বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


অলঙ্করণ : সৌমি দাসমণ্ডল

রিসর্টের ম্যানেজার কাপাডিয়া অতি দ্রুত ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যদিও লালবাজার থেকে গোয়েন্দা-পুলিশ এসেছে বলে যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, কালাদেও ধরা পড়বে—এমনটা মোটেও তিনি আশা করেন না। তাঁর মতে, মানুষ অপরাধীর সঙ্গে লড়াই চলে, কিন্তু অপরাধী তো এখানে কালাদেও! তাঁর সঙ্গে লড়াই করবে কে? আর করতে চাইলেও যে গো-হারান হেরে যাবে, সে-তো জানা কথাই। তবুও লোকাল থানার সেকেন্ড অফিসার এসেছেন। লোকটি বেশ চৌকস। হাত পেতে থাকে না। হিসসা চায় না বড়বাবুর মতো।

এই রকম পুলিশ অফিসার খুব কম আছে, তবে কাপাডিয়া এদের ইজ্জত করেন। যদিও তিনি জানেন, এ-জাতীয় পুলিশ অফিসার তাঁদের ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনও কাজে আসে না, বরং বিপদ বাড়ায়। তবুও…! জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করে তো লাভ নেই! তবে লালবাজার থেকে যে গোয়েন্দা পুলিশটি এসেছে, তাকে পুলিশে নয়, সিনেমার পর্দাতেই বেশি মানায় বলেই মনে হয়েছে তাঁর। হ্যান্ডসাম পুলিশ কোন কর্মের নয় বলেই তাঁর বিশ্বাস। কিন্তু সে-কথা তো আর তিনি মুখে বলতে পারবেন না! ফলে সবার এজাহার নেওয়ার জন্য পৃথক রুমের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তার আগে অবশ্য অনেকক্ষণ ধরে যেখানে যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিল, সেখানটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন সেই গোয়েন্দা বাবুটি। কী যেন নাম? শাক্য। শাক্য সিংহ। কাপাডিয়া সবসময় কাছাকাছিই ছিলেন। বুঝতে পারছেন যে, এবার ভালোই বিপদে পড়েছেন তিনি। আততায়ী কালাদেও হোক কিংবা কোন মানুষ, রিসর্টের একবার বদনাম হয়ে গেলে ব্যবসা আগের মতো চালানো মুশকিল।

এতদিন কালাদেও এদিক-ওদিক আক্রমণ করলেও রিসর্টের মধ্যে ঢোকেন নি। এখন রিসর্টেও হামলা করেছেন এবং এক রাতে দু’-দু’জনকে হত্যা করেছেন, এর পর নিরাপত্তাহীনতার দোহাই দিয়ে যাঁদের পরে বুকিং আছে, তাঁরা যদি বুকিং ক্যানসেল করেন, তাহলে কাপাডিয়া তাঁদের নিষেধও করতে পারবেন না। এই মুহূর্তে যাঁর এখানে থাকা জরুরি ছিল, তিনি রায় বাবু। কিন্তু তিনি যে এখন কোথায় আছেন, তা কাপাডিয়াও জানেন না।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব- ৪০: জীবন এত ছোট ক্যানে

রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু, পর্ব-৫: আজ ভোর বেলায় কি আপনি সুষমা দেবীকে জানলায় দেখে ছিলেন?

জীবনে একবারই মাত্র তাঁকে দেখেছিলেন কলকাতার অফিসে। মুখভর্তি কাঁচা-পাকা দাড়ি-গোঁফ, খুব কম কথা বলেন। বেশিরভাগ কথা বলছিলেন, তাঁর নিযুক্ত সেক্রেটারি মহিলাটি। তিনিও যদি থাকতেন, তাহলে তাঁকেও বলা যেতো। কিন্তু ইন্টারন্যাশানাল কল বলে সবসময় করা নিষেধ। যা কিছু যোগাযোগ তা মেইলে করা হয়। কখনো কখনো কলকাতায় এলে সেক্রেটারি মহিলাটি ফোন করেন, খোঁজখবর নেন। আর রিসর্টের লাভের গুড় নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই অ্যাকাউন্টটি আবার এক দাতব্য অরফ্যানেজ হোমের। সেটা না কি রায় বাবুর পৃষ্ঠপোষকতায় চলা দাতব্য হোম। এ চাকরি নিয়ে কাপাডিয়ার অন্য কোন আপত্তি নেই, মাসের প্রথমেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঠিক ঢুকে যায়, কর্মচারিদের টাকাও একইসঙ্গে তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
রিসর্টের যাবতীয় পেমেন্ট যথাসময়ে দিয়ে দেওয়া হয়, এমনকি পুলিশের হপ্তাও ঠিক সময়ে পৌঁছে যায় যথাস্থানে—সেদিক থেকে দেখতে গেলে এখানে কাজ করা কাপাডিয়ার পক্ষে রামরাজত্বে কাটানোর মতোই। তাছাড়া ট্যুরিস্ট পার্টি যারা আসে, তাদের চরিত্রও মোটের উপর তাঁর জানা হয়ে গেছে বলে আর সমস্যা নেই। আজকাল বাঙালি ট্যুরিস্টদের বেশিরভাগেরই চরিত্র, ইচ্ছে-অনিচ্ছে, খাদ্যাখাদ্য মোটের উপর একই। প্রবোধ কুমার সান্যাল কিংবা উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বেঁচে থাকলে আফশোস করতেন। তাঁদের আর অনবদ্য সব ভ্রমণ কাহিনি লেখা হত না।

