বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: সংগৃহীত।

উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে অরণ্যের অলঙ্কার হচ্ছে হাতি। অবশ্য নানা কারণে এখন হাতির সংখ্যা দ্রুত কমছে। সাধারণ ভাবে মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলেও মাঝে মাঝে অনিবার্য হয়ে উঠে হাতি মানুষের সংঘাত। উত্তর পূর্বাঞ্চলে সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও কিংবদন্তিতে রয়েছে এই প্রাণীটির গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান।

মোগল শাসকরা এই অঞ্চলের হাতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। তারা সেদিন যুদ্ধ ক্ষেত্রে একে ব্যবহার করেছিল বর্তমান দিনের জীবন্ত ট্যাঙ্কের মতো। সেজন্য মোগলরা উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে হাতি সংগ্ৰহে সচেষ্ট ছিল। সম্রাট আকবরের মন্ত্রী আবুল ফজলের মতে সম্রাটের পিলখানার উৎকৃষ্ট হাতি ছিল ত্রিপুরার। এই হাতির জন্যই মোগলদের হাতে ত্রিপুরা আক্রান্ত হয়েছে। অসমেও ঐতিহ্যর সাথী হচ্ছে হাতি। সেই মহাভারতের যুগ থেকেই তা বহমান। মনিপুরের ইতিহাসেও অনুল্লেখ্য নয় হাতি।
পূর্বোত্তরে সর্বাধিক হাতি রয়েছে অসমে। অতীতের তুলনায় অবশ্য বর্তমানে এর সংখ্যা দারুণ ভাবে কমে এসেছে। একদা রাজশক্তির অন্যতম মাপকাঠি এবং গৌরবের প্রতীক ছিল হাতি। অসমের ইতিহাসের নানা অধ্যায়ে জড়িয়ে আছে আপাত নিরীহ এই প্রাণীটি। বিভিন্ন প্রাচীন কাব্য সাহিত্য-সহ চৈনিক পরিব্রাজকদের ভ্রমণ বিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে অসমের হাতির। এমনকি সেই মহাভারতের যুগ থেকেই উল্লেখ করা যায় অসমের হাতির কথা। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে পাণ্ডব সেনাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল প্রাগজ্যোতিষের নৃপতি ভগদত্তের হাতি সুপ্রতীক।

সুদূর অতীতে কামরূপ নৃপতি কুমার ভাস্করবর্মণ কনৌজের বৌদ্ধ সম্মেলনে যোগদানের সময় পাঁচশ হাতির মিছিল নিয়ে গিয়েছিলেন। হিউয়েন সাঙ তাঁর ভ্রমণ বিবরণীতে অসমের সমৃদ্ধ হাতির কথা উল্লেখ করেছেন। যুদ্ধ বিজয়ের পর মোগল এবং কোচরা সন্ধির শর্ত অনুসারে এই অঞ্চল থেকে হাতি নিয়ে গিয়েছে। সপ্তদশ শতকে মোগল সেনাপতি মীরজুমলার সঙ্গে শান্তি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মোগল সম্রাটকে আহোমদের বিপুল পরিমাণ সোনারূপার পাশাপাশি ৯০টি হাতিও দিতে হয়েছিল। সন্ধির শর্ত অনুসারে আহোম রাজা যে ৯০টি হাতি মোগলদের কাছে পাঠিয়েছিলেন তার মধ্যে এমন একটি হাতি ছিল যাতে পূর্বের এক আহোম নৃপতি তাঁর অভিষেক কালে আরোহণ করেছিলেন।

মোগলরা হাতি নেয়ার সময় আহোমগণ ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করেছিলেন যে, কোনও মোগল যেন এই পবিত্র হাতির উপর আরোহন করতে না পারে। আশ্চর্য হলেও এটি সত্য যে, ঈশ্বর সে-দিন আহোমদের প্রার্থনা পূরণ করেছিলেন। একটি নদীতে স্নান করানোর সময় একটি ডহরে পড়ে যায় হাতিটি এবং শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটে। আশ্চর্য যে, মৃত্যুর সময় নাকি হাতিটির মাথা ছিল আহোম রাজধানীর দিকে।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫: কৃষ্ণ মাণিক্য সিংহাসনে বসেই উদয়পুর থেকে রাজধানী সরিয়ে আনেন আগরতলায়

