ছবি: পিটিআই।
নৈমিষারণ্যে সেদিন চাঁদের হাট বসেছে। অগ্রগণ্য সকল ঋষিগণ উপস্থিত। ঋষি মেধা, অত্রি, ধৌম্য, গৃত্সমদ, যাজ্ঞবল্ক্য, বিশ্বামিত্র, অষ্টাবক্র, মহাতপাসহ অনেকেই সভা উজ্জ্বল করে বসে আছেন। এছাড়াও আচার্য পাণিনি মাতুল ব্যাড়ির সঙ্গে এসেছেন এই মহতী সভায়। আচার্য কৌটিল্য এসেছেন, রাজনীতিজ্ঞ কৌণপদন্ত, বাতব্যাধি বসে উৎকৃষ্ট তক্র পান করছেন। মধ্যমণি আচার্য বৈশম্পায়ন। পরস্পর বিশ্রম্ভালাপ, দেশ-দশের খবরাখবর আদানপ্রদান চলছে।
বিশাল শাল্মলীবৃক্ষের তলে উপবেশন করে মুনিগণ হৈচৈ করছেন। শীতকাল, রাত্রিগুলি নিদারুণ ও অসহনীয়। মুনিঋষিগণের দেহ তেজোবলে উষ্ণ, তা-ও ইদানিং উত্তরকুরু থেকে ধেয়ে আসা হিমবায়ু আর সহ্য হয় না। দিনকাল ভালো না, সেসব খবর এখানেও পৌঁছয় বটে। এবারে শীতের প্রকোপ ভালোই, দুমাস পূর্বের দাবানল, সন্ধ্যাবন্দনায় ভালো ধুনোর ইদানিং বড়ই অভাব, নীবারধানের ফলন বৃদ্ধির নানা উপায়, তপঃশক্তি জমিয়ে রাখার জন্য বিশ্বকর্মা এক অভিনব সিন্দুক নির্মাণ করেছেন ইত্যাদি ছাড়াও হস্তিনাপুরের বর্তমান হালচাল, কুরুক্ষেত্রের অনতিদূরে ধৃতরাষ্ট্রের মূর্তি উন্মোচন, যুদ্ধপরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি, কৌরবদের আমবাগানে অজ্ঞাতকুলশীল কীটের তাণ্ডব, জাতীয় রাজনীতিতে যাদবদের প্রভাব, অন্তর্কলহ, সাম্প্রতিক অতীতে দ্বারাবতীতে নারদমুনির অপমান, ব্যাসঋষি ও দেবরাজ ইন্দ্রের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ইত্যাদি পুরাণবার্তা নিয়েই আলোচনা চলছিল।
বিশাল শাল্মলীবৃক্ষের তলে উপবেশন করে মুনিগণ হৈচৈ করছেন। শীতকাল, রাত্রিগুলি নিদারুণ ও অসহনীয়। মুনিঋষিগণের দেহ তেজোবলে উষ্ণ, তা-ও ইদানিং উত্তরকুরু থেকে ধেয়ে আসা হিমবায়ু আর সহ্য হয় না। দিনকাল ভালো না, সেসব খবর এখানেও পৌঁছয় বটে। এবারে শীতের প্রকোপ ভালোই, দুমাস পূর্বের দাবানল, সন্ধ্যাবন্দনায় ভালো ধুনোর ইদানিং বড়ই অভাব, নীবারধানের ফলন বৃদ্ধির নানা উপায়, তপঃশক্তি জমিয়ে রাখার জন্য বিশ্বকর্মা এক অভিনব সিন্দুক নির্মাণ করেছেন ইত্যাদি ছাড়াও হস্তিনাপুরের বর্তমান হালচাল, কুরুক্ষেত্রের অনতিদূরে ধৃতরাষ্ট্রের মূর্তি উন্মোচন, যুদ্ধপরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি, কৌরবদের আমবাগানে অজ্ঞাতকুলশীল কীটের তাণ্ডব, জাতীয় রাজনীতিতে যাদবদের প্রভাব, অন্তর্কলহ, সাম্প্রতিক অতীতে দ্বারাবতীতে নারদমুনির অপমান, ব্যাসঋষি ও দেবরাজ ইন্দ্রের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ইত্যাদি পুরাণবার্তা নিয়েই আলোচনা চলছিল।
ঋষি মহাতপা অনেকক্ষণ উসখুশ করছিলেন। এবার অবসর পেয়ে বললেন, “হে মহামতি! এখন আমাদের এমন কিছু শ্রবণ করান যা অভিনব।”
বৈশম্পায়ন বললেন, “বেশ। তা তোমরা পুরাবৃত্ত না ভবিষ্যবৃত্ত কোনটি শুনতে আকাঙ্ক্ষা করো?”
