শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


গুপ্তনিবাস

অবনীন্দ্রনাথ অসুস্থ পত্নী সুহাসিনীকে বাড়িতে রেখে বাইরে কোথাও যেতে চাইতেন না। পত্নীকে ঘিরে উদ্বিগ্নতা-দুশ্চিন্তা সারাক্ষণই তাঁকে ঘিরে থাকত। বিশ্বভারতীর আচার্যের দায়িত্ব নিয়েও সে-মুহূর্তে শান্তিনিকেতনে যেতে পারেননি।

অবনীন্দ্রনাথকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন রবীন্দ্রনাথ। সাহিত্যের অঙ্গনে ‘রবিকাকা’ই তাঁকে এনেছিলেন। অসুস্থ-রুগ্ন শরীরেও কবি তাঁর স্নেহভাজন ভ্রাতুষ্পুত্রটির ওপর আস্থা রেখেছেন, নির্ভর করেছেন। এই আস্থা-নির্ভরতায় কখনও চিড় ধরেনি। অসুস্থ রবীন্দ্রনাথ হয়তো মৃত্যুর পদধ্বনি শুনতে পেয়েছিলেন। স্পষ্ট করেই বলেছিলেন অন্তিম-ইচ্ছার কথা। তাঁর অবর্তমানে প্রিয় অবনকে যেন বিশ্বভারতীর আচার্য করা হয়।

রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু অবনীন্দ্রনাথকে শোকস্তব্ধ করেছিল। শোকজর্জর চিত্তে একটি মর্মস্পর্শী ছবি এঁকেছিলেন তিনি। সে ছবিতে লেখা ছিল, রবীন্দ্রনাথের কাব্যপঙক্তি, ‘সমুখে শান্তি পারাবার, ভাসাও হে তরণী হে কর্ণধার!’ কবি-প্রয়াণের পর অবনীন্দ্রনাথকে করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর আচার্য।

আচার্য অসুস্থ পত্নীকে রেখে শান্তিনিকেতনে যাননি। না গিয়ে কলকাতায় বসেই আচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন।

রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ-বছরেই জোড়াসাঁকোর ৫ নম্বর বাড়ি বিক্রি হয়ে যায়। সাতপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে এক বাগানবাড়িতে গিয়ে সপরিবারে উঠেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। সে-বাড়ির নাম ‘গুপ্তনিবাস’। জোড়াসাঁকো ছেড়ে যাওয়ার ভাবনা অবনীন্দ্রনাথকে বিধ্বস্ত করেছিল। ভেঙে পড়েছিলেন মানসিকভাবে। পুত্র অলোকেন্দ্রনাথের ‘ছবির রাজা ওবিনঠাকুর’ বইতে আছে, ‘বাবাকে এই সময় দেখতুম অন্দরমহলে নিজের ঘরে বসে বই পড়ছেন, কিম্বা বাগানের শিশু গাছটির দিকে চেয়ে স্তব্ধ হয়ে বসে আছেন। মাঝে মাঝে বলতেন, পুরনো দিনের ভুলে যাওয়া অনেক কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। চারিদিক থেকে যেন ঠেলাঠেলি করে আসছে সব।’

ছোটদের প্রতি অবনীন্দ্রনাথের ছিল গভীর ভালোবাসা। তাদের সঙ্গেই যত ভাবসাব, বন্ধুত্ব। এই মন-খারাপের দিনগুলিতে একটি বছর ছ’য়েকের মেয়ে, যার নাম ‘ফেলা’, সে এসে অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে গল্পগাছা করত। মেয়েটি থাকত পেছন দিকের সিংহিবাজারের বস্তিতে।

