শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

মায়েরা সব সময়েই বলে থাকেন, বেশি করে জলপান খেতে। যদিও সে কথা আর ক’জন আর শোনেন? যাঁরা সারাদিন অফিসে বসে কাজ করেন, তাঁদের তো বিপত্তি আরও বেশি। সারা ক্ষণ বসে কাজ করে পেট-কোমরের মেদ বাড়তে থাকে। তার উপরে শরীরচর্চার সঙ্গে কোনও নেই। সঙ্গে জল কম খাওয়া ইত্যাদি কারণে কম বয়স থেকেই শরীরে নানাবিধ রোগ বাসা বাঁধতে থাকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম বড় কারণ হল জল কম খাওয়া। তা ছাড়া স্থূলত্ব, বিশেষ কিছু ওষুধ খাওয়া, সাপ্লিমেন্ট খাওয়া, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও কারও কারও কিডনিতে পাথর জমতে পারে। একঝলকে জেনে নিন, এ ক্ষেত্রে কাদের কিডনিতে পাথর ঝুঁকি বেশি।
কিডনি আমাদের শরীর থেকে শুধু রেচন পদার্থই বার করে না, তার আরও বড় ভূমিকা রয়েছে। যেমন— কিডনি রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতেও এর কিডনির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করা, হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার দায়িত্ব কিডনির। কিডনিতে পাথর জমলে ভয়ের খুব বেশি কারণ নয়। তবে দ্রুত সেই পাথর শরীর থেকে বার না হলে সমস্যা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন:

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১: ভাঙনের জয়গান গাও

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৬: স্রোতস্বিনী পদ্মায় লাফিয়ে কবির কটকি চটি-উদ্ধার

 

জলপান

রোজ দিনে অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার জল খাচ্ছেন তো? না হলে কিন্তু মুশকিল।
 

রক্তে ক্যালসিয়াম

অনেক সময় রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়লে এবং খনিজ উপাদানগুলির ভারসাম্য বিগড়ে গেলেও কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৪: লোকশিক্ষক মা সারদা

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩০: নলিনী দাশ— গণ্ডালুর সৃজনশিল্পী

 

উদ্বেগ ও মানসিক চাপ

মানসিক চাপ, অতিরিক্ত উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা থেকে ভ্যাসোপ্রেসিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন আমাদের মূত্রের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। এর ফলেও কিডনিতে পাথর জমতে পারে।
 

লবণ

আপনি কি বেশি লবণ খান না কি? এমন অভ্যাস থাকলে আজ থেকেই লবণ খাওয়ার মাত্রা কমিয়ে দিন। খাদ্যে লবণের অর্থাৎ সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-২: যতই দেখি তারে, ততই দহি…

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৬: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসাসা— নুনিয়া ও সিঙ্গরা

 

বাতের সমস্যা

বাতের সমস্যা থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে দেখা গিয়েছে।
 

মদ্যপান

বেশি মাত্রায় মদ্যপানও কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নরম পানীয়, বেশি মিষ্টি দেওয়া প্যাকেটজাত পানীয় বেশি খাওয়াও কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।
 

প্রাণিজ প্রোটিন

যাঁরা বেশি প্রাণিজ প্রোটিন যাঁরা খাচ্ছেন, তাঁদেরও কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি। খুব বেশি তেলমশলা দিয়ে কষিয়ে মাংস বা মাছ, ডিম প্রায় রোজ খেতে শুরু করলে বিপদ বাড়তে পারে। এমনকি, বাইরের খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেলে কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়বে।


Skip to content