ধৌম্য বললেন, “পুরাবৃত্ত চিত্তাকর্ষক এ বিষয়ে সন্দেহ নাস্তি। কিন্তু ভবিষ্যবৃত্ত রোমহর্ষক। আপনি ত্রিকালদর্শী মহাপুরুষ। কলিকালের জাগতিক বৃত্তান্ত শ্রবণ করে কর্ণের স্পৃহা পরিতৃপ্ত করতে চাই। আমরা শুনেছি কলিকালের নরগণ অদ্ভুতকর্মা হবেন। অতীত দেব-রাক্ষস-নাগ-পন্নগ-গন্ধর্বসকল তাঁদের নখের যোগ্য হবেন না। তাঁরা যেমন অজ্ঞেয় হবেন তেমনই তাঁদের কর্মতত্পরতা অদ্ভুত হবে। এই বার্তা যতো শুনি পিপাসা ততোই ক্রমবর্ধমান হয়। আপনি কলিবার্তা শ্রবণ করিয়ে আমাদের কৃতার্থ করুন।”
বৈশম্পায়ন বললেন, “বেশ। তা তোমরা পুরাবৃত্ত না ভবিষ্যবৃত্ত কোনটি শুনতে আকাঙ্ক্ষা করো?”
ধৌম্য বললেন, “পুরাবৃত্ত চিত্তাকর্ষক এ বিষয়ে সন্দেহ নাস্তি। কিন্তু ভবিষ্যবৃত্ত রোমহর্ষক। আপনি ত্রিকালদর্শী মহাপুরুষ। কলিকালের জাগতিক বৃত্তান্ত শ্রবণ করে কর্ণের স্পৃহা পরিতৃপ্ত করতে চাই। আমরা শুনেছি কলিকালের নরগণ অদ্ভুতকর্মা হবেন। অতীত দেব-রাক্ষস-নাগ-পন্নগ-গন্ধর্বসকল তাঁদের নখের যোগ্য হবেন না। তাঁরা যেমন অজ্ঞেয় হবেন তেমনই তাঁদের কর্মতত্পরতা অদ্ভুত হবে। এই বার্তা যতো শুনি পিপাসা ততোই ক্রমবর্ধমান হয়। আপনি কলিবার্তা শ্রবণ করিয়ে আমাদের কৃতার্থ করুন।”
আরও পড়ুন:
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮৫: সুন্দরবনের পাখি — মাছরাঙা
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০০: চোর মাচায়ে শোর
বৈশম্পায়ন হেসে বললেন, “যা কিছু অভিনব তা তত্কালে হর্ষোত্পাদক ও মনোরম বটে। কলির জীবগণ আপাতঃভাবে প্রাচীনপন্থী। যা একবার তাঁদের হৃদয়ে প্রোথিত হবে তা তাঁরা অনায়াসে ত্যাগ করতে পারবেন না। তা যদি কালকবলিত হয়ে জীর্ণ ও অচল হয়ে পড়ে তবুও তাকে পূজ্যপাদ করে রাখাই কলির রীতি হবে। তবে এই পদ্ধতি এতো সরল নয়। কালে কালে কলির জীবগণ ইউজ অ্যান্ড থ্রো করতে অভ্যস্ত হবেন বটে, কিন্তু “আমাদের সময় কী যে ভালো ছিল” বলে শ্লাঘাপ্রদর্শনেও তাঁদের অরুচি থাকবে না। পুরাতনের অন্তরে সুপ্ত নবীনকে অস্বীকার করে চলাতেই তাঁরা নিজেদের সার্থক মনে করবেন। অথচ প্রতি পুরাতনের মধ্যেই অবস্থিত নবীন-ই যে সেই পুরা-কে নবরূপ দেয় তা তাঁরা বুঝবেন না। ফলত যা ছিল তাকে নিয়ে টানাটানি করতে গিয়ে তা কেন ছিল সেই তাত্পর্য তাঁরা বিস্মৃত হবেন। তাই বর্তমান-ও তাঁদের কাছে কোনও অভিঘাত আনবে না। তাই তাঁরা অদ্ভুতকর্মা।”
