বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


দ্বারকানাথ ঠাকুর।

ঠাকুরবাড়িতে শুধুই রূপবতীরা ছিলেন, তা নয়, ছিলেন রূপবানও। বাহ্যিক সৌন্দর্য যদি বিবেচ্য হয়, তবে আলাদা কথা, অন্তরের সৌন্দর্য এই পরিবারে কার মধ্যেই বা কম ছিল! হয়তো কারও মধ্যে প্রগাঢ় ব্যক্তিত্ব, আবার কেউ হয়তো সারল্যে ভরপুর। ভোলাভালা দ্বিজেন্দ্রনাথের সঙ্গে সাহেবি কায়দাকানুনে অভ্যস্ত সত্যেন্দ্রনাথকে কি মেলানো যায়? আপাতভাবে মেলানো না গেলেও তাঁদের অন্তরের সৌন্দর্যে কখনও ঘাটতি পড়েনি। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ও সারদাসুন্দরীর পুত্রদের মধ্যে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ছিলেন সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি। তরুণ-বয়সে কী সুন্দরই দেখতে ছিল তাঁকে। ব্যায়াম করা নির্মেদ চেহারা। নিয়মিত মুগুর-ভাঁজতেন, ঘোড়ায় চড়তেন। সুভো ঠাকুরের স্মৃতি চর্চা থেকে জানা যায়, মহর্ষির পুত্রদের মধ্যে হেমেন্দ্রনাথ ছিলেন সর্বাধিক সুপুরুষ, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।

সুবোধ ঠাকুর অবশ্য পিতামহকে চোখে দেখেননি, তাঁর সম্পর্কে বাড়ির প্রবীণদের মুখে যা শুনেছেন, তার ভিত্তিতে লিখেছেন, ‘দৈহিক শক্তি, স্বাস্থ্য ও সামর্থ্যের অতিশয় সক্ষম দৃষ্টান্ত। মেদহীন শালপ্রাংশু ছ-ফুট ছ-ইঞ্চি লম্বা ছিল নাকি তাঁর দেহ। সেইসঙ্গে মানানসই সুপ্রশস্ত বক্ষের ছাতি।’ হেমেন্দ্রনাথ ‘আমার বিবাহ’ নামে ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় একটি স্মৃতিমিশ্রিত রচনা লিখেছিলেন। সে লেখায় আছে বিয়ে করতে গিয়ে এই রূপ-সৌন্দর্য নিয়ে তাঁর যে নিদারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সে বিবরণ। হেমেন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, ‘আমাকে কেহ-বা হেমের সহিত উপমা দিলেন, কেহ-বা ইংরেজের পুত্র এই বলিয়া নির্দেশ করিলেন এবং বধূ-বরের মধ্যে অধিক সুন্দর কে, এই বিচার লইয়া মীমাংসা হইল যে উভয়ে পরস্পরের অনুরূপ।’
রবীন্দ্রনাথও সুদর্শন কম ছিলেন না। কবি নবীনচন্দ্র সেন ‘আমার জীবন’ বইতে কিশোর রবীন্দ্রনাথের রূপ-বর্ণনা করেছেন আবেগতাড়িত আলংকারিক ভাষায়। নবীন কবি রবীন্দ্রনাথের রূপ-সৌন্দর্যের কথা বলতে গিয়ে নবীনচন্দ্র লিখেছেন, ‘দীর্ঘ সমুজ্জ্বল চক্ষু, সুন্দর নাসিকায় মার্জিত সুবর্ণের চশমা। বর্ণগৌরব সুবর্ণের সহিত দ্বন্দ্ব উপস্থিত করিয়াছে। মুখাবয়ব দেখিলে চিত্রিত খৃষ্টের মুখ মনে পড়ে।’ রবীন্দ্রনাথের রূপ-সৌন্দর্য সম্পর্কে ঠাকুরবাড়ির জামাতা, বিশিষ্ট লেখক প্রমথ চৌধুরীর মনে হয়েছিল, ‘তাঁর সর্বাঙ্গ ছিল প্রাণে ভরপুর, প্রাণ তাঁর দেহে ও মুখে টগবগ করত। তিনি ছিলেন একটি জীবন্ত ছবি। রূপের যদি প্রসাদগুণ থাকে তো সে গুণ তাঁর দেহে ছিল।’ দৈহিক সৌন্দর্য তো ছিলই, সৌন্দর্য ছিল তাঁর জীবনের পরতে পরতে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৯: ভ্রমণে বেরিয়ে মহর্ষি পেয়েছিলেন পুত্রের মৃত্যু-সংবাদ