গুপ্তনিবাসে অবন্যীন্দ্রনাথের জন্মদিন পালন

জোড়াসাঁকো ছেড়ে অবনীন্দ্রনাথ গুপ্তনিবাসে আসার পর অসুস্থতা দিনে দিনে বাড়ে সুহাসিনীর। কলকাতার বাইরে বরানগরে ডাক্তার পাওয়া সহজ ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর একজন ডাক্তারবাবুর সন্ধান শেষপর্যন্ত পাওয়া গেল। অবনীন্দ্রনাথের ডাক, তা তো উপেক্ষার নয়! সানন্দে গুপ্তনিবাসে এলেন আলামবাজারের কানাই পাল। এরপর থেকে ডাঃ পাল প্রায়ই আসতেন অসুস্থ সুহাসিনীকে দেখতে।
গুপ্তনিবাসে এসে অবনীন্দ্রনাথ আবার হাতে তুলি তুলে নিলেন। ল্যান্ডস্কেপ আঁকতেন। তৈরি করলেন কুটুমকাটাম। গুপ্তনিবাসে আসার পরের বছরই অবনীন্দ্রনাথ হারালেন তাঁর স্ত্রীকে। সুহাসিনীর মৃত্যু অবনীন্দ্রনাথের কাছে ছিল এক ভয়ংকর আঘাত। ঠিক করলেন, আর গুপ্তনিবাসে নয়, যাবেন শান্তিনিকেতনে। যাওয়ার পরিকল্পনা নিশ্চিত করে পুত্র-কন্যাদের বলেছিলেন, ‘আমার শেষ বন্ধন কেটে গিয়েছে, এবার কিছুকাল আমি শান্তিনিকেতনে প্রতিমার কাছে থাকব এবং ওখানকার কাজ দেখব।’

প্রতিমা আর কেউ নন, রথীন্দ্রপত্নী, রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ। রবীন্দ্রনাথের কন্যাতুল্য, কবি তাঁকে বলতেন, ‘মামণি’। প্রতিমা যেমন রবীন্দ্রনাথের শেষ-জীবন সেবায়, আনন্দে ভরিয়ে তুলেছিলেন, তেমনই ভরিয়ে তুলেছিলেন অবনীন্দ্রনাথের। অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রতিমার ভিন্নতর আত্মীয়তাও ছিল। অবনীন্দ্রনাথের ভগ্নী বিনয়িনীর তিনি কন্যা।

অবনীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ছিলেন টানা চার বছর। অসুস্থ হয়ে শেষে ফিরে এসেছিলেন গুপ্তনিবাসে। শান্তিনিকেতনে এসে মন দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের আদর্শকে ধরে রাখায়, মন দিয়েছিলেন ছবি আঁকায়। কলাভবনের ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁকে ঘিরে থাকত, মগ্ন হয়ে তিনি ছবি আঁকতেন। ছোটরাও অবনীন্দ্রনাথের কাছে এসে ভিড় করত। তাদের তিনি যে ভীষণ ভালবাসতেন, তারাও তা বুঝত। তাই অবনীন্দ্রনাথের কাছে তাঁদের আনাগোনা সারাক্ষণই লেগে থাকত।

রানি চন্দ রবীন্দ্রনাথের শুধু নন, স্নেহভাজন ছিলেন, অবনীন্দ্রনাথেরও। শিল্পগুরুর কাছে তিনি ছবি আঁকা শিখেছেন। অবনীন্দ্রনাথের ‘ঘরোয়া’ ও ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বই দুটি তাঁরই অনুলিখন। অবনীন্দ্রনাথ মুখে মুখে বলে গিয়েছিলেন, রানি চন্দ সযত্নে তা লিখে রেখেছিলেন। সেই রানি চন্দের লেখায় আছে ছোটদের প্রতি অবনীন্দ্রনাথের যে সুগভীর ভালোবাসা ছিল, তারই এক অনন্য চিত্র। শান্তিনিকেতন-আশ্রমে হঠাৎ এক কিশোর এল। কোথা থেকে এসেছে, কেউ তা জানে না। কেউ বলল, বিনা টিকিটে আসছিল ট্রেনে। চেকারবাবু নামিয়ে দিয়েছেন বোলপুরে, কারও অভিমত, বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে বাবা! আবার কেউ বলল, সৎমা’র অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ি-ছাড়া হয়েছে এই কিশোর!
এসব কথার চালাচালি ছেলেটির সামনেই চলল। সেও শুনল, অথচ তার মুখে কোনও ভাবান্তর নেই, কথা নেই। শুধুই তাকিয়ে রইল। আহা রে, বেচারা অসহায়! আশ্রম-পড়ুয়াদেব দয়া-মায়ার অভাব ছিল না। সকলেই বলে, তাদের সঙ্গে থাকুক সে। হোস্টেলেই তার থাকার ব্যবস্থা হল। জানা গেল, তার নাম অবিনাশ। সারাক্ষণই চলে অবিনাশের নাম ধরে ডাকাডাকি। স্নান করতে যাওয়ার জন্য ডাক, খেতে যাওয়ার জন্য ডাক। ক্লাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকাডাকিরও শেষ নেই। আশ্রম-পড়ুয়ারা আপনজন করে নিলেও অবিনাশের মধ্যে কোনও হেলদোল দেখা গেল না। কেমন আড়ষ্ট, সারাক্ষণই চুপচাপ থাকে। সবাই ভাবল, কিছুদিনের মধ্যেই এসব কেটে যাবে।

দিনের পর দিন গেল। না, অবিনাশকে স্বাভাবিক জীবনে আনা গেল না। সকলেই কম-বেশি বিরক্ত। বলল, ‘পাগল!’