ঋষি মেধা বললেন, “প্রভো! এই তত্ত্ব অতি গভীর ও ব্যাপক। উদাহরণযোগে যদি ব্যাখ্যা করেন তাহলে কৃতার্থ হই।”
ঋষি মেধা বললেন, “প্রভো! এই তত্ত্ব অতি গভীর ও ব্যাপক। উদাহরণযোগে যদি ব্যাখ্যা করেন তাহলে কৃতার্থ হই।”
আরও পড়ুন:
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৯৯: আলোকলতা তিলোত্তমারা যুগে যুগে পুরুষের উজ্জীবনী শক্তির আধার
বল বীর, চির উন্নত মম শির!
বৈশম্পায়ন বললেন, “আমি তত্ত্বের অর্ধেকটা বলেছি। আগে সম্পূর্ণ করে নিই। তোমরা ভাববে কলির জীব তাহলে বুঝি অতীতচারী। তা নয় মোটেই। তাঁরা মনপ্রাণে আলট্রা ও প্রো ইত্যাদি নানাবিধ উপসর্গযোগে সমকালবাদী বর্তমান হবেন। সমকালকে স্বীকার করেও তাঁরা অস্বীকার করবেন। কখনো বলবেন, ভবিষ্যতে যা হবে তা-ই যথার্থ। কখনো বলবেন, অতীতেই ভালো ছিল। আবার স্থানান্তরে বলবেন, অতীতে যা হয়েছিল সকলই মূল্যহীন। বর্তমান-ই যথাযথ। ক্ষণান্তরেই বলবেন, বর্তমান শূন্যগর্ভ। আসন্ন ভাবীকালের গর্ভেই সম্ভাবনা সুপ্ত আছে। এই ভাবে কলির জীবগণ অজ্ঞেয় ব্রহ্মতুল্য নিরাকার হবেন।
এখন মহামতি কৌটিল্য হয়তো ভাবছেন, এই জীবগণ এমন হয় কী করে, তাঁরা কি রাষ্ট্রবাসী নন? রাষ্ট্রের নিয়মের বজ্র আঁটুনিতে কুপোকাত্ থাকলে এসব সুখবিলাস উদ্বায়ু বুদবুদের মতো শূন্যগর্ভ হবে অচিরেই।”
কৌটিল্য একথা শুনে ঈষৎ হাস্য করে প্রশ্রয় দিলেন।
বৈশম্পায়ন আবার বললেন, “এই যে কলিস্থ জীবগণ নবীন না প্রাচীন, অস্তি না নাস্তি এই নিয়ে এত সংশয়জাল জন্মাবে, তাঁরাও জানবেন না তাঁরা কী আর কী নন, এতেই তাঁদের মাহাত্ম্য। তোমরা প্রজাতন্ত্রের নাম শুনেছো?”
সমবেত সকলে বিস্ময়বিমূঢ় হয়ে বললেন, “সে আবার কীদৃশ! রাজতন্ত্র সর্বব্যাপী জানা আছে। মধ্যে মধ্যে গণনামক রাষ্ট্রব্যবস্থা আছে বটে, তা বলে প্রজাতন্ত্র কী আবার?”
