রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

এখন আমরা কমবেশি সবাই শরীর সচেতন। প্রায়ই আমরা পুষ্টিবিদের পরামর্শ একটু-আধটু মেনে চলার চেষ্টা করি। মেদ ঝরানো, রোগা হওয়া, ওজন কমানো কিংবা বডি বিল্ডিংয়ের প্রশ্ন উঠলেই পুষ্টিবিদেরা সাধারণত প্রশ্ন করেন ‘দিনে কতবার খান’? বেশিরভাগ পুষ্টিবিদেরা বলে থাকেন, বারবার অল্প পরিমাণে খেলে শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়ে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। কারণ বেশিবার খাওয়ার সঙ্গে ভালো হজম হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই বলেই বিজ্ঞান আমাদের জানায়। প্রতিবার খাবারের সঙ্গে প্রোটিন জাতীয় খাবারের ওপরই পেশীর গঠনে নির্ভর করে।
 

সঙ্গে থাকুক প্রোটিন

১৯৬০ সালে কয়েকজন বডি বিল্ডার তাঁদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় প্রত্যেকবার খাবারের সঙ্গে প্রোটিন রাখার নিয়ম চালু করেন। তাদের যুক্তি, দিনে ছয় বারের বেশি খেলে শরীরে প্রোটিন সিন্থেসিস বজায় থাকবে। এর ফলে পেশির গঠন সুগঠিত হবে খুব সহজেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা দিনে বারবার খাবারের সঙ্গে হজম ভালো হওয়ার কোন সম্পর্ক খুঁজে পাননি।

আরও পড়ুন:

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১০: মর্ত্যে আনিল ধ্রুবতারকারে ধ’রে

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬২: শ্রীমার দক্ষিণ ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন

 

৩ না ৬

যদি আপনি দিনে ৩বার খাবার খান তাহলে শরীরে অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমে যায়। বিশেষত্ব লিউসিন-এর মাত্রা সহজেই কমে যেতে পারে। আবার ৬বার খেলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে প্রোটিন সিন্থেসিস-এর ফলে ক্যাটাবলিজম কমে যায়। তাছাড়া দিনে ৬-৮ বার খেলে খিদে কম পায়। ফলে জাঙ্ক ফুডের খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই এড়িয়ে চলা যায়।

আরও পড়ুন:

পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮২: খটকা

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৬:কোনও একটি দাবিতে বিরোধীরা জোট বাঁধুক কখনও চায় না শাসক

 

কোনটি গ্রহণযোগ্য

যেটি আপনার শরীরের পক্ষে উপযুক্ত আপনি সেটাই করবেন। আপনার শরীরের মেদ ঝরাতে চাইলে আপনি এই দুটির মধ্যে যেকোনও একটি ডায়েট প্লেন মেনে চলতে পারেন। তবে যাঁরা পেশী সুগঠিত চেহারা পছন্দ করেন, তাঁরা অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ফিটনেস রুটিন তৈরি করে নেবেন। কারণ ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন হয় শরীরের গঠন এবং অন্যান্য বিষয় গুলি।


Skip to content