“এই যে শুনুন মি. কাপাডিয়া!”

কারও ডাকে কাপাডিয়ার স্মৃতিজাল রচনা ছিন্ন হল। কেউ একজন তাঁকে ডাকছেন, কিন্তু কে? কাপডিয়া চোখ তুলে দেখলেন, ঘরের মধ্যে থেকে লোকাল থানার সেকেণ্ড অফিসার সুদীপ্ত তাঁকে ডাকছেন। লোকটি একটু আলাদা রকমের। কাপাডিয়া দেরি না করে দ্রুত এগিয়ে গেলেন।

“কিছু বলবেন স্যার?”

“আপনাদের হোটেলের সবার এজাহার নেওয়া শেষ। এবার ট্যুরিস্ট পার্টির পালা। কিন্তু তাঁদের সকলকে এক জায়গায় জড়ো না করলে মুশকিল। এ তো রাত গড়িয়ে যাবে। কলকাতা থেকে যে অফিসার এসেছেন, তিনি বলছেন, রুমে রুমে এত্তেলা পাঠান যে তাঁরা যেন মিনিট পনেরোর মধ্যে এখানে এসে উপস্থিত হন। আর আপনি এই সময়ের মধ্যে ওনাদের নামের একটা লিস্ট প্রিন্ট আউট কপি দিয়ে যান, যাতে আমাদের বুঝতে সুবিধা হয়!”

“স্যার, আর একজন আছেন, তাঁকেও কি বলবো?”

“কে?”

“স্যার, উয়ো অজয় বাবু হ্যায় না, যো কুছ ডক্যুফিচার বানানা চাহতে হ্যায়, উয়ো তো বহুত পহেলে সে হ্যায়, লগভগ দো মাহিনে হো গ্যায়ে, উনকো ভি বুলায়ে ক্যায়া? উনহো নে হি পহেলা সন্দেহ্‌ কিয়া থা কে ইয়ে দোনো মউত খুদখুশি নেহি, মার্ডার!”

“নিশ্চয়ই। ওনাকেও ডাকতে হবে বৈকি। এই রিসর্টে যাঁরাই আছেন, তাঁরা কেউ আমাদের সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়! ওনাকেও ডাকুন। তবে বি ক্যুইক। আমাদের অন্যত্রও তদন্তের জন্য যেতে হবে। এখানে সারা বেলা কাটালে চলবে না।”

“ইয়েস স্যার। ম্যায় আভি পুরা ইন্তেজাম কর দেতা হুঁ। আপ বেফিকর্‌ রহিয়ে!” কাপাডিয়া দ্রুত চলে গেলেন।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৩: সুন্দরবনে কুমিরের দেবতা কালু রায়

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব ৪৭: শীতকালে দই খেতে নেই?

