অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে তাদের দাম্পত্যের কথা। বিয়ের আগে প্রবোধ বসুন্ধরা ভিলায় আসেনি। অদ্ভুতভাবে প্রবোধের বাড়ির গুরুজনেরাও আসেননি। শান্তিলতার ছবি দেখেই ওঁরা পছন্দ করেছিলেন। বিয়ের ব্যাপারে যা কথাবার্তা বলার সবই বিনয়কান্তির অফিসে হয়েছে। সারাদিন বিনয়কান্তি নানান কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকতেন। তাই প্রবোধের মা-বাবাকে গাড়ি পাঠিয়ে অফিসের গেস্টরুমে নিয়ে এসে কথা বলতেন। তিনি যে প্রবোধকে একজন পরিশ্রমী যুবক হিসেবে পছন্দ করেন আর তাই তারই হাতে নিজের মেয়েকে তুলে দিতে চান একথা বিনয়কান্তি প্রবোধের মা-বাবাকে বারবার বলতেন। বিয়েটা হল। মধুচন্দ্রিমা হল দার্জিলিংয়ে। চেতলার মধ্যবিত্ত পরিবারে নিজেকে মানিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগল শান্তিলতা। এক বছরের মাথায় প্রথম সন্তান। সন্তান-সম্ভাবনা জানার পর থেকেই ঠাম্মি বসুন্ধরার ইচ্ছেয় শান্তিলতা বসুন্ধরা ভিলায় থাকতে শুরু করল।
শান্তিলতা আশা করেছিল সন্তানের টানে স্বামী হয়ত ঘনঘন আসবে। কিন্তু প্রবোধ আসত কখনও-সখনও। রাত কাটাত না বসুন্ধরা ভিলায়। তখনই শান্তিলতার মনে হতে থাকে। বসুন্ধরা ভিলার ঐশ্বর্য, এর বৈভব প্রবোধ পছন্দ করে না। তার কথাবার্তা শুনে মনে হতো প্রবোধ মনে মনে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে নিতান্ত মধ্যবিত্ত বলেই উদ্যোগপতি বিনয়কান্তি দত্ত দয়া করে তাঁর মেয়ের সঙ্গে প্রবোধের বিয়ে দিয়েছেন। শান্তিলতা প্রবোধকে কিছুতেই বোঝাতে পারেনি যে তার বাবা বিনয়কান্তি দত্ত পথ থেকে নিজের উদ্যোগে উদ্যমে আত্মবিশ্বাসেই তাঁর প্রাসাদ, তাঁর এই সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন। সাধারণ মানুষের সংগ্রামকে তিনি শ্রদ্ধা করেন। অশান্তি এড়াতে সৌরভকে নিয়ে চেতলার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে গেল শান্তিলতা।

শান্তিলতা চায়নি। তবু সৌরভের জন্মের আটবছর পর সে আবার সন্তানসম্ভবা হল। বাইরের লোকজন এটাকেই সুখে ঘর সংসার করা বলবে কারণ মনের অসুখ দেখা যায় না। সৌরভের জন্মের আগে মা বা ঠাম্মি জোর করলেও শান্তিলতা বসুন্ধরা ভিলায় যায়নি। পুজোআচ্চা বা বিয়েবাড়ি উপলক্ষে স্বামীর সঙ্গে গিয়েছে আবার স্বামীর সঙ্গে ফিরে এসেছে চেতলার শ্বশুরবাড়িতে।
আরও পড়ুন:

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব-৪৬: বসুন্ধরা এবং…

নাভিতে নিয়মিত তেল মালিশ করেন? জানেন এতে কী লাভ হয়

ভিটামিন ডি তৈরির জন্য রোদে কত ক্ষণ থাকতে হবে? গায়ের রঙের উপর তা নির্ভর করে, জানতেন?