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৪: নোবেল পাওয়ায় বন্ধু দিয়েছিলেন লজ্জাবতীর চারা

ষোড়শ শতকে কোচ আক্রমণে যখন আহোমরা পর্যুদস্ত হয় তখনও তাদের হাতি আর দ্রুতগামী অশ্ব কোচদের কর হিসেবে দিতে হয়েছিল। আর ডিমাছা রাজা কোচ আক্রমণের ভয়ে আগে ভাগেই বশ্যতার নিদর্শন হিসেবে কোচদের এক হাজার স্বর্ণ মোহর সহ ৬০টি হাতি দিতে সম্মত হয়েছিলেন। সিলেট সহ পূর্বোত্তরের অন্যান্য অঞ্চল থেকেও কোচরা তাদের বশ্যতার নিদর্শন হিসেবে হাতি নিয়ে গিয়েছে। আবার মোগল সম্রাটকে হস্তী উপঢৌকন দিতে হয়েছে কোচ রাজাকেও। কোচ নৃপতি নরনারায়ণ সম্রাট আকবরের কাছে অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রীর পাশাপাশি ৫৪টি হাতিও পাঠিয়েছিলেন উপঢৌকন হিসেবে। মোগলরা যুদ্ধক্ষেত্রে চলমান ট্যাঙ্ক হিসেবে যেমন হাতিকে ব্যবহার করেছিল, তেমনই কোচরাও সম্ভবত যুদ্ধের প্রয়োজনেই এই অঞ্চল থেকে হাতি সংগ্ৰহে উৎসাহী ছিল।

ছবি: সংগৃহীত।

ইতিহাস ঐতিহ্যে যখন হাতির এই উজ্জ্বল উপস্থিতি তখন অসম সহ পূর্বোত্তরের নানা অংশে মানুষ আর হাতির মধ্যে সংঘাত চলছে। এই সংঘাতের ফলশ্রুতিতে একদিকে মানুষ যেমন ক্ষতিগ্ৰস্ত হচ্ছে, তেমনই বিপন্ন হচ্ছে হাতি। সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। সাম্প্রতিক এক তথ্যে প্রকাশ, গত কয়েক বছরে অসমে হাতির আক্রমণে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। আর প্রাণও হারিয়েছে বহু হাতি। ২০১৯-২০ সালে হাতির আক্রমণে ৭৫ জন, ২০২০-২১ সালে ৯১জন, ২০২১-২২ সালে ৬৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে।

এদিকে ২০১৮ সালে ৭৮,২০১৯ সালে ৭৩ ও ২০২০ সালে মারা গিয়েছে ৭৪টি হাতি। হাতি আর মানুষের মধ্যে সংঘাতের জন্য দায়ী করা হচ্ছে বনভূমির পরিমাণ কমে যাওয়াকে। কারণ খাদ্য আর অবাধ বিচরণের জন্য পর্যাপ্ত বনাঞ্চল না থাকায় লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতির দল। মানুষের জীবন ও সম্পদ হানি ঘটছে। অনিবার্য হয়ে উঠছে হাতি-মানুষ সংঘাত।
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫৭: সাধারণের প্রতি পাণ্ডবদের কৃতজ্ঞতার প্রকাশ কোন মহাভারতীয় শিক্ষা?

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৮: মোহিতকুমারী এক মহিলা আত্মজীবনীকার

এক সময় ত্রিপুরার মূল্যবান অরণ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হতো হাতি। সম্রাট আকবরের মন্ত্রী আবুল ফজলের মতে, সম্রাটের পিলখানার উৎকৃষ্ট হাতি ছিল ত্রিপুরার। আবার এই হাতির জন্যই মোগলদের হাতে ত্রিপুরা আক্রান্ত হয়েছে। এমনকি, মোগলদের আগেও বাংলার মুসলমান শাসকরা উৎকৃষ্ট হাতির লোভে ত্রিপুরা আক্রমণ করেছে। ত্রিপুরার রাজাদের মাণিক্য উপাধি ধারণের সঙ্গেও হাতির এক ক্ষীণ যোগসূত্র রয়েছে বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। কৈলাসচন্দ্র সিংহ তাঁর সুবিখ্যাত গ্ৰন্থ “রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস”-এ উল্লেখ করেছেন ত্রিপুরার রাজা রত্ন ফা গৌড়ের সুলতান মালিক তুগ্ৰলকে একটি মহামূল্যবান মণি ও একশ হাতি উপঢৌকন দিয়েছিলেন। গৌড়েশ্বর তখন ত্রিপুরার রাজাকে মাণিক্য উপাধি দেন। সেই থেকেই ত্রিপুরার রাজারা ‘ফা’ থেকে হলেন মাণিক্য। অবশ্য এ ব্যাপারে ভিন্ন মতও আছে। কেউ বলেছেন, ‘মাণিক্য’ উপাধি আগে থেকেই ছিল।