সুদীপ্ত ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখল, শাক্য সিংহ নামের অফিসারটি একমনে তাঁর নোটপ্যাডে কিছু লিখছেন। সে দ্বিধাগ্রস্ত পায়ে তার জন্য নির্দিষ্ট চেয়ারে গিয়ে বসলো। এই মুহূর্তে শাক্য সিংহের চিন্তাভঙ্গ করে সে মদনভস্মের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায় না। সে ইতিমধ্যেই মেসেজ পাঠিয়ে খবর নিয়ে নিয়েছে, শাক্য সিংহ নামের মানুষটি এমনিতে দিলদরিয়া, কিন্তু রেগে গেলে ভয়ঙ্কর। এই মূহূর্তে তাঁকে চটালে তিনি যদি রেগে যান, তাহলে সুদীপ্তের বিপদ। বসে বসে সে কিছুক্ষণ আগের সরেজমিনে তদন্তের অভিজ্ঞতার কথা ভাবছিল।

শাক্য সিংহ প্রথমেই ছুটেছিলেন সুবলের ডেডবডি যেখানে পড়ে আছে, সেখানে। জায়গাটা রক্তে ঘিলুতে তখন মাখামাখি। বেশ জোরেই স্কালে ভারি কিছু দিয়ে আঘাত হেনেছে আততায়ী কালাদেও বা অন্য কেউ। তারা যাওয়ার আগে থেকেই থানা থেকে মোতায়েন করা হাবিলদার জায়গাটা পাহারা দিচ্ছিল তাকে ভালো করে চারদিকে নজর রাখতে বলে শাক্য কিন্তু প্রথমেই ঢুকল সুবলের ঘরে। সুবল যে আতর্কিত বেরিয়েছে, তারপরেই তার এই অবস্থা হয়েছে—এ-কথাকে অস্বীকার না করেও শাক্য বলেছিল, “কালাদেও অনিল বাবুকে আক্রমণ করতেই পারে। কিন্তু সুবলকে কেন? কী তার অপরাধ?”
সুদীপ্ত বলেছিল, “স্যার কালাদেওর নামে যতগুলি কেস আছে, তাতে তো কোন অপরাধ করলে তবে কালাদেও তাকে আক্রমণ করবে, অপরাধ না-করলে আক্রমণ করবে না, এমন কিন্তু মনে হয়নি। বরং প্রথম দিকের কয়েকটি কেস ছাড়া কালাদেও নিজের ইচ্ছেমতো বাকিদের আক্রমণ করছে। আমার মনে হয় না, অপরাধ বিচার করে আক্রমণ করার মতো বুদ্ধিশুদ্ধি তার আছে!”

“কিন্তু তা বলে অনিল সাক্সেনা আর সুবল—এই দুটি খুন একসঙ্গে—এ আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না! এতটা রিস্ক কালাদেও নিতে গেল কেন?”

“সে কি আর অত ভেবে করেছে? এমন হতেই পারে, একজনকে মেরে সে চলে যাচ্ছিল, আর একজন পথে পড়ে যাওয়ায় সে ক্ষণিকের রাগে তাকেও মেরে বসেছে।”

“সেটা সাধারণভাবে সম্ভব হয়তো, কিন্তু এ ক্ষেত্রে অসম্ভব বললেই হয়।”
“কেন?”

“দেখুন সুদীপ্ত, ধরে নিলাম কালাদেও অনিল সাক্সেনাওকে মেরে নীচে বডি ছুঁড়ে ফেলে যে পথে এসেছিল, সেই পথেই ফিরে গিয়েছিল। কালাদেও নিশ্চয়ই রিসর্টের মেইন এন্ট্রান্স দিয়ে ঢোকেনি। কারণ, রাতে সেটা বন্ধ থাকে। তাহলে কালাদেও পাইপ বেয়ে বা অন্য কোন উপায়ে অনিলের ঘরে ঢুকেছিল এবং কাজ মিটিয়ে তার ডেডবডি নীচে ছুঁড়ে ফেলে তারপর চলে গিয়েছিল। কিন্তু অনিলের রুম এবং বারান্দা যে-দিকে, তার বাঁ-দিকে সুবলদের কোয়ার্টার। সেক্ষেত্রে অনিলকে হত্যা করে সে অবলীলায় অনিলদের রুমের পিছনের দিকের নীচু বাউণ্ডারি ওয়াল ডিঙিয়ে চলে যেতে পারত। কিন্তু তা সে গেল না। সে বাঁ-দিকে ঘুরল, সুবলদের কোয়ার্টারের দিকে গেল এবং সুবলকে হত্যা করে তারপর বিদায় নিল। গোটা ব্যাপারটাই অ্যাবসার্ড! অনিল এই শীতের রাতে কি বারান্দার দরজা খুলে রেখেছিল? না কি সুবল এখানকার শীতার্ত ভোরে গায়ে হাওয়া লাগাতে বেরিয়েছিল? দুটিই অসম্ভব!

তাহলে প্রশ্ন হল, কালাদেও অনিলকে তার রুমের মধ্যে কীভাবে মