বাগুইআটির দুই পড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় ক্রমশ চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। দুই কিশোরকে খুনের দিন দুয়েক পর থেকেই দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে হুমকি বার্তা আসতে থাকে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অতনুর ফোন থেকেই তাঁর বান্ধবী এবং অন্যান্য ব্যক্তির নম্বর নিয়ে মেসেজ করা হচ্ছিল।
সিআইডি সূত্রে খবর, অতনুর বান্ধবীর ফোন নম্বরেও হুমকি মেসেজ আসে। পাশাপাশি অতনুর একাধিক আত্মীয়দের কাছেও সেরকম মেসেজ পাঠানো হয়। পুলিশকে অতনুর পরিবার জানায়, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ এসেছিল তাঁদের কাছে। তবে বার বারই মুক্তিপণের টাকার পরিমাণ বদলে যাচ্ছিল। একদম শেষ যে মেসেজটি এসেছিল, তাতে জানানো হয়, ‘‘টাকা দিতে পারবি না বুঝতে পারছি, বৃহস্পতিবার ছেলের বডি পেয়ে যাবি।’’
সিআইডি সূত্রে খবর, অতনুর বান্ধবীর ফোন নম্বরেও হুমকি মেসেজ আসে। পাশাপাশি অতনুর একাধিক আত্মীয়দের কাছেও সেরকম মেসেজ পাঠানো হয়। পুলিশকে অতনুর পরিবার জানায়, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ এসেছিল তাঁদের কাছে। তবে বার বারই মুক্তিপণের টাকার পরিমাণ বদলে যাচ্ছিল। একদম শেষ যে মেসেজটি এসেছিল, তাতে জানানো হয়, ‘‘টাকা দিতে পারবি না বুঝতে পারছি, বৃহস্পতিবার ছেলের বডি পেয়ে যাবি।’’
উল্লেখ্য, এই মেসেজ আসে মঙ্গলবার। ওই মেসেজ প্রাপ্তির পর পরই পুলিশ পরিবারকে জানায়, হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অতনু এবং অভিষেকের মৃত্যু হয়েছে। পরে অবশ্য জানা যায়, দুই ছাত্রকে খুন করা হয়েছিল নিখোঁজের দিনই অর্থাৎ গত ২২ অগস্ট। বাগুইআটির জোড়া খুনের তদন্ত করছে রাজ্যের গোয়েন্দা শাখা সিআইডি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অতনু এবং অভিষেককে খুন করা হয়েছিল যে গাড়িতে সেটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এখন সেটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা চলছে।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের জাগ্রত মন্দিরে মন্দিরে, পর্ব ৩৩: বৈশাখ মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার পর সীতানবমী তিথিতে প্রায় ২ লক্ষ ভক্তের সমাবেশ হয়
অসহনীয় গরম থেকে মুক্তি? বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ডার্ক চকোলেট, কী ভাবে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই স্কুল পড়ুয়া অতনু এবং অভিষেক নিখোঁজ হয় গত ২২ অগস্ট। টানা দু’দিন দুই কিশোরের খোঁজ না মেলায় পরিবারের পক্ষ থেকে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানায়। পরিবারের দাবি ছিল, দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে গত ২৪ অগস্ট থেকে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, অতনু এবং অভিষেককে ‘অপহরণ’ করেছে তাদের পরিচিত কেউ-ই। এর পরই উঠে আসে অতনুর পাশের বাড়ির জামাই হিসেবে পরিচিত সত্যেন্দ্র চৌধুরির নাম। এই সত্যেন্দ্রকেই অতনু বাইক কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল বলে পরিবার জানায়। আর ওই বাইক কেনার নাম করেই অতনুকে ২২ অগস্ট ডেকে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র। সত্যেন্দ্রর ডাকে সাড়া দিয়ে তুতো ভাই অভিষেককে নিয়ে অতনু বাইক দেখতে বেরিয়ে যায়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, সত্যেন্দ্র গাড়ি করে দুই পড়ুয়াকে প্রথমে রাজারহাটে একটি বাইক শোরুমে যান। তবে সত্যেন্দ্রের বাইক পছন্দ না হওয়ায় তিনি দু’জনকে নিয়ে অন্যত্র চলে যান। পুলিশের এও দাবি, নিখোঁজের দিন অর্থাৎ ২২ আগস্ট রাতে গাড়িতে অতনু এবং অভিষেককে খুন করা হয়েছে। তার পরের দিন ২৩ অগস্ট ন্যাজাট থানা এলাকায় অতনু দেহ উদ্ধার করা হয়। আর হাড়োয়া থেকে ২৫ অগস্ট উদ্ধার হয় অভিষেকের দেহ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, সত্যেন্দ্র গাড়ি করে দুই পড়ুয়াকে প্রথমে রাজারহাটে একটি বাইক শোরুমে যান। তবে সত্যেন্দ্রের বাইক পছন্দ না হওয়ায় তিনি দু’জনকে নিয়ে অন্যত্র চলে যান। পুলিশের এও দাবি, নিখোঁজের দিন অর্থাৎ ২২ আগস্ট রাতে গাড়িতে অতনু এবং অভিষেককে খুন করা হয়েছে। তার পরের দিন ২৩ অগস্ট ন্যাজাট থানা এলাকায় অতনু দেহ উদ্ধার করা হয়। আর হাড়োয়া থেকে ২৫ অগস্ট উদ্ধার হয় অভিষেকের দেহ।