সে সময় শান্তিনিকেতনে আচার্যের দায়িত্ব পালন করতে অবনীন্দ্রনাথ এলেন। শিল্পীগুরুর উপস্থিতিতে আশ্রমে তৈরি হল খুশির আবহ। ক’দিনেই অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে অবিনাশের ভাব-ভালোবাসা হয়ে গেল। শিল্পীগুরুর স্নেহ নিশ্চয়ই তাঁকে স্পর্শ করেছিল। অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে অবিনাশকে প্রায়ই দেখা যেত, দু’জনে পায়ে পায়ে রাঙামাটির পথে।

অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে অবিনাশের প্রথম দেখা কী করে হল, সে-গল্প বলে নেওয়া যেতে পারে। অবিনাশের কথা আচার্য অবনীন্দ্রনাথ জানতেন না। রোজের মতো বিকেলের দিকে বেড়াতে বেরিয়ে রীতিমত বিস্মিত হলেন তিনি। গাছের গুঁড়ির আড়ালে একটি কিশোর, বসে রয়েছে চুপটি করে। লোকচক্ষুর আড়ালে নিজেকে কেনই বা রাখার চেষ্টা করছে কিশোরটি, কিছুই বুঝতে পারলেন না অবনীন্দ্রনাথ! পরম স্নেহে ছেলেটিকে নিয়ে এলেন উদয়ন-বাড়িতে। বারান্দায় তাকে বসতে দিয়ে চলল আলাপচারিতার চেষ্টা। চলে কথা বলানোর চেষ্টা। সে চেষ্টা অবশ্য ফলপ্রসূ হয়নি। অবনীন্দ্রনাথ অবশ্য হাল ছেড়ে দেননি। স্নেহের স্পর্শে শেষে কাজ হয়েছে। ক’দিন পরই দেখা গেল, অবিনাশ অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে কথা বলছে। মুখে নয়, বলছে হাত নেড়ে, চোখের ইশারায়। অবনীন্দ্রনাথ তাকে গাছে গাছে ফুটে থাকা ফুল দেখালেন। ফুলের সৌন্দর্যের কথা বললেন। রং-তুলিতে সেই সৌন্দর্য ধরে রাখার কথা বললেন। সেসব শুনেও প্রথম দিকে অবিনাশের মধ্যে কোনও হেলদোল লক্ষ করা গেল না। নির্বিকার সে। এভাবে অবশ্য বেশি দিন কাটেনি। ক’দিন পরই দেখা গেল, অবিনাশ মন দিয়েছে ছবি আঁকায়। অবনীন্দ্রনাথ তাঁকে কাছে ডেকে বললেন,’ যা ভালো লাগবে, তাই আঁকবি!’

অবনীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে, রিক্সায়

রোজ নতুন নতুন ছবি আঁকে অবিনাশ! রং-তুলির সত্যিই এতদিনে সদ্ব্যবহার হল! কত কী আঁকে অবিনাশ! ফুল, পাতা, পাখি, গাছ — কিছুই বাদ পড়ে না! অচিরেই ছবির সঙ্গে কবিতাও যুক্ত হল। অবনীন্দ্রনাথ তাঁকে দিয়ে কবিতা লেখাতেও চেষ্টা করলেন। একটা বিড়াল আয়েশ করে শুয়েছিল রোদ্দুরে। অবনীন্দ্রনাথ বললেন, ‘লেখ দেখি বিড়ালটাকে নিয়ে একটা কবিতা!’

কী জাদু! অবনীন্দ্রনাথের কথায় কাজ হল। অবিনাশ এটা-সেটা নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করে দিল। কখনও কবিতায় শালিকপাখির কথা, কখনও বা সেই বেড়ালটার কথা। আশ্রমের সকলেই অবাক, অবিনাশ যে লেখাপড়া জানে, এমন সুন্দর তার হাতের লেখা — সেসব জেনে তাদের বিস্ময়ের সীমা রইল না!

