অলঙ্করণ: সৌমি দাসমণ্ডল।
বুধন সুস্থ-সবল ছেলে। গরীবের ঘরের খেটে খাওয়া ছেলেরা যেমন হয় তেমন তার দৈহিক ক্ষমতা ও সাহস। ডাকাবুকো হয়তো নয়, কিন্তু শারীরিক সামর্থ্যে কমও নয়। মাধ্যমিকের পর থেকেই সে যাচ্ছে চার্চের ওয়ার্কশপে। ওই একই রাস্তা ধরে। কিন্তু কোনওদিন ভয় পায়নি। আজ কী হল হঠাৎ যে সে ভয় পেয়ে গেল? বাড়ির লোক কিছু বুঝতে পারল না। বুধনের এই কাজ শেখার ব্যাপারে বাড়ির সকলের উৎসাহ কম নয়। আজকাল মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি যন্ত্রাংশ সারাইয়ের কাজ শিখে শহরে গিয়ে গ্রামের বেশ কয়েকজন ছেলে ভালোই রোজগার করছে। তাদের মতো পরিবারে সেটাই অনেক। বুধনের তেমন বুদ্ধি নেই যে অন্য চাকরি সে করবে। তাহলে? বাড়ির লোক ভাবল বুঝি বুধন কিছু ভুল করেছে বলে ফাদার হয়তো রাগ করে তাকে কিছু বলেছেন বা বকেছেন, সেই কারণেই সে একটা অজুহাত খাড়া করে যেতে চাইছে না। বাড়ির লোক তাকে বকাঝকা করল, বোঝালো; তারপর একদিন ফাদারের কাছে জোর করে ধরে নিয়ে গেল। ফাদার সব শুনে আলাদা কক্ষে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বললেন। তবে কী কথা বলেছিলেন, তা আর কেউ জানে না, কারণ, বুধন কিছু বলেনি। তবে সে আবার জঙ্গলের রাস্তা ধরেই যাওয়া শুরু করায় বাড়ির লোক এই নিয়ে আর ভাবেনি, খুশিই হয়েছিল।
এই ঘটনাগুলি যখন ঘটে তখন শারীরিক দিক থেকে বুধন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল, অন্তত কোনও সমস্যার কথা সে বলেনি, বাকিদেরও চোখে পড়েনি তেমন কিছু। কিন্তু মাসছয়েক আগে এক শনিবার ওয়ার্কশপ থেকে ফিরে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তারপর থেকেই সে কেমন অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করে। আগে তার চেহারা ছিল বেশ পেটানো, কিন্তু ক্রমেই তার হাত-পা শুকিয়ে যেতে থাকে, অথচ খাওয়া বেড়ে যায়। আগে সে যা খেত, এখন তার দ্বিগুণ খাবার চায়। তাদের মতো দরিদ্র পরিবারে পেট পুরে যেখানে অধিকাংশ দিনই খাবার জোটে না, সেখানে একজন যদি দু’জনের খাবার খেতে চায়, তাহলে সমস্যা দেখা দেবেই। এখানেও দিয়েছিল। তারপর আশ্চর্যজনকভাবে তার সমাধানও হয়েছিল। আমাদের পূর্বপরিচিত নুনিয়া, তার সঙ্গে ওয়ার্কশপে ক্লাস করতে গিয়ে বুধনের পরিচয় হয়েছিল, সে কোথা থেকে নানারকম খাবার-দাবার এনে বুধনকে দিতে শুরু করে। চার্চ থেকে পাওয়া খাবার তার মধ্যে থাকতে পারে, তবে সত্যব্রত নিশ্চিত যে, নুনিয়া নানা জায়গা থেকে হাত পেতে যে খাবার-দাবার নিত, তা তবে এই বুধনের জন্যই নিত। এই কারণে সে খাবার সচরাচর খেত না। কখনও খেলেও বাকিটা বাঁচিয়ে রাখত। পরে এসে বুধনকে খাইয়ে যেত। মেয়েটির প্রতি সত্যব্রতর মন ভালোলাগায় ভরে উঠল।
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১৩: আচমকা রাতের পার্টিতে হাজির পুলিশ
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫৫: প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নবপ্রজন্ম-মীনমিত্রের পরামর্শে গ্রামগঞ্জেও মাছচাষ বিকল্প আয়ের দিশা দেখাতে পারে
গা ছমছমে ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-২: কপালে জমেছে ঘাম, শুকিয়ে গিয়েছে জিভ, পেছন থেকে ভেসে আসছে গা ছমছমে শব্দ
নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে, পর্ব-৩৬: গিরিশচন্দ্রের ‘বিষাদ’ নাটকটি প্রথম অভিনীত হয় এমারেল্ড থিয়েটারে