বিয়ের পরে পরেই বিনয় একবার বলেছিল প্রবোধকে সে একটা গাড়ি উপহার দিতে চায়। প্রবোধ জানিয়েছিল যে তাদের বাড়িতে গ্যারেজ নেই। এই প্রত্যাখ্যানে বিনয় কিছু মনে করেনি উল্টে সে খুশি হয়েছিল। তার মনে পড়ে গিয়েছিল বহু বছর আগে আনন্দমোহন যখন গাড়ি পাঠিয়ে তার মাকে গ্রে স্ট্রিট থেকে তাঁদের বরানগরের বাড়িতে নিয়ে যাবার কথা বলেছিলেন তখন বিনয়কান্তিও সবিনয়ে স্বর্ণ’র বাবাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। এই সব টুকরো টুকরো ঘটনায় প্রবোধ সম্বন্ধে আরও বড় ধারণা হচ্ছিল। অথচ শান্তিলতা বুঝতে পারছিল। ভেতরে ভেতরে প্রবোধ অস্থির হয়ে উঠছে। সদাগরি আপিসের মাস-মাইনেতে তার মন তুষ্ট নয়। হঠাৎ কিছু একটা মিরাকল করতে চায়। কিন্তু বুনোহাঁস-এর পেছনে দৌড়লেই সে হাঁস ধরা যায় না। পরিশ্রমে মানুষ ক্লান্ত হয়। অক্ষমতার ক্ষোভে ফেটে পড়তে চায় মানুষের মন। প্রবোধের ক্ষেত্রেও তাই হল। অলীক স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে নিজের প্রাণটা খোয়াল। শান্তিলতা চায় না নিজের বাবার আশ্রয়ে ছেলেদের নিয়ে বেঁচে থাকতে। সে নিজের যোগ্যতায় একটা চাকরি করে ছেলেদের মানুষ করতে চায়। কিন্তু চাইলেই তো বাস্তবে সেটা সম্ভব হয় না। দুই ছেলেকে বড় করতে গেলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। সেই অর্থের জন্য তাকে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়েও বসুন্ধরা ভিলার ওপর নির্ভরশীল হতেই হবে।
আরও পড়ুন:

ছোটদের যত্নে: আপনার সন্তান কি প্রায়ই কাঁদে? শিশুর কান্না থামানোর সহজ উপায় বলে দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু

মনের আয়না: নেতিবাচক ভাবনা সরিয়ে সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করুন, ফিরবে হৃত যৌনজীবন

ষাট পেরিয়ে: পর্ব-১৫: এখন থেকেই যত্ন নিন কিডনির, গুরুত্ব দিন এ সব বিষয়ে

বসুন্ধরা যেন নিজের জীবনের প্রতিচ্ছবি আবার দেখতে পাচ্ছে। তফাৎ শুধু এইটুকু বসুন্ধরার স্বামী দেশান্তরি হয়েছিল তাঁর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। শান্তিলতার স্বামী চিরদিনের মতো পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। বিনয়কে ডেকে বসুন্ধরা আলাদা করে বলে ‘ শান্তির নামে একটা আলাদা করে ব্যবসা বা কিছু করে দে যাতে সে কিছুটা রোজগার করতে পারে। দেখিস তার আত্মসম্মানে যেন কোনওদিন ঘা না লাগে। কোটালিপাড়ার বাড়িতে বাবা থাকতেও ভায়েদের সংসারে বারোটা বছর আমি নিজে এই যন্ত্রণা সহ্য করেছি, আমি চাই না শান্তিলতা একই কষ্টে গুমরে মরুক।’
আরও পড়ুন:

সাই পল্লবী ‘রামায়ণ’-এ সীতা হয়ে বলিউডে পা রাখছেন? পর্দা ভাগ করতে দেখা যাবে হৃতিক, রাম চরণ, প্রভাসকে?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১২: সে এক ‘বউঠাকুরাণীর হাট’ [১০/০৭/১৯৫৩]

সপ্তাহান্তে শরীরচর্চা? ভাবছেন এতে আদৌ লাভ হবে কি না?

