ছবি: প্রতীকী।
দুধ অন্যতম একটি সুষম খাবার। তাই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরা দুধকে সুষম খাবার তালিকাতে রাখেন। সদ্যোজাত শিশু থেকে বয়স্ক, এক কথায় সবার জন্যই দুধ খুবই উপকারী একটি খাবার। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কারও যদি দুধ খেলে অ্যালার্জি হয় তাহলে সতর্ক হতে হবে। কারও কারও আবার দুধ খেলে গ্যাস-অম্বলও হয়। এ ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। পুষ্টিবিদের কথায়, মাথায় রাখতে হবে দুধ কখন খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন। অর্থাৎ সময় এবং পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। এই ধরুন অনেকেই আছেন, যাঁরা সকালে দুধ খান। ব্যাস এর পরই শুরু হয়েব যায় গলা-বুক জ্বালা।
মনে রাখতে হবে অম্বলের ধাত, সকালে দুধ খাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে রাতে দুধ খেতে হবে। আর ঠান্ডা দুধ খাওয়াই ভালো। এতে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে জানা থাকলে ভালো, বাচ্চাদের আবার দুধ খাওয়ার সেরা সময় হল সকালবেলা। তবে রাতে ঘুমোনোর আগে দুধ খেলে অনিদ্রার সমস্যা কমে। আবার আমাদের দেহ অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়ামও শোষণ করতে পারে।
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!, পর্ব-৪৯: হোটেলের বাথটাবে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী কৌশিকী
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— রামবাণ ও পানি তাঙ্কি
জানলে ভালো, দুধ ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটটামিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ। এই সব উপকারী উপাদান সঠিক সময়ে ও যথাযথ পরিমাণে খেলে তবেই শরীরের উপকারে লাগবে। এমনটাই মত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের। এ প্রসঙ্গে ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’ বিজ্ঞানপত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ওয়াল্টার উইলেটের তাঁর মতামত জানিয়েছেন। ওয়াল্টারের কথায়, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা নারী দিনে সঠিক পরিমাণে দুধ খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকবে না। সেই সঙ্গে শারীরিক নানা সমস্যা থেকেও মুকটই মিলবে।
আরও পড়ুন:
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৯: শাসক বেকায়দায় পড়লেই প্রতিপক্ষকে সন্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়, যদিও রাজনীতিতে সে সব মানা হয় না
পর্দার আড়ালে, পর্ব-৬২: সত্যজিৎ রায় রুপটান শিল্পীকে বলেছিলেন, উত্তমকুমারের কোনও মেকআপ করার
রিপোর্ট বলছে, এক জন ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা দিনে ২ থেকে ৩ কাপ দুধ খেতেই পারেন। তবে এর বেশি খাওয়া শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। আবার এক জন পুরুষ ৩ থেকে ৪ কাপ দুধ খেতে পারেন। তবে পনির এবং ছানাও খেলে দিনে ২ কাপের বেশি দুধ খাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩
মুভি রিভিউ: মামুটির মাল্টিস্টারার ছবি ‘সিবিআই ৫: দ্য ব্রেন’ গতানুগতিক থ্রিলার
তবে ছোটদের ক্ষেত্রে অবশ্য হিসেবটা অন্যরকম। ১২ থেকে ২৪ মাসের শিশু দিনে ২-৩ কাপ পর্যন্ত দুধ খেতে পারে। দিনে দুই থেকে আড়াই কাপের বেশি দুধ খাওয়ানো যাবে না ২ থেকে ৫ বছরের শিশুকে। ৫ থেকে ৮ বছর বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রেও দিনে দুই থেকে আড়াই কাপ দুধ খাওয়া ঠিকঠাক। আর যাদের বয়স ৯ বছরের বেশি, তারা দিনে তিন কাপের মতো দুধ খেতে পারে। এও বলা হয়েছে, কারও কারও গরুর দুধ খেলে অ্যালার্জি হয়। সে ক্ষেত্রে উদ্ভিদজাত দুধ খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৮১: তথাকথিত পরিচয়হীন প্রতিভার মূল্যায়ন কী শুধুই সাফল্যের নিরিখে সম্ভব?
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ
পর্যাপ্ত পরিমাণে উদ্ভিদজাত দুধ পাওয়া যায় বাদাম, ওট্স, নারকেল ও সয়াবিন থেকে। আমন্ড মিল্ক, কোকোনাট মিল্ক, ওট্ মিল্ক এবং সয়া মিল্ক থেকেও উদ্ভিদজাত দুধ পাওয়া যায়। প্রাণিজ দুধের বিকল্প হিসেবে এই সব উদ্ভিদজাত দুধ নিশ্চিন্তে খাওয়া যেতে পারে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। দেখে নিতে হবে, তারা দুধ হজম করতে পারছে কি না। যদি কারও দুধ খেলেই বমি ভাব আসে বা গ্যাস- অম্বলের সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে দুধ না খাওয়াই উচিত।