সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

এখন বেশিরভাগ মানুষই কোমরের ব্যথায় কষ্ট পান। অনেক সময় ডাক্তার দেখিয়েও বিশেষ কোনও উপকার পান না। কেউ কেউ আবার বলেন—ফিজিওথেরাপি ট্রিটমেন্ট অনেক করেছি, কিন্তু কোনও লাভ হয় না৷ যখন করি তখন ঠিক হয়ে যায়, পরে আবার বেড়ে যায়। আপনারা কি কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন এরকম হয়? কারণ হল—চিকিৎসক বা ফিজিওথেরাপিস্ট যাঁকেই দেখান না কেন, তাঁরা কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দেন৷ কিন্ত অধিকাংশ মানুষ সেই পরামর্শ ঠিকমতো মেনে চলেন না৷ যেমন ধরুন—কখনও কখনও কাউকে বলা হয় সামনের দিকে ঝুঁকবেন না, আবার কাউকে বলা হয় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না বা বসে থাকবেন না৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই পরামর্শ ঠিকমতো মেনে চলেন না৷ প্রথমদিকে কিছুটা মানলেও পরের দিকে যখন ব্যথাটা একটু কমে যায়, তখন আবার আপনারা আগের মতো সবকিছু করার চেষ্টা করেন৷ সেখান থেকেই আবার ব্যথাটা ফিরে আসে।

কোমরে ব্যথা অনেক কারণে হয়৷ কমবেশি বছর চল্লিশেক বয়সের পর থেকেই সাধারণত বয়স্কজনিত হাড়ের সমস্যা শুরু হয়৷ যেটাকে আমরা সাধারণত লাম্বার স্পন্ডিলোসিস বলি। এটা সাধারণত সবারই দেখা যায় একটা বয়সের পর৷ তাই কোমরে ব্যথাটাও সবারই কমবেশি একটা সময়ের পর থেকে দেখা যায়। এছাড়া আরও অনেক রকমের পরিস্থিতি তৈরি হয়, যে কারণে কোমরে ব্যথা শুরু হয়৷ স্পন্ডিলোলিস্থেসিস, স্লিপ ডিস্ক, মাসকুলার ইমব্যালেন্স-এর মতো সমস্যায় নির্দিষ্ট কিছু এক্সারসাইজ করতে হয়৷ আর সেই এক্সারসাইজগুলো সাধারণত করে যেতে হয়৷ আর এই গুরুত্বপূর্ণ এক্সারসাইজগুলোই ভুক্তভোগীরা নিয়মিত সঠিক পদ্ধতি মেনে করেন না৷ সাধারণত কোমরে ব্যথার জন্য যে এক্সারসাইজগুলো করতে হয় সেগুলোই তাঁরা করে যান, যে কারণে ব্যথার কোনও উপশম পান না।

অল্পবয়স্ক অনেকের কোমরে ব্যথা হয়৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে হাই হিল পরার জন্য হতে পারে৷ পুরুষদের ক্ষেত্রে শুধু পুরুষ নয় মহিলা পুরুষ উভয়েই অনেকক্ষণ বসে কম্পিউটারে কাজ করলে কোমরে ব্যথা শুরু হয়৷ সেসব ক্ষেত্রে আমরা বলি অনেকক্ষণ একটানা বসে কাজ করবেন না৷ মাঝে মাঝে উঠে একটু হাঁটাচলা করবেন তাহলে দেখবেন কোমরে ব্যথা অনেকটাই কন্ট্রোলে থাকবে। হিল পরাটা অ্যাভয়েড করুন কোমরে ব্যথা থাকলে।

অনেক ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথা কমতে চায় না স্থূলতার কারণে৷ যাঁদের অতিরিক্ত ভুঁড়ি থাকে তাঁদের স্পাইনটা সামঞ্জস্য রাখতে পারে না, ফলে ব্যথা সৃষ্টি করে৷ তাই কোমরে ব্যথার উপশম পেতে চাইলে স্থূলতার দিকেও আপনার নজর রাখতে হবে।

যোগাযোগ: ৯০৫১৮৪৩৫৩১

Skip to content