অবিনাশ অল্পদিনের মধ্যেই অবনীন্দ্রনাথের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠল। পারলে সারাক্ষণই অবিনাশকে কাছে রাখেন। স্নেহ ঝরে ঝরে পড়ে। চা খাওয়ার সময় বিস্কুট দু’টি অবিনাশকে জোর করে খাওয়ান। ভাত খাওয়ার সময় পাতে দেওয়া দই-মিষ্টির অবনীন্দ্রনাথ স্থানান্তর ঘটাতেন। পৌঁছে যেত অবিনাশের পাতে।

রানি চন্দের মনে হয়েছিল, অবনীন্দ্রনাথের স্নেহ-ভালোবাসায় অবিনাশের ‘নবজন্ম’ হয়েছে। যে অবিনাশ মুখে কথাটুকুও বলত না, আপন খেয়ালে শান্তিনিকেতনের পথে পথে ঘুরে বেড়াত, সেই অবিনাশ অনর্গল কথা বলছে, ছবি আঁকছে, কবিতা লিখছে, সত্যিই এসব অভাবনীয়! রানি চন্দ তাঁর ‘প্রাণের গভীরে’ জেগে থাকা একটি ঘটনার কথা জানিয়েছেন। অবনীন্দ্রনাথ তখন অসুস্থ, শয্যাশায়ী। পাশে ঠায় বসে থাকত অবিনাশ, সময় মতো ওষুধ খাওয়াত। অবনীন্দ্রনাথ তার সেবায় কদিনেই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।

অবনীন্দ্রনাথ ও নন্দলাল বসু, শান্তিনিকেতনে

বিশ্বভারতীর তখন টানাটানির সংসার। বিনি পয়সায় না হয় অবিনাশের লেখাপড়ার ব্যবস্থা হল, তার পোশাকআশাক, খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করবে কে! কোথা থেকে আসবে সেসব টাকা? প্রশাসনিক দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের এসব প্রশ্ন অবনীন্দ্রনাথের কাছে পৌঁছল। বড় বিপন্নবোধ করলেন তিনি। মনে হল তাঁর ‘বড়ো গরিব’ হয়ে গেছেন! নন্দলাল বসুর কাছে গেলেন অবনীন্দ্রনাথ। অবিনাশকে নিয়ে গড়ে ওঠা সমস্যার কথা বললেন। নন্দলাল কিছুই করতে পারলেন না! কলাভবনে রেখে অবিনাশের যাবতীয় খরচ চালানোর মতো অর্থ কোথায় পাবেন তিনি! অবনীন্দ্রনাথ নিজেই শেষে করলেন মুশকিলআসান। একের পর এক ছবি আঁকলেন উদয়নের সামনের বারান্দায় বসে। সেসব ছবি দিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা হল। ছবি বেচে ‘অ-বিনাশী ফন্ড’ তৈরির কথা ভাবলেন অবনীন্দ্রনাথ। সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যবস্থাও হল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন

অবিনাশ বোধহয় অলক্ষে সব লক্ষ করছিল। যাকে নিয়ে অবনীন্দ্রনাথের বিপন্নতা, এত সমস্যা, সেই অবিনাশ যেন নিজেই নিজের পথ খুঁজে নিল। ক’দিনের জন্য শিল্পীগুরু কলকাতায় গিয়েছিলেন। ঠিক সে সময়ই অবিনাশ আশ্রম ত্যাগ করে চলে গেল। খোঁজাখুঁজি, উদ্বিগ্নতা। না, তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক অনেক পরে রানি চন্দের সঙ্গে একবার অবিনাশের দেখা হয়েছিল দিল্লিতে। রানি চন্দ তাকে দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। এ তো চেনা অবিনাশ নয়, মনে হয়েছিল, অন্য কেউ বুঝি! অবিনাশের তখন সন্ন্যাসীর বেশ। সন্ন্যাসী হয়েছে সে।

অবিনাশের এমন পরিবর্তন দেখার জন্য রানি চন্দ প্রস্তুত ছিলেন না। বিস্ময়ের মাঝেও মনে মনে অবিনাশের মঙ্গলকামনা করেছিলেন।

ছবি সৌজন্যে: লেখক
* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (tagore-stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।

Skip to content