যাই হোক, এই ভাবেই চলছিল। কিন্তু ক্রমে বুধনের পেট বড় হতে লাগল। মাথা ধরা, বমি হওয়া, চলতে ফিরতে কষ্ট হওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া—এইসব লক্ষণ দেখা দিতে থাকল। ওর সহপাঠীরা ওকে এই নিয়ে ক্ষ্যাপাত বলে ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করল। তারপ ওয়ার্কশপেও সকলে ওর পিছনে লাগতে লাগল। ও লজ্জায় মুখ লুকাবার জন্য মাঝেমাঝে জঙ্গলে গিয়ে লুকিয়ে বসে থাকত। আশ্চর্য এই যে, কিছুদিন আগে এই জঙ্গলেই সে এমন কিছু দেখেছিল, যার দরুণ সে ভয় পেয়ে আর সেই পথে যেতে চায়নি। বাড়ির লোক এই নিয়ে তাকে প্রশ্ন করলে সে কেমন রহস্যময় গলায় উত্তর দিত, “ভয় নেই। আমার আর কিছু হবে না। ফাদার আছেন!”
বুধন স্কুলে আসা বন্ধ করতেই রথীনবাব নিজে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। ওকে স্কুল-কামাই করার জন্য একটু বকাঝকাও করেন। কিন্তু ওর শারীরিক কন্ডিশন দেখে, কোন লজ্জায় সে স্কুলে যাচ্ছে না, তা বুঝতে তাঁর অসুবিধা হয়নি। চার্চের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে বলে এবং হাতে কিছু টাকা দিয়ে আপাতত রথীনবাবু চলে আসেন। সে টাকা অবশ্য বুধনের অসুখের পিছনে খরচ করেনি তার বাড়ির লোক। সে টাকায় অভাবের সংসারে চাল কেনা হয়েছিল। এদিকে বুধনের মধ্যে একজন গর্ভবতী মহিলার যাবতীয় লক্ষণ ক্রমশ ফুটে বেরুতে লাগল। এমনকি বুধন মাঝেমধ্যে রাত্রিবেলা দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে যেত, আবার কখন ভোর হওয়ার আগে ফিরেও আসত। বাড়ির লোক দরজা বাইরে থেকে আটকে রাখলে সে চিৎকার চাঁচামেচি করত। ভয়ংকর হয়ে উঠত। যতক্ষণ না দরজা খুলে দেওয়া হত, পাগলের মতো মাথা ঠুকত দরজায়। অগত্যা দরজা খোলাই রাখা হত।
বুধন স্কুলে আসা বন্ধ করতেই রথীনবাব নিজে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। ওকে স্কুল-কামাই করার জন্য একটু বকাঝকাও করেন। কিন্তু ওর শারীরিক কন্ডিশন দেখে, কোন লজ্জায় সে স্কুলে যাচ্ছে না, তা বুঝতে তাঁর অসুবিধা হয়নি। চার্চের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে বলে এবং হাতে কিছু টাকা দিয়ে আপাতত রথীনবাবু চলে আসেন। সে টাকা অবশ্য বুধনের অসুখের পিছনে খরচ করেনি তার বাড়ির লোক। সে টাকায় অভাবের সংসারে চাল কেনা হয়েছিল। এদিকে বুধনের মধ্যে একজন গর্ভবতী মহিলার যাবতীয় লক্ষণ ক্রমশ ফুটে বেরুতে লাগল। এমনকি বুধন মাঝেমধ্যে রাত্রিবেলা দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে যেত, আবার কখন ভোর হওয়ার আগে ফিরেও আসত। বাড়ির লোক দরজা বাইরে থেকে আটকে রাখলে সে চিৎকার চাঁচামেচি করত। ভয়ংকর হয়ে উঠত। যতক্ষণ না দরজা খুলে দেওয়া হত, পাগলের মতো মাথা ঠুকত দরজায়। অগত্যা দরজা খোলাই রাখা হত।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৪: স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের ‘রাত-ভোর’
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১০: কিশোর কণ্ঠের উপর যেন এক অলিখিত দাবি ছিল পঞ্চমের
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৯: কুরদার ইকো রিসর্ট—অনাবিস্কৃত এক মুক্তা
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৪৬: ব্যর্থ প্রেমের বহ্নিশিখা
