অনেকেরই সকাল শুরু হত ভেজানো ছোলা খেয়ে। ছোলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন। কাঁচা বাদামও খুবই উপকারী। তবে বাদামে যতটা ফ্যাট আছে, তা আবার ছোলাতে নেই। তাই স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে খাবার হিসেবে ছোলার কদর বেশি। তবে উপকারী বলে কি মুঠো মুঠো কাঁচা ছোলা খাওয়া যায়? পুষ্টিবিদদের একাংশ বলছেন, সারা দিনে এক মুঠো ছোলা খাওয়াই ঠিকঠাক। প্রতিদিন ভেজানো ছোলা খেলে কী কী উপকার পাওয়া যাবে?
ডায়াবেটিস
● ভেজানো ছোলা ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী। কারণ ছোলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশ কম। ফলে ছোলা খেলে সহজেই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এ ছাড়া ছোলায় আছে প্রোটিন এবং ফাইবার। এই প্রোটিন ও ফাইবার সামগ্রিক ভাবে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকরী।
হাড়ের স্বাস্থ্য
● ছোলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এই ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম আমাদের হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। বয়সকালে হাড়ের নমনীয়তা কমে যায়। হাড়ের নমনীয়তা ধরে রাখতেও ছোলায় থাকা এই সব উপাদান জরুরি। পাশাপাশি আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিয়োপোরোসিসের মতো সমস্যা প্রতিরোধেও নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে উপকার মিলবে।
মেদ ঝরাতে
● আপনি কি নিয়মিত শরীরচর্চা করে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে চাইছেন? এক্ষেত্রে ডায়েটে ভেজানো ছোলা রাখতে পারেন। ছোলাতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার থাকে, মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা
● এই মরসুমে সর্দিকাশি এবং সংক্রমণজনিত সমস্যা ঘরে ঘরে লেগেই থাকে। দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়াতে হলে ভেজানো ছোলা খাওয়া যেতে পারে।
রক্তাল্পতা
● বহু মহিলা আছেন, যাঁরা রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন। ছোলায় কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন রয়েছে। তাই রোজ দিন ভেজানো ছোলা খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও বাড়ে।