বৈশম্পায়ন বললেন, “ভবিষ্যতে ভারতভূমিতে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এর তত্ত্ব, স্বরূপ ও রহস্য বহুব্যাপক। তা আজকের আলোচ্য নয়। কিন্তু কলিকালের দেশ দীর্ঘ পারতন্ত্র্যের মহাজাল ছিন্ন করে নবকলেবরে আত্মপ্রকাশ করবে। অতঃপর একটা নিয়মনীতির মহাসংহিতা প্রণয়ন করে দেশ প্রজাতন্ত্র হয়ে উঠবে।
এখন মহামতি কৌটিল্য হয়তো ভাবছেন, এই জীবগণ এমন হয় কী করে, তাঁরা কি রাষ্ট্রবাসী নন? রাষ্ট্রের নিয়মের বজ্র আঁটুনিতে কুপোকাত্ থাকলে এসব সুখবিলাস উদ্বায়ু বুদবুদের মতো শূন্যগর্ভ হবে অচিরেই।”
কৌটিল্য একথা শুনে ঈষৎ হাস্য করে প্রশ্রয় দিলেন।
বৈশম্পায়ন আবার বললেন, “এই যে কলিস্থ জীবগণ নবীন না প্রাচীন, অস্তি না নাস্তি এই নিয়ে এত সংশয়জাল জন্মাবে, তাঁরাও জানবেন না তাঁরা কী আর কী নন, এতেই তাঁদের মাহাত্ম্য। তোমরা প্রজাতন্ত্রের নাম শুনেছো?”
সমবেত সকলে বিস্ময়বিমূঢ় হয়ে বললেন, “সে আবার কীদৃশ! রাজতন্ত্র সর্বব্যাপী জানা আছে। মধ্যে মধ্যে গণনামক রাষ্ট্রব্যবস্থা আছে বটে, তা বলে প্রজাতন্ত্র কী আবার?”
বৈশম্পায়ন বললেন, “ভবিষ্যতে ভারতভূমিতে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এর তত্ত্ব, স্বরূপ ও রহস্য বহুব্যাপক। তা আজকের আলোচ্য নয়। কিন্তু কলিকালের দেশ দীর্ঘ পারতন্ত্র্যের মহাজাল ছিন্ন করে নবকলেবরে আত্মপ্রকাশ করবে। অতঃপর একটা নিয়মনীতির মহাসংহিতা প্রণয়ন করে দেশ প্রজাতন্ত্র হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৩: বাবু ডাক্তার ও ‘ডাক্তারবাবু’
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৮: শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিলেন দ্বারকানাথ
দেশবাসী প্রজারা, জন্মগ্রহণ করে ধরিত্রীকে উদ্ধার করাই যাঁদের একমাত্র কাজ বলে কলিকালে গণ্য হবে, তাঁরা প্রজাতন্ত্রের যথার্থ ধারণ ও বহন করবেন। তাঁরা নিজেরা যেহেতু অজ্ঞেয়, অতয়েব প্রজাতন্ত্র দিবস কী ও কেন তা তাঁদের জ্ঞাতব্য বিষয়ের মধ্যে আসবে না। ব্যতিক্রম সকল কালেই থাকবে। রাষ্ট্রবিদগণ এই নিয়ে ভাবিত হতেও পারেন, কিন্তু প্রজারা খাসি অথবা মুরগির দোকানে দীর্ঘ শ্রেণিরচনা করে নিজেরা সার্থক হবেন, দেশকেও কৃতার্থ করে, দিনটিকেও সার্থক করবেন। প্রজাগণ এইদিনে সকালে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকঢোল সহযোগে পতাকা উত্তোলন করে তাঁরা স্বাধীনতা না প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা কী উপলক্ষ্যে ছুটি পেয়েছেন সেই নিয়ে জোর বিতর্ক ও বিসম্বাদ করে দুপুরবেলা পেরোলেই নানা পণ্যে বিপুল ছাড়ের সন্ধানে নানাদিকে সপরিবারে ধাবমান হবেন। কলির বহুতল বিপণিতে একটি কিনে একশ ফ্রি বাগিয়ে তাঁরা দিশি, চিনা, ফরাসি কিংবা হনলুলু বা সাইবেরীয় খাদ্য উপভোগ করতে করতে দেশ রসাতল কিংবা তলাতলের পরে কীদৃশ অধোগতির আস্বাদ পেয়েছে তার আদ্যন্ত চর্চা করে গৃহে প্রত্যাগমন করে নাসাবাদ্যযোগে সুখনিদ্রাভোগ করবেন।