অনেক ভেবেচিন্তে তারকবাবুর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক হল বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানিস – তাদের নতুন ব্যবসা শুরু করবে—’বসুন্ধরা ফ্যাশন’। এই ব্যবসায় তিনজন ডিরেক্টর— শান্তিলতা, বিকাশকান্তি আর স্বর্ণময়ী। শো রুম অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্রমোশন এ সব বসুন্ধরা গ্রুপ দেখবে। বসুন্ধরা ফ্যাশনকে তিনবছর পর বসুন্ধরা গ্রুপকে মুনাফা থেকে প্রাথমিক লগ্নির টাকা ফেরত দিতে হবে। আর এই তিনবছর স্টাফ-এর মাইনে, কোম্পানির অন্য খরচখরচা, শাড়ি তৈরির ইনভেস্টমেন্ট—বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে করা হবে। বসুন্ধরা ফ্যাশন বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্য তাঁতের শাড়িকে প্রমোট করবে। নদিয়ার শান্তিপুর বা ফুলিয়ায় নিজস্ব তাঁতিদের দিয়ে শাড়ি তৈরি করাবে। ১৯৬৮ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি দেশপ্রিয় পার্কের কাছে ধুমধাম করে শহরের নামিদামি চিত্রতারকাদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন হল—বসুন্ধরা ফ্যাশনের। বাবার সাহায্য করার এই প্রয়াসকে শান্তিলতা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিল। যাতে তারা একবছর না হলেও দু’বছরের মধ্যে টাকা শোধ করা শুরু করতে পারে। মনের ভেতরে সামান্য যে কুণ্ঠা ছিল সেটা একেবারে কেটে গেল বড়দাদা গগনের সঙ্গে কথা বলে। বড় দুইভাই—গগন আর বিকাশ, বোন শান্তিলতাকে ‘বুড়ি’ বলে ডাকত। ছোটবেলায় শান্তি খুব গুছিয়ে কথা বলতো। সেই থেকেই তার নাম বুড়ি।
আরও পড়ুন:

বাইরে দূরে ফল কালারের রূপ-মাধুরী, পর্ব-৫: এমন সুন্দরের মাঝে নির্ভয়ে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ জীবনে রোজ রোজ আসে না…

কিম্ভূতকাণ্ড, পর্ব-২: শেকড়বাকড়-লতাপাতা, গন্ডারের শিং, বাঘের নখ— যে ভাবেই হোক শরীরের বয়সটা কমিয়ে দাও

সোনার বাংলার চিঠি, পর্ব-৫: বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র— বইয়ের জন্য ভালোবাসা

‘দেখ বুড়ি—ব্যবসা বড় করতে গেলে নিজের টাকায় করা যায় না। টাকা ধার করতে হয়। টাকা ধার দেয় হয় ব্যাংক আর নয় ইনভেস্টর। তারপর ব্যবসায়ীরা সুদসমেত ব্যবসার ধার শোধ করে বাকি টাকাটা মুনাফা ধরে হিসেব করে। ব্যবসা চালাবার খরচাপাতি কর্মচারীদের মাইনেপত্র বাদ দিয়ে তবেই ব্যবসার প্রকৃত মুনাফা বা লাভ হিসেব করা হয়। বাবা এত বছর ধরে উইলিয়াম পিটারসনের টাকা শোধ করে আসছেন। তবে বাবাকে ঈশ্বরের কৃপায় শুধু আসলটুকুই শোধ করতে হচ্ছে। এই বিরাট টাকার সুদ দিতে হলে ব্যবসা করা বাবার হয়ে উঠত না। আবার পিটারসন সাহেব টাকাটা না আশা করেই এই ব্যবসাটা লিখে দিয়েছিলেন। কারণ, রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তার দেশে ফিরে যাওয়াটা খুবই জরুরি ছিল। এটা জেনেও বাবা সততার সঙ্গে তাঁর টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তাই তাঁর মর্যাদা পিটারসন সাহেবও দিয়েছেন। তুই মনে কর না বিকেডি তোর ব্যবসার ইনভেস্টর। যে টাকাটা তোকে তিন বছর পরে ফেরত দিতে হবে সেটা তুই ব্যবসা থেকে প্রতি মাসেই আলাদা করে রাখ। এ ভাবে ভাবলে দেখবি মনের মধ্যে আর কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে না। বুড়ি ব্যবসা অফিস নয়। আট-দশ ঘন্টা নয়, এটা চব্বিশ ঘণ্টার মেন্টাল ইনভল্ভমেন্ট। মনের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দুঃখ রাগ অভিমান এ সব ব্যাগেজ রাখলে কাজ করতে পারবি না!’
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩২: দীক্ষার আংটি হেমলতাকে দিয়েছিলেন মহর্ষিদেব

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২৬: ‘সত্যেরে লও সহজে’—রাজসুখ ছেড়ে কি তবে বনবাসী মন?

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-১১: মাছের রাজা গোল্ডেন মহাশির

শান্তিলতা সমস্ত উদ্যম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল। বড় ছেলে সৌরভ তখন যোধপুর পার্ক বয়েজে আর গৌরব তখন কালিম্পং-এর বোর্ডিং স্কুলে পড়ছে। সে খরচাও বাবাই দেয়। কিন্তু ওই যে, বড়দাদা বলেছে মনের মধ্যে এসব কিছু আনা চলবে না। কষ্ট করে ব্যবসাটা দাঁড় করাতে পারলে আজ না হলেও কিছুদিন পরে সে নিশ্চয়ই দুই ছেলেকে মানুষ করার মতো সচ্ছলতা অর্জন করতে পারবে।

সুবর্ণ লিখতে গিয়ে বুঝতে পারছে বসুন্ধরা ভিলার বৃত্তান্ত মহাভারতের মতই জটিল। এত তার চরিত্র, এত ধরনের চরিত্র—সময়লিপি ধরে তার বর্ণনা করা কঠিন ব্যাপার। তাই এগিয়ে গিয়েও আবার পিছিয়ে আসতে হচ্ছে। কাহিনীর ফেলে আসা সুতোগুলোকে আবার গুছিয়ে নিয়ে এগোতে হচ্ছে। লিখতে গিয়ে আনুষঙ্গিক ঐতিহাসিক চরিত্র বা নতুন অজানা বিষয় এসে যাচ্ছে। থমকে গিয়ে তাদের নিয়ে একটু পড়াশোনা করে নিতে হচ্ছে সুবর্ণকে। দিনে দিনে কলেবর বৃদ্ধি হচ্ছে আপন হাতে হাল ধরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপন স্রোতে বয়ে চলেছে বসুন্ধরা এবং তার আনুসাঙ্গিক কথকতা…

১৯৫৮-য় শান্তিলতার বিয়ের বছরের শেষদিকে গগনকান্তির বিয়ে হল বেলেঘাটার বর্ধিষ্ণু মিত্র পরিবারের আরতির সঙ্গে। মানে সম্পর্কে যিনি সুবর্ণর বড় জেঠিমা। সে বিয়ের প্রসঙ্গে বেলেঘাটার বলদেব ও রেবতীর বিগ্রহ ও রাসবাড়ীর বর্ণনা রয়েছে সুবর্ণর বাবা অমলকান্তির লেখায়। লাইব্রেরি ঘরেই রাধারমণ মিত্রের ‘কলিকাতা দর্পণ’, বা পূর্ণেন্দু পত্রী’র ‘কলকাতার রাজকাহিনী’তে পেয়ে গেল জানার মত আরও অনেক কিছু…—চলবে

লেখালেখি।

চিত্র সৌজন্য: সত্রাগ্নি
 

পরের পর্ব আগামী রবিবার

গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ‘জীবনস্মৃতি’-তে রাজেন্দ্রলাল বিষয়ে লিখেছেন—‘রাজেন্দ্রলাল সব্যসাচী ছিলেন। তিনি একাই একটি সভা। এই উপলক্ষে তাঁহার সহিত পরিচিত হইয়া আমি ধন্য হইয়াছিলাম। এ পর্যন্ত বাংলা দেশে অনেক বড় বড় সাহিত্যিকের সঙ্গে আমার আলাপ হইয়াছে, কিন্তু রাজেন্দ্রলালের স্মৃতি আমার মনে যেমন উজ্জ্বল হইয়া বিরাজ করিতেছে এমন আর কাহারও নহে।’
 

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com

* বসুন্ধরা এবং (Basundhara Ebong-Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

Skip to content