কথায় বলে স্মৃতিই নাকি মানুষকে অমরত্ব প্রদান করে। মনুষ্যজীবনের নশ্বরতাকে স্মৃতির অণু-পরমাণুই অতিক্রম করে তাকে করে তুলতে পারে অসীমের যাত্রী। আর আমরা বলি কেবল স্মৃতি নয়, ব্যক্তি প্রতিভার আধারে যে কীর্তি প্রতিভাত হয়, সেই কীর্তিই স্মৃতির আধারে আধারিত হয়ে বিশেষ করে তোলে ব্যক্তি প্রতিভাকে, মহান করে তোলে মনুষ্যত্বকে। আজ তেমনই এক মেয়ের কথা বলতে এসেছি। ব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি কোণে ছিল তার অবাধ বিচরণ। সেইজন্যই বোধকরি ব্রহ্মাণ্ডের দত্তক পুত্রী চিরতরে নিরুদ্দেশের পথে রওয়ানা দিলেন। তাঁর নাম কল্পনা চাওলা। ভারতের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী তিনি। ২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মহাকাশের বুকে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আজ সেই নিরুদ্দেশের পথে পাড়ি দেওয়া কন্যাটিরই গল্প হোক তবে।
১৯৬২ সালে হরিয়ানার কর্নেলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কল্পনা। চার ভাই-বোনের মধ্যে কনিষ্ঠাতম এই কন্যাটি বরাবরই লেখাপড়ায় ছিল অত্যন্ত মেধাবী। পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার পর ১৯৮২ সালে আমেরিকায় পাড়ি দেন কল্পনা। অন্তরে ছিল অজানাকে জানার অসীম কৌতূহল এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়নের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস। আর সেই আত্মবিশ্বাস এবং মেধাকে অবলম্বন করেই কল্পনা নাসার রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। এরপর ১৯৯৫ সালে তিনি নাসার মহাকাশযাত্রীদের কোর টিম-এ শামিল হন তিনি। দীর্ঘ আট মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯৭ সালে প্রথমবার ৩৫ বছর বয়সে মহাকাশের পথে পাড়ি দেন ভারতকন্যা কল্পনা। ১.০৪ কোটি মাইলের যাত্রায় কল্পনার সঙ্গী ছিলেন আরও ছজন যাত্রী। কলম্বিয়া এসটিএস-৮৭ (STS-87) মহাকাশযানে চড়ে তাঁরা রওনা হয়েছিলেন। প্রথমবারের যাত্রায় ৩৭২ ঘণ্টা মহাকাশে ছিলেন কল্পনা ও তাঁর ছয় সঙ্গী। দ্বিতীয়বার ২০০৩ সালে ফের মহাকাশ যাত্রা করেন কল্পনা ও তাঁর ছজন সঙ্গী, আর সেই যাত্রাতেই ঘটে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্যপূরণের সাফল্যকে পাথেয় করেই ঘরের পথে যাত্রা করেছিলেন কল্পনা ও তাঁর সঙ্গীরা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরই আচমকা ভেঙে পড়ে তাঁদের মহাকাশযান ‘কলম্বিয়া’, যার ধংসাবশেষ ও যাত্রীদের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল টেক্সাসে। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। ভারতের ভারতরত্নটির আর ঘরে ফেরা হয়নি। লক্ষ্যপূরণ হলেও বাকি জীবনের স্বপ্নটুকু অধরাই থেকে গেল মহাবিশ্বের দত্তক পুত্রীর। কল্পনাদের আগেও নাসা হারিয়েছে আরও এমন অনেক মহাকাশচারীকে। ৩৫ বছর আগে ১৯৮৬-তে মহাকাশযান ‘চ্যালেঞ্জার’ ভেঙে পড়ার দুর্ঘটনা নাসাসহ ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল সমগ্র বিশ্বের, আর ২০০৩ সালে ‘কলম্বিয়া’র ঘটনা মহাকাশ যাত্রার ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম আতঙ্কের দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে চিরকাল। এই দুর্ঘটনার পর টানা দু’বছর সব রকমের মহাকাশ অভিযান বন্ধ রেখেছিল নাসা। কলম্বিয়ার বাকি যে ৬ জন মহাকাশচারী সে দিন প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন রিক হাসব্যান্ড যিনি ছিলেন ওই মহাকাশযানের কম্যান্ডার। এছাড়াও ছিলেন পাইলট উইলিয়াম ম্যাককুল, পে লোড কম্যান্ডার মিশেল অ্যান্ডারসন, আয়ান রামান, ডেভিড ব্রাউন ও লরেল ক্লার্ক।
