পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি দূর করতে শসা খাওয়ার পরামর্শ দেন। জলে পরিপূর্ণ ও অল্প ক্যালোরির শসা ওজন কমাতেও সামান ভাবে কার্যকর। শসা খেলেই পেট ভরে থাকলেও শরীরে সে ভাবে ক্যালোরি প্রবেশ করে না।
তাই ওজন কমাতে রোজের খাদ্যতালিকায় শসা থাকা উচিত। শসার সিংহভাগই জলপূর্ণ। কিন্তু অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, শসায় কি শুধুই জল আছে? না কি শসা পুষ্টিগুণেও ভরপুর?
পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, একটি শসার ৯৬ শতাংশই জল। তাই দেহে জলের ঘটতি দূর করতে শসা খুবই উপকারী। সেই সঙ্গে এটি পুষ্টিগুণের বিচারেও কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। শসায় রয়েছে ভিটামিন বি, সি, কে, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। তবে এই সব উপাদান অন্যান্য ফল ও সব্জির থেকে পুষ্টিগুণের মাত্রা কিছুটা কমই। শসায় শুধু ভিটামিন নয়, সঙ্গে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং কিছুটা পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড আছে।
শসা কেন খাবেন?
শরীরকে আর্দ্র রাখতে
● শসায় পুষ্টিগুণ কম থাকলেও এর উপকারিতা কম নয়। এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকায় শসা দেহের আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এই সব্জি আমাদের হজমেও সহায়ক। আবার পেট পরিষ্কার রাখতেও ভালোই কাজ করে।
হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
● ভিটামিন এবং খনিজের মাত্রা কম থাকলেও সেগুলি আমাদের শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। শসায় থাকা ভিটামিন কে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আবার রক্ততঞ্চনেও সাহায্য করে। শসায় থাকা ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও আছে, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শসায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে পরোক্ষ ভাবে হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
হজমের জন্য ভালো
● শসায় উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার হজমের জন্য খুবই উপকারী। কারণ শসা খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। পাশাপাশি এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস, ট্যানিন আমাদের প্রদাহ কমাতেও কার্যকর।
খাদ্যতালিকায় আর কী কী সব্জি?
● শসার পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় ব্রকোলি, পালংশাক, ফুলকপির মতো কম ক্যালোরি সম্পন্ন সব্জি রাখা যেতে পারে। তবে এই সব সব্জিতে শসার থেকে তুলনায় কিছুটা বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি এবং কে রয়েছে। আবার পালংশাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে এবং ফোলেট। তবে ওজন ঝরাতে বা সুস্থ থাকতে কেবল কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার থাকলেই হবে না, প্রয়োজন সব্জি, লিন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সঠিক সমন্বয়।