ছবি: প্রতীকী।
অভিনেত্রী হিসাবে জয়া বচ্চন যখন বলিউডে খ্যাতির মধ্যগগনে, অমিতাভ বচ্চন তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জমি সবে তৈরি করছেন। কোনও প্রতিষ্ঠিত নায়িকাই অমিতাভের সঙ্গে কাজ করতে সহজে সম্মত হতেন না। কিন্তু জয়া যখন রাজি হলেন, লোকে তাঁকে ‘উন্মাদ’ বলে মন্তব্য করতে লাগল। কেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনয় জগতে তারকাদের লড়াই প্রসঙ্গে অতীতের কথা জানালেন জয়া।
অভিনয় জীবনের শুরুতে পর পর ছবি ফ্লপ করছিল অমিতাভের। এগারোটি ছবি ব্যর্থ হয় তাঁর। হতাশ অমিতাভ এক সময় ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেবেন বলেই মনস্থির করেছিলেন। এমন সময় তাঁর কাছে আসে ‘জঞ্জির’ ছবির প্রস্তাব। নির্মাতাদের প্রয়োজন ছিল জয়াকে। তিনি তখন রয়েছেন তাঁর কেরিয়ারের ঊর্ধ্ব গগনে। প্রথম ছবি ‘গুড্ডি’ (১৯৭১) থেকেই সফলতা পেয়েছিলেন জয়া। তবে অমিতাভের প্রথম ছবি ‘সাত হিন্দুস্তানি’ (১৯৬৯) সাফল্যের মুখ দেখেনি। যেই পাশে এলেন জয়া, অমনি যেন ভাগ্য ফিরল অমিতাভের।
আরও পড়ুন:
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৬৩: আমার মালতী লতা কী আবেশে দোলে…
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৩: তরু দত্ত— এক আনন্দ বিষাদের তরুলতা
‘জঞ্জির’-এর বিক্রয়যোগ্যতা তৈরি করতেও দরকার ছিল জয়ার মুখ। যদিও চিত্রনাট্য শুনে জয়া মনে করেছিলেন, এই ছবিতে তাঁর ভুমিকা কিছুই নেই। তবে শেষ পর্যন্ত অমিতাভের জন্যই সে ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হন তিনি। ‘জঞ্জির’ ছবিতে অভিনয় করে অমিতাভ বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ হিসাবে তাঁর যাত্রাও শুরু এই ছবি থেকেই। সেই ঘটনা উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার করেন জয়া। অমিতাভের সঙ্গে অভিষেকের যে প্রায়ই তুলনা টানা হয় সেই প্রসঙ্গে বলেন, “যতই উচ্চতায় থাকুক অমিতাভ, প্রতিভা থাকলে আলাদাভাবেই নজরে আসবেন অভিষেক। কিন্তু লড়াই করতে হবে ওকে সেই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য।”
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৩: বাবু ডাক্তার ও ‘ডাক্তারবাবু’
মুভি রিভিউ: দ্য ওয়েডিং গেস্ট—অনাহুত গেস্ট দেব স্বয়ং অপহরণ করলেন কনে রাধিকাকে
জয়া আরও বলেন, “লোকে আমায় উন্মাদ বলতে শুরু করেছিল, যেই আমি অমিতজির সঙ্গে কাজ করতে রাজি হলাম। ওর দ্বারা হয়তো আর কিছুই হবে না, এ নিয়ে অনেকেই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল।” পরে সেই সব তাচ্ছিল্যকারীদের অনেকেই অমিতাভের সঙ্গে কাজ করার জন্য আগ্রহী হয়ে ছিলেন, একথা হাসিমুখে জানালেন অমিতাভ-পত্নী।
আরও পড়ুন:
আপনার লুকে কেমন সানগ্লাস মানানসই জানেন?
বেশির ভাগ সময়েই এসি ঘরে কাটে? এই ৫টি রোগ কিন্তু নিঃশব্দে বেড়ে চলেছে, জানতেন?
শুধু এক জন অভিনেত্রী বলে নয়, সিনেমার ছাত্রী হিসাবেও আগাগোড়া দূরদর্শী ছিলেন জয়া। পক্ষপাতমুক্ত ভাবেই জানালেন, অমিতাভ কিংবা অভিষেক নয়, তিনি এক জন ভালো অভিনেতাকে কদর করতে জানেন। সে যে কেউ হতে পারে। তাঁর কথায়, “শাহরুখ খান যদি অমিতাভ বচ্চনের জায়গা নিতে পারে, তাতে মন্দ কী!”