আরও পড়ুন:
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৮: প্রতিভা দেবী—ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১২: ক্যাথরিন ম্যান্সফিল্ড ও মিডলটন মারে, এক ভালোবাসাহীন বিবাহ
গৃহে প্রত্যাগমনের পূর্বে রাজপথে কিছু মুষ্টিযোগ, কিছু আইনভঙ্গ, কিছু স্বেচ্ছাচার, কিছু উত্পাত সম্পন্ন করে তাঁরা “সবাই রাজা”র প্রকৃত উপযোগ ঘটিয়ে এই দিবসের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখবেন। এখানেই প্রজাতন্ত্রের সার্থকতা। দেশের প্রজাগণ সুখে আছেন, মহানন্দে আছেন এভাবেই এই দিবস ও রাত্রি ধন্য হবে। কলির জীব নিতান্ত ব্রহ্মস্বরূপ বলেই তাঁদের পরম সান্নিধ্যে সকলই “ধরি ধরি মনে করি”জাতীয় অবস্থা প্রাপ্ত হবে। ব্রহ্ম এতাদৃশ-ই। যাঁরা তাঁকে জানেন তাঁরা পূর্বস্বরূপ ত্যাগ করে উত্তীর্ণ হন। প্রজাতন্ত্র-ও কলিস্থ জীবগণের সান্নিধ্যে তাদৃশ উত্তীর্ণ হয়ে কলিতে এককালীন এক মহাদিবসে পরিণত হবেন।”
উপস্থিত সকলে মহাবিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে সমবেত কণ্ঠে বলে উঠলেন, “সাধু সাধু!! কলিকালের প্রজাতন্ত্র জয়যুক্ত হোক।”
উপস্থিত সকলে মহাবিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে সমবেত কণ্ঠে বলে উঠলেন, “সাধু সাধু!! কলিকালের প্রজাতন্ত্র জয়যুক্ত হোক।”
* ড. অভিষেক ঘোষ (Abhishek Ghosh) সহকারী অধ্যাপক, বাগনান কলেজ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ থেকে স্নাতকস্তরে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। স্নাতকোত্তরের পর ইউজিসি নেট জুনিয়র এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সাড়ে তিন বছর পূর্ণসময়ের গবেষক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। সাম্বপুরাণের সূর্য-সৌরধর্ম নিয়ে গবেষণা করে পিএইচ. ডি ডিগ্রি লাভ করেন। আগ্রহের বিষয় ভারতবিদ্যা, পুরাণসাহিত্য, সৌরধর্ম, অভিলেখ, লিপিবিদ্যা, প্রাচ্যদর্শন, সাহিত্যতত্ত্ব, চিত্রকলা, বাংলার ধ্রুপদী ও আধুনিক সাহিত্যসম্ভার। মৌলিক রসসিক্ত লেখালেখি মূলত: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে চলেছে বিভিন্ন জার্নাল ও সম্পাদিত গ্রন্থে। সাম্প্রতিক অতীতে ডিজিটাল আর্ট প্রদর্শিত হয়েছে আর্ট গ্যালারিতে, বিদেশেও নির্বাচিত হয়েছেন অনলাইন চিত্রপ্রদর্শনীতে। ফেসবুক পেজ, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত দর্শকের কাছে পৌঁছে দেন নিজের চিত্রকলা। এখানে একসঙ্গে হাতে তুলে নিয়েছেন কলম ও তুলি। লিখছেন রম্যরচনা, অলংকরণ করছেন একইসঙ্গে।