এদিকে, স্টুয়ার্ট তাঁর ‘হিস্ট্রি অব বেঙ্গল’-এ উল্লেখ করেছেন ত্রিপুরার রাজাকে পরাস্ত করে সুলতান অনেক ধনসম্পদ সহ একশ হাতি লুণ্ঠন করে নিয়ে যান ত্রিপুরা থেকে। আবার ত্রিপুরার সিংহাসনে রাজা বদলও ঘটেছে হাতির কারণে। প্রাসাদ ষড়যন্ত্রেও ব্যবহৃত হয়েছে অরণ্যের এই আপাত নিরীহ প্রাণীটি। কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন, ত্রিপুরার রাজা গোবিন্দ মাণিক্য তাঁর সিংহাসন সুনিশ্চিত করার জন্য মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবকে হাতি উপহার দিয়েছিলেন। আবার এই রাজাই হাতির বিনিময়ে তাঁর রাজ্যে লবণ আমদানি করেছিলেন। সব মিলিয়ে ত্রিপুরার ইতিহাসকে দারুণ ভাবে প্রভাবিত করেছে হাতি।

ছবি: সংগৃহীত।

মণিপুরের ইতিহাসেও অনুল্লেখ্য নয় হাতি। মণিপুর ঘোড়ার জন্য বিখ্যাত ছিল একদা। মণিপুরের প্রতিবেশী রাজ্য সমূহের শাসকবর্গেরও লোভ ছিল সেখানকার দ্রুতগামী টাট্টু ঘোড়ার উপর। অবশ্য তাই বলে যে হাতি প্রসঙ্গ মণিপুরের ইতিহাসে অনুপস্থিত তা কিন্তু নয়। রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্রের রাজ্য ফিরে পাবার ঘটনার সঙ্গেও যেন জড়িয়ে আছে হাতি উপাখ্যান। ঘোড়ার বিনিময়ে ত্রিপুরা থেকে হাতি সংগ্ৰহের কথাও রয়েছে মণিপুরের ইতিহাসে।

ডিমাছা রাজসভার কবি ভুবনেশ্বর বাচস্পতি তাঁর অমর কাব্য ‘শ্রী নারদি রসামৃত’ রচনার পর রাজার কাছে দক্ষিণা স্বরূপ চেয়েছিলেন একটি হাতি। হাতির পিঠে আরোহণ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলে তাঁর খ্যাতির কথা ছড়িয়ে পড়বে দেশবাসীর মধ্যে। কিন্ত রাজগুরুর চক্রান্তে রাজা কবিকে কিছু নগদ অর্থ দিয়েই বিদায় করতে চাইলেন। অবশ্য অভিমানী কবি তা প্রত্যাখ্যান করে ডিমাছা রাজ্য ছাড়লেন রিক্ত হস্তে। উল্লেখ করা যায় যে, ‘শ্রী নারদি রসামৃত’ ডিমাছা রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত সর্ব শ্রেষ্ঠ কাব্য। রাজমাতা চন্দ্রপ্রভা দেবীর আদেশে ভুবনেশ্বর বাচস্পতি রচনা করেছিলেন ‘শ্রীনারদি রসামৃত’।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬২: ধনময়ী জ্ঞানময়ী-র পাশে ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৩৬: সুখের লাগিয়া