আমি বনফুল গো: তিনিই ছিলেন ভারতীয় ছবির প্রথম সিঙ্গিং সুপারস্টার/১

আমরা তো কয়েকজনের কথা বললাম মাত্র, যথার্থ অর্থের রূপবানের অভাব ছিল না ঠাকুরবাড়িতে। রূপবতীও কম ছিল না। শুধুই রূপবতী নয়, অধিকাংশই তাঁরা গুণবতীও। এই তালিকায় কন্যারা আছেন, বধূমাতারাও আছেন। অতীব সাধারণ পরিবার থেকে বধূমাতাদের প্রায়শই আগমন, পরিবেশ-গুণে তাঁরাও হয়ে উঠৈছিলেন সংস্কৃতিমনস্কা, কেউ কেউ সাহিত্যপাঠে, এমনকি রচনাতেও মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। গল্পকথার মতো ছিল ঠাকুরবাড়ির এক বধূমাতার রূপ-সৌন্দর্য। তিনি দ্বারকানাথের পত্নী দিগম্বরী। অসাধারণ সুন্দরী ছিলেন তিনি। পরে বন্ধ হয়ে গেলেও একসময় ঠাকুরবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো হত। সুন্দরী দিগম্বরীর মুখের আদলে কুমোর বানাতেন জগদ্ধাত্রী-প্রতিমার মুখ। ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্বারকানাথের একটি জীবনী রচনা করেছিলেন। সে জীবনীতে আছে, ‘আমাদের বাটীতে যে জগদ্ধাত্রী মূর্তি গঠিত হইত, তাহারা মুখ নাক দিগম্বরী দেবীরই মুখের আদর্শে গঠিত হইত। সেকালের বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা যাঁহাকে তাঁহার রূপের কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছি, তাঁহাদের সকলেই একবাক্যে বলিয়াছেন যে, তাঁহার রূপের কী বর্ণনা করিব, সাক্ষাৎ জগদ্ধাত্রী ছিলেন।’

জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।

দিগম্বরী দেবীর রূপখ্যাতি নিয়ে যেমন বিস্ময়ের শেষ ছিল না, ঠিক তেমনই বিস্ময়কর রূপের অধিকারী ছিলেন দ্বারকানাথের কনিষ্ঠ পুত্র নগেন্দ্রনাথ। তাঁর রূপের খ্যাতি বহুদূর বিস্তৃত ছিল।

দ্বিজেন্দ্রনাথের পুত্র সুধীন্দ্রনাথ। তাঁর বিবাহ হয়েছিল ঢাকা- বিক্রমপুরের চারুবালা দেবীর সঙ্গে। সেই বিবাহ- উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ গান লিখেছিলেন, ‘বাজিল কাহার বীণা মধুর স্বরে।’ চারুবালা শুনেছিলেন, পরে সেই শোনা তথ্য তিনি সবাইকে জানিয়ে সকলের মনে বিস্ময়ের উদ্রেক করেছিলেন। তথ্যটি এই, মহর্ষি-ভ্রাতা নগেন্দ্রনাথ এমনই রূপবান পুরুষ ছিলেন যে, স্নান করার জন্য পুকুরে নামলে মনে হত যেন পদ্মফুল ফুটেছে।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮৯: মাথার কান

দশভুজা, দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৪: আনন্দী—এক লড়াইয়ের নাম

দ্বারকানাথ ও দিগম্বরী দেবীর মধ্যে দাম্পত্য-দূরত্ব ছিল। সে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল নগেন্দ্রনাথের জন্মের পর। নগেন্দ্রনাথকে তাঁর পিতৃদেব অবশ্য আলাদা চোখে দেখতেন। কনিষ্ঠ পুত্রের প্রতি তাঁর বাড়তি স্নেহ-ভালোবাসা ছিল। দ্বারকানাথ দ্বিতীয়বার বিলেতে যাওয়ার সময় এই পুত্রটিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন নগেন্দ্রনাথ নিতান্তই কিশোর। বছর ষোল বয়েস। পুত্র গিরীন্দ্রনাথকে, এমনকি দেবেন্দ্রনাথকেও তিনি বিলেত-যাত্রার সঙ্গী করেননি। কনিষ্ঠ পুত্রের উপর হয়তো বাড়তি ভরসা,আশা-স্বপ্ন ছিল, সেই কারণেই তাঁকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। নগেন্দ্রনাথের উপর পিতৃদেব ভরসা করতেন বলেই দুই পুত্র দেবেন্দ্রনাথ ও গিরীন্দ্রনাথকে উইলে তৈরি বাড়ি দিয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