১৯৬২ সালে হরিয়ানার কর্নেলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কল্পনা। চার ভাই-বোনের মধ্যে কনিষ্ঠাতম এই কন্যাটি বরাবরই লেখাপড়ায় ছিল অত্যন্ত মেধাবী। পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার পর ১৯৮২ সালে আমেরিকায় পাড়ি দেন কল্পনা। অন্তরে ছিল অজানাকে জানার অসীম কৌতূহল এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়নের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস। আর সেই আত্মবিশ্বাস এবং মেধাকে অবলম্বন করেই কল্পনা নাসার রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। এরপর ১৯৯৫ সালে তিনি নাসার মহাকাশযাত্রীদের কোর টিম-এ শামিল হন তিনি। দীর্ঘ আট মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯৭ সালে প্রথমবার ৩৫ বছর বয়সে মহাকাশের পথে পাড়ি দেন ভারতকন্যা কল্পনা। ১.০৪ কোটি মাইলের যাত্রায় কল্পনার সঙ্গী ছিলেন আরও ছজন যাত্রী। কলম্বিয়া এসটিএস-৮৭ (STS-87) মহাকাশযানে চড়ে তাঁরা রওনা হয়েছিলেন। প্রথমবারের যাত্রায় ৩৭২ ঘণ্টা মহাকাশে ছিলেন কল্পনা ও তাঁর ছয় সঙ্গী। দ্বিতীয়বার ২০০৩ সালে ফের মহাকাশ যাত্রা করেন কল্পনা ও তাঁর ছজন সঙ্গী, আর সেই যাত্রাতেই ঘটে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্যপূরণের সাফল্যকে পাথেয় করেই ঘরের পথে যাত্রা করেছিলেন কল্পনা ও তাঁর সঙ্গীরা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরই আচমকা ভেঙে পড়ে তাঁদের মহাকাশযান ‘কলম্বিয়া’, যার ধংসাবশেষ ও যাত্রীদের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল টেক্সাসে। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। ভারতের ভারতরত্নটির আর ঘরে ফেরা হয়নি। লক্ষ্যপূরণ হলেও বাকি জীবনের স্বপ্নটুকু অধরাই থেকে গেল মহাবিশ্বের দত্তক পুত্রীর। কল্পনাদের আগেও নাসা হারিয়েছে আরও এমন অনেক মহাকাশচারীকে। ৩৫ বছর আগে ১৯৮৬-তে মহাকাশযান ‘চ্যালেঞ্জার’ ভেঙে পড়ার দুর্ঘটনা নাসাসহ ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল সমগ্র বিশ্বের, আর ২০০৩ সালে ‘কলম্বিয়া’র ঘটনা মহাকাশ যাত্রার ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম আতঙ্কের দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে চিরকাল। এই দুর্ঘটনার পর টানা দু’বছর সব রকমের মহাকাশ অভিযান বন্ধ রেখেছিল নাসা। কলম্বিয়ার বাকি যে ৬ জন মহাকাশচারী সে দিন প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন রিক হাসব্যান্ড যিনি ছিলেন ওই মহাকাশযানের কম্যান্ডার। এছাড়াও ছিলেন পাইলট উইলিয়াম ম্যাককুল, পে লোড কম্যান্ডার মিশেল অ্যান্ডারসন, আয়ান রামান, ডেভিড ব্রাউন ও লরেল ক্লার্ক।
ভারতবাসী তথা বিশ্ববাসীর হৃদয়ে কল্পনা চাওলার স্থান চিরকালীন। কল্পনার পেশাদারিত্বর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে তাঁর নামে তৈরি হচ্ছে স্পেসস্টেশন। এয়রোস্পেস সংস্থা নর্থরোপ গ্রুমেন কর্পোরেশন তাদের সিগনেস স্পেসক্রাফ্ট-এর নাম রাখবে কল্পনার নামে। ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি এই বীরযোদ্ধাদেরকে স্মরণ করে ১ ফেব্রুয়ারিকে ‘দ্য ডে অফ রিমেমব্রান্স’ হিসাবে ঘোষণা করল নাসা। প্রকৃত অর্থেই মহাকালকে জয় করার নির্ভীকতার অধিকারী ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশ বিজ্ঞানী কল্পনা চাওলা। বিজ্ঞান ও বিশ্ব এই মহাকাশের অনন্যার প্রতি চিরকাল শ্রদ্ধাবনত হয়ে থাকবে।
ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।