বুধবার ৩ জুলাই, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

এখনও চৈত্র মাস শেষ হয়নি। এখনই গরমে জেরবার অবস্থা। চাঁদিফাটা গরম এবং অস্বস্তিকর পরিবেশে কাবু বাংলা। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য দিন গুনছেন বঙ্গবাসী। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে দিয়েছে, এখনই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বরং তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়বে। এমনকি, কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার পারদ ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলতে পারে। কয়েকটি জেলায় দিনের তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের থেকে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি থাকবে। বুধবার আবহাওয়া দফতর তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে—পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। বৃহস্পতিবার হয়েছে—পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় জেলার পাশাপাশি, পারে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন:

এসি চালিয়েও কীভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবেন? জেনে নিন এসি-র খুঁটিনাটি

গরমে প্রচুর ঘাম হয়? এমন দিনে শরীরে জলের জোগান ঠিক রাখতে এই ৫ ফল খান

শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। কোনও কোনও এলাকায় ‘লু’-ও বইতে পারে। এই জেলাগুলিতে শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে বলে হাওয়া দফতর।

তবে বাংলার ছয় জেলায় বিকেলের পর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতার তাপমাত্রা চলতি সপ্তাহেই ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর পৌঁছে যেতে পারে। তবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমের সঙ্গে অস্বস্তিও বাড়বে।
আরও পড়ুন:

জল ঠিক মতো খাওয়া হচ্ছে না? শরীর কিন্তু নিজেই জানিয়ে দেবে, কোন ৫ উপসর্গে একদমই অবহেলা নয়?

রক্ত পরীক্ষার না করেই কী ভাবে বুঝবেন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়েছে কি না?

কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বুধবার সকালে ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি, অর্থাৎ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৩৭ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ পারদ ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রি, অর্থাৎ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৩০ থেকে ৯১ শতাংশ।

ঝড়বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে বুধবার থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলার কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলার কয়েকটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুধু জলপাইগুড়ি নয়, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার কয়েকটি এলাকায়।

Skip to content