কোন কোন ক্ষেত্রে শসা খাওয়া এড়ানো উচিত?

শসা একটি উপকারি খাবার। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি। শসা গ্রীষ্মকালীন সব্জি হলেও এখন সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। এটি শরীরের জন্য খুবই ভালো। শসা ওজন কমাতে, রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপকারী। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম, জল থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। অনেকেই ত্বকের পরিচর্যায় শসাকে কাজে লাগিয়ে থাকেন। তবে এর আছে অপকারিতাও আছে।

 

শসার অপকারিতা

 

স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে

শসা যদি ঠিক করে কাটা না হয় তার মধ্যে থাকা টক্সিন থেকে যায়। এই কারণে অনেক সময় শসা তেতো লাগে। শসা তেতো হওয়ার প্রধান কারণ হল এর মধ্যে রয়েছে কুকারবিটাসিন এবং টেট্রাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনয়েডস। এই ক্ষতিকর রাসায়নিকগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই শসা খেতে গিয়ে যদি তেতো লাগে সেটা খাবেন না।

 

ডিহাইড্রেশন হতে পারে

কুকারবিটাসিন রয়েছে শসার মধ্যে। এটা মূত্রবর্ধক হিসেবে পরিচিত। ফলে শসা যদি বেশি খান তাহলে অতিরিক্ত জল প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। ডিহাইড্রেশন হবে।

 

পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে

শসাতে পটাশিয়ামবেশিমাত্রায় থাকে। তাই আপনি যদি শসা বেশিমাত্রায় খান তাহলে হাইপারক্যালেমিয়ারমতো রোগ হতে পারে। তখন শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গিয়ে গ্যাস, পেট ফোলা, ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

 

হার্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে

শসা বেশি খাওয়া মানে শরীরে বেশি জল প্রবেশ করা। আর শরীরে জল যত বেশি থাকবে তত রক্তের পরিমাণ বেশি হবে। আর রক্তের পরিমাণ বেশি হওয়ার অর্থ হল রক্তনালি এবং হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি হওয়া।

 

শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে

এছাড়া আপনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগে থাকেন তাহলে শসা না খাওয়াই ভালো। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২