নগেন্দ্রনাথকে জমি ও কিছু অর্থ দিয়েছিলেন। হয়তো পিতৃদেব ভেবেছিলেন, কনিষ্ঠ পুত্রটি বাড়ি তো তৈরি করে নেবেনই, নিজের ভাগ্য, নিজের ভবিষ্যৎও গড়ে নেবেন।

নগেন্দ্রনাথ জমকালো পোশাক পরে বিলেতে গিয়েছিলেন, মাথায় ছিল ততোধিক জমকালো পাগড়ি। সে পাগড়ি দেখে ‘বোম্বে কুরিয়র’-এর সম্পাদক রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘বিলেতে সুন্দরী মেমসাহেবরা যখন তাঁকে নিয়ে প্রণয়রণে মাতবে, নগেন্দ্রনাথ যেন তাঁর পাগড়ি ও হৃদয় খুইয়ে না বসে।’
আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১০: ভার্জিনিয়া ও লিওনার্ড উলফ—উন্মাদনা ও সৃষ্টি /২

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫১: সেই ‘পৃথিবী আমারে চায়’

সাগরপারের দেশে নগেন্দ্রনাথ পিতার সঙ্গে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। সাহেবসুবোদের দেশ দেখে কী ভালোই লেগেছিল! আনন্দে মন কানায় কানায় ভরে উঠেছিল। সেই ভ্রমণ-অভিজ্ঞতা দিনের শেষে লিখে রাখতেন ডায়েরিতে। ওই লন্ডনেই শুরু হয়েছিল নগেন্দ্রনাথের লেখাপড়া। কৃষ্ণ কৃপালিনী দ্বারকানাথের যে জীবনী-গ্রন্থ লিখেছিলেন, সে বইতে আছে, দ্বারকানাথ ওদেশে কনিষ্ঠ পুত্রের শিক্ষার ব্যবস্থা করে তাঁকে সম্ভ্রান্ত ইংরেজ-সন্তানের মতোই গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। শুধু চাওয়া নয়, পুত্রের অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করার জন্য যেসব আনুকূল্য প্রয়োজন, উদার হস্তে সেসবের ব্যবস্থাও করেছিলেন। বঙ্গসন্তান নগেন্দ্রনাথ পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাহেব-সন্তানদের পিছনে ফেলে এগিয়ে থেকেছেন সব সময়। সহপাঠীদের মধ্যে তাঁর সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে, এমন একটিও ছাত্রও ছিল না।

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

নগেন্দ্রনাথের এই প্রবাস-বাস নিষ্কণ্টক ছিল না, সাফল্যের আনন্দ শোক-বেদনায় অনেক সময়ই ম্লান হয়ে গেছে। নগেন্দ্রনাথের ছাত্রজীবনে একের পর এক এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। তাঁর প্রবাসজীবন ভরে উঠেছিল ফ্যানি স্মিথ নামী এক তরুণীর অনাবিল প্রেমে। দুজনে একসঙ্গে বাগানে বসে কবিতা পড়তেন, কবিতা নিয়ে আলোচনা করতেন। এই সম্পর্ক পরিণয় পর্যন্ত পৌঁছয়নি। পরিণত-বয়সেও নগেন্দ্রনাথ ফ্যানিকে ভুলতে পারেননি। সযত্নে রক্ষিত ফ্যানির লেখা পত্রগুচ্ছ নিয়ে বসে থাকতেন। স্মৃতির সাগরে ডুব দিতেন।

দেশে ফেরার পর যশোরের মেয়ে ত্রিপুরাসুন্দরীর সঙ্গে নগেন্দ্রনাথের বিবাহ হয়। সে বিয়ের সুখের হয়নি। গগনেন্দ্রনাথ-কন্যা পূর্ণিমা দেবীর লেখা ‘ঠাকুরবাড়ির গগনঠাকুর’ বইতে আছে ত্রিপুরাসুন্দরীর খেদোক্তি। ত্রিপুরাসুন্দরী তাঁকে বলেছিলেন, ‘সে কি সুন্দর সুপুরুষ ছিল। সাহেবের মতো চেহারা। সে কিনা আমাকে পছন্দ করবে? জা তো সোহাগ করে বিয়ে দিলেন। সে কিন্তু আমার দিকে চেয়েও দেখত না। আমি তো দেখতে ভালো ছিলুম না।’
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৬৪ : অকারণে কেউ অন্যের ভালো করতে যায় না

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৭১: মা সারদার নলিনীর মানভঞ্জন

বিলেতেই মারা গিয়েছিলেন নগেন্দ্রনাথের পিতৃদেব। মৃত্যুর সময় নগেন্দ্রনাথ ছিলেন দ্বারকানাথের শয্যাপার্শ্বে। পিতার অসুস্থতাকে ঘিরে নরেন্দ্রনাথের উদ্বিগ্নতার শেষে ছিল না। পিতার মৃত্যু প্রবলভাবে বিচলিত করেছিল। শোকে মুহ্যমান, সমূহ-বিপদের মধ্যেও নিজের বিশ্বাস ও ভাবনার জগৎ থেকে তিনি সরে দাঁড়াননি। কতখানি আধুনিক মনের মানুষ ছিলেন, তা এই চরম শোকের মধ্যেও বোঝা গিয়েছে। তাঁর ইচ্ছাতেই পিতা দ্বারকানাথকে ওদেশে সমাহিত করার সময় কোনো ধর্মযাজকের সাহায্য নেওয়া হয়নি, আনুষ্ঠানিকতা পুরোপুরি বর্জিত হয়েছিল।

নগেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

শেষ পর্যন্ত নগেন্দ্রনাথ বিলাস-বৈভবের বিলেত-জীবন ছেড়ে কলকাতায়, জোড়াসাঁকোয় ফিরে এসেছিলেন। পরিস্থিতির চাপে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। অবনীন্দ্রনাথের লেখায় ধরা আছে নরেন্দ্রনাথের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের গল্প। গল্পের মতো শোনালেও তা ষোলআনা সত্য। নগেন্দ্রনাথ যেভাবে দেশকে ভালোবাসতেন, তার তুলনা হয় না। ভালোবাসতেন বলেই তাঁর বাঙালিয়ানায় একটুও আঁচড় পড়েনি। অবনীন্দ্রনাথের লেখা থেকে জানা যায়, তিনি ফিরে আসবেন শুনে বাড়িতে হই হই বেঁধে গিয়েছিল। চলে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা। সে জল্পনা-কল্পনা খুব যে অতিরঞ্জিত ছিল, তা নয়। সেটাই বোধহয় স্বাভাবিক ছিল।

সবাই ভেবেছিলেন, নগেন্দ্রনাথ ওদেশ থেকে সাহেব হয়ে ফিরে আসবেন। অবনীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘ছোটদাদামশায় সাহেব হয়ে ফিরে আসছেন—কীভাবে জাহাজ থেকে নামেন সাহেবি স্যুট পরে, বন্ধু-বান্ধব সকলেই গেছেন গঙ্গার ঘাটে তাই দেখতে।… জাহাজ লাগত খিদিরপুরের দিকে, সেখান থেকে পানসি করে আসতে হত। সবাই উৎসুক— নগেন্দ্রনাথ কি পোশাকে নামেন। তখনকার দিনে বিলেত ফেরত, সে এক ব্যাপার। জাহাজঘাটায় ভিড় জমে গেছে।’

এরপর যা ঘটল, তা অভিভূত করার পক্ষে যথেষ্ট। তাতে রূপবান মানুষটির অন্তরের সৌন্দর্যও আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অবনীন্দ্রনাথের লেখায় আছে, ‘ধুতি পাঞ্জাবি চাদর গায়ে, পায়ে জরির লপেটা। ছোটদাদামশায় জাহাজ থেকে নামলেন। সবাই তো অবাক।’

সত্যিই অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা। এত বছর পরও এসব জেনে আড়ালে থাকা নগেন্দ্রনাথের প্রতি নতুন করে আমাদের সম্ভ্রম জাগে, শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়।
* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (Tagore Stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।।

Skip to content