সুপ্রাচীনকাল থেকেই হাতি এক বিরাট অরণ্য সম্পদ। এমনকি, রাজা-বাদশা জমিদারের সম্পদের মাপ কাঠি হিসেবেও অনেক সময় বিবেচিত হতো হাতি। ত্রিপুরার হাতির প্রতি মোগলদেরও লোভ ছিল। সমতল ত্রিপুরা অধিকারের পর রাজস্ব হিসেবে হাতি নেওয়া হতো। ত্রিপুরার রাজার কাছে হাতি সম্পদ এবং কিছুটা আয়ের উৎস হিসেবে বিবেচিত হতো। আগে ত্রিপুরায় বন্য হাতি ধরে এনে পোষা হাতির সাহায্যে তাদের পোষ মানানো ছিল নৈমিত্তিক ব্যাপার। রাজ সরকারের রাজস্ব আয়ের উৎস ছিল হাতি।

একদা ত্রিপুরার অরণ্যে বিপুল সংখ্যায় হাতি ছিল। আবুল ফজল তাঁর আইন-ই-আকবরী’তে উল্লেখ করেছেন যে, ত্রিপুরার রাজা বিজয় মাণিক্যের (১৫৩২-৬৩ খ্রিস্টাব্দ) এক হাজার হাতি ছিল। এখন অবশ্য ত্রিপুরার এই অরণ্য সম্পদ আর নেই। বহু আগেই তা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন রাজ্যের অরণ্যাঞ্চলে বন্য হাতির সংখ্যা হাতে গোনা। আর কিছু আছে পোষা হাতি।

ছবি: সংগৃহীত।

অসমের মতো ত্রিপুরাতেও কিছু কিছু এলাকায় মাঝে মাঝে বন্যহাতির তাণ্ডব চলে। আর এতে জীবন ও সম্পদের হানি ঘটে। বন্যহাতির তান্ডব রোধে বনবিভাগ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। উল্লেখ, ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়া সন্নিহিত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বেশ কিছুদিন যাবৎ বন্য হাতির তান্ডব চলছে। আঠারোমুড়া ও বড়মুড়া পাহাড় থেকে বেরিয়ে এসে বন্য হাতির দল লোকালয়ে মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলের খেত তছনছ করছে। কখনও পিষে মেরে ফেলছে মানুষকে।

পূর্বোত্তরের জঙ্গলে দ্রুত কমছে হাতির সংখ্যা। আবার হাতি মানুষের সংঘাতও বাড়ছে। এই সংঘাত রোধে অসমের কাজিরাঙ্গায় অভিনব হস্তী উৎসব কিংবা হাল আমলে ত্রিপুরায় গজরাজ উৎসবের মতো নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও মূল উদ্দেশ্যে তেমন সফলতা এসেছে বলে মনে হয় না। আসল বিষয়টি হচ্ছে বনাঞ্চল হ্রাস পাওয়া। হাতিদের খাদ্য আর বাসস্থানে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। তাই লোকালয়ে নেমে আসছে তারা। যাতে হাতির দল খাদ্যের অন্বেষণে জনপদে এসে হামলা না চালায় তা সুনিশ্চিত করতে হবে। সব মিলিয়ে হাতির সংরক্ষণের পাশাপাশি মানুষের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষার জন্য উদ্যোগ চাই। এবার দেখা যাক কিভাবে তার কতটা কার্যকরী হয়!
ত্রিপুরা তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে পান্নালাল রায় এক সুপরিচিত নাম। ১৯৫৪ সালে ত্রিপুরার কৈলাসহরে জন্ম। প্রায় চার দশক যাবত তিনি নিয়মিত লেখালেখি করছেন। আগরতলা ও কলকাতার বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে ইতিমধ্যে তার ৪০টিরও বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের ইতিহাস ভিত্তিক তার বিভিন্ন গ্রন্থ মননশীল পাঠকদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও সে-সব উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। রাজন্য ত্রিপুরার ইতিহাস, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সম্পর্ক, লোকসংস্কৃতি বিষয়ক রচনা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সঞ্জাত ব্যতিক্রমী রচনা আবার কখনও স্থানীয় রাজনৈতিক ইতিহাস ইত্যাদি তাঁর গ্রন্থ সমূহের বিষয়বস্তু। সহজ সরল গদ্যে জটিল বিষয়ের উপস্থাপনই তাঁর কলমের বৈশিষ্ট্য।

Skip to content