দিনের বেলায় বুধন চুপচাপ ঘরে বসে থাকত। একেবারেই বাইরে বেরুতে চাইত না। রাতে দাওয়ায় এসে বসত কিংবা শুয়ে থাকত। তবে বিড়বিড় করা থামাত না। সবসময়েই কারও সঙ্গে সে যেন কথা বলছে। মাঝেমধ্যে খাবারের জন্য চিৎকার করত। তবে নুনিয়া যখন আসত, বুধন যেন অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে উঠত। শান্ত হয়ে নুনিয়ার আনা খাবার খেত, তার কথা শুনত।
“নুনিয়া কি কথা বলত?” সত্যব্রত মাস্টারবাবুকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল এখানে।
“তা কেউ শোনেনি ভালো করে। বাচ্চা মেয়ের কথা, কে-ই বা আর শুনবে। একে সারাদিন অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকে, বাড়ির অন্যান্য কাজ করতে সময় পায় না; তার উপর বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে কী কথা বুধন বলে তা শোনার জন্য তাদের অত কৌতূহলও ছিল না। বরং নুনিয়া এলে তারা হাঁফ ছেড়ে বাঁচত। ফেলে রাখা কাজ সারতে ব্যস্ত হয়ে পড়ত। তবে একদিন বুধনের মা শুনেছিলেন, নুনিয়া কি সব ‘দাঁড়কাক’, ‘চিল’, ‘শিং’—এইসব অদ্ভুত কথা বলছে। তাই তো, আদুরি?” মাস্টারবাবু উপস্থিত মহিলা দু’জনের একজনের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন।
তিনি উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, মাস্টারবাবু। আপনাকে তো সব বলেছি। নুনিয়া খুব ভালো মেয়ে আছে। আমার বেটা ওকে দেখে সুস্থ হয়ে উঠত। যতক্ষণ ও কাহানি বলত, ততক্ষণ একেবারে শান্ত হয়ে চুপ করে শুনত। আহা, ওর ভালো হোক ! এখন আমার ছেলেকে সুস্থ করে দিন ডাগ্দারবাবু, তারও ভালো হোক !”
সত্যব্রত বুঝল, ইনি হলেন বুধিয়ার মা।
“নুনিয়া কি কথা বলত?” সত্যব্রত মাস্টারবাবুকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল এখানে।
“তা কেউ শোনেনি ভালো করে। বাচ্চা মেয়ের কথা, কে-ই বা আর শুনবে। একে সারাদিন অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকে, বাড়ির অন্যান্য কাজ করতে সময় পায় না; তার উপর বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে কী কথা বুধন বলে তা শোনার জন্য তাদের অত কৌতূহলও ছিল না। বরং নুনিয়া এলে তারা হাঁফ ছেড়ে বাঁচত। ফেলে রাখা কাজ সারতে ব্যস্ত হয়ে পড়ত। তবে একদিন বুধনের মা শুনেছিলেন, নুনিয়া কি সব ‘দাঁড়কাক’, ‘চিল’, ‘শিং’—এইসব অদ্ভুত কথা বলছে। তাই তো, আদুরি?” মাস্টারবাবু উপস্থিত মহিলা দু’জনের একজনের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন।
তিনি উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, মাস্টারবাবু। আপনাকে তো সব বলেছি। নুনিয়া খুব ভালো মেয়ে আছে। আমার বেটা ওকে দেখে সুস্থ হয়ে উঠত। যতক্ষণ ও কাহানি বলত, ততক্ষণ একেবারে শান্ত হয়ে চুপ করে শুনত। আহা, ওর ভালো হোক ! এখন আমার ছেলেকে সুস্থ করে দিন ডাগ্দারবাবু, তারও ভালো হোক !”
সত্যব্রত বুঝল, ইনি হলেন বুধিয়ার মা।
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৯: পাকা আম খাবেন, নাকি কাঁচা আম?
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১৯: উন্নয়নের কাণ্ডারী নির্ণয়ে পিতৃতান্ত্রিক পক্ষপাতিত্ব
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪: একজন জ্ঞানী পণ্ডিত এবং ব্যবসায়ীর মধ্যে রাজা কাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন?
মাস্টারবাবু বললেন, “সপ্তাহদুয়েক আগে বুধন একবার রাতের বেলা বেরিয়ে দু’দিন ফেরেনি। বাড়ির লোক পাগলের মতো খোঁজাখুঁজি করছিল। কিন্তু কোথাও তার দেখা পাওয়া যায়নি। তারপর তিন দিনের দিন সন্ধ্যার সময়, সেদিন ছিল পূর্ণিমার পরের দিন সে ফিরে এল। এসে যেন কিছুই হয়নি এমন মুখ করে ঘরের মধ্যে ঢুকে গেল। আগে যদিও বা মাঝেমধ্যে বাইরে বেরুত, সেদিন থেকে আর বাইরেও বেরোত না। এমনকি নুনিয়া এলে তার সঙ্গেও কথা বলতে চাইত না। চুপ করে থাকত সবসময়। সেই সময় থেকেই তার পেটের ব্যথা শুরু হয়। হয়তো সেই জন্যই তার মন-মেজাজ ভালো ছিল না।”
সে বলল, “আমি দেখছি। না দেখে, রোগ না জেনে তো আর ভালো করতে পারব না। তবে আমার শুনে মনে হচ্ছে, এটার সঙ্গে সিমপ্যাথেটিক প্রেগন্যান্সির মিল আছে। যদিও মেডিকেল সায়েন্সে এই সিনড্রোম দেখা যায় কেবলমাত্র গর্ভবতী মহিলার পুরুষসঙ্গীর ক্ষেত্রেই। কিন্তু কোনও আনম্যারেড ছেলের ক্ষেত্রে, যে এখনও আঠারো হয়নি, তার ক্ষেত্রে এটা দেখা যাওয়া সম্ভবত অভাবনীয়। আচ্ছা, ওর কি লেবার পেইন হওয়ার মতো হচ্ছে? আপনি জানেন?” সে প্রশ্ন করল মাস্টারবাবুকে।
“হ্যাঁ, আজ ক’দিন ধরেই অল্প অল্প পেইন হতে হতে আজ সকাল থেকে পেইনটা বেড়েছে। যত দুপুর গড়িয়েছে, তত ছেলেটা যন্ত্রণায় যেন ছটফট করছে। আমরা তো কিছুই বুঝতে পারছি না! তার উপর ওই বেবি বুমের মতো অংশটায় হাত রাখলে কারুর যেন নড়াচড়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আমরা বিভ্রান্ত। এ তো অসম্ভব ব্যাপার! তাই না?”
সত্যব্রত হাতে গ্লাভস পরে নির্দিষ্ট রুমের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল, “হুম, সে তো বঠেই। দেখা যাক আগে চেক করে।” —চলবে
সে বলল, “আমি দেখছি। না দেখে, রোগ না জেনে তো আর ভালো করতে পারব না। তবে আমার শুনে মনে হচ্ছে, এটার সঙ্গে সিমপ্যাথেটিক প্রেগন্যান্সির মিল আছে। যদিও মেডিকেল সায়েন্সে এই সিনড্রোম দেখা যায় কেবলমাত্র গর্ভবতী মহিলার পুরুষসঙ্গীর ক্ষেত্রেই। কিন্তু কোনও আনম্যারেড ছেলের ক্ষেত্রে, যে এখনও আঠারো হয়নি, তার ক্ষেত্রে এটা দেখা যাওয়া সম্ভবত অভাবনীয়। আচ্ছা, ওর কি লেবার পেইন হওয়ার মতো হচ্ছে? আপনি জানেন?” সে প্রশ্ন করল মাস্টারবাবুকে।
“হ্যাঁ, আজ ক’দিন ধরেই অল্প অল্প পেইন হতে হতে আজ সকাল থেকে পেইনটা বেড়েছে। যত দুপুর গড়িয়েছে, তত ছেলেটা যন্ত্রণায় যেন ছটফট করছে। আমরা তো কিছুই বুঝতে পারছি না! তার উপর ওই বেবি বুমের মতো অংশটায় হাত রাখলে কারুর যেন নড়াচড়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আমরা বিভ্রান্ত। এ তো অসম্ভব ব্যাপার! তাই না?”
সত্যব্রত হাতে গ্লাভস পরে নির্দিষ্ট রুমের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল, “হুম, সে তো বঠেই। দেখা যাক আগে চেক করে।” —চলবে
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel) – পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।