ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
প্রবল গরমে একটু ডাবের জলে গলা ভেজাতে অনেকেই পছন্দ করেন। বাজারচলতি নরম পানীয়র চাইতে ডাবের জল ঢের ভালো। ডাবের জলে একাধিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে। কচি ডাবের জল পেটের পক্ষে উপকারী। আবার এই জল শরীরে খনিজের ভারসাম্যও বজায় রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভালো নয়। ডাবের জলও না। এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা। যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের একটু বুঝে ডাবের জল খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ডাবের জল পান করলে শরীরে খনিজের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। হাইপারক্যালেমিয়ার (পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়) সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডাবের জলে প্রচুর পরিবারে সোডিয়াম থাকে। ফলে এই জল অতিরিক্ত পান করলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। আবার পটাশিয়ামও ডাবের জলের অন্যতম উপাদান। ফলে পটাশিয়াম অতিরিক্ত হয়ে গেলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। অর্থাৎ যাঁরা রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা একটু সতর্কভাবে ডাবের জলে চুমুক দেবেন। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের ডাবের জল পান করা উচিত না উচিত নয়, তা নিয়ে দুই রকম মতামত রয়েছে। এক পক্ষের মতে, শরীরে জলের ঘাটতি হলে ডাবের জল শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আবার আরেক পক্ষের মত, ডাবের জলে শর্করার পরিমাণ এত বেশি যে তা রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে কি না বুঝবেন কী করে? চোখ, পা, ত্বকের এই সব লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন
ঘুম থেকে উঠেই জল খান? কিন্তু বহু দিনের এই অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?
কারও কারও আবার ডাবের জল পান করলে অ্যালার্জিও হয়। আবার কাটার সঙ্গে সঙ্গে ডাবের জল না পান করলেও সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাই তাঁদের মতে, ডাবের সুস্বাদু এই জল পান করার আগে একটু নিজের শরীরের অবস্থা জেনে রাখা ভালো। আর পরিমিত হারেই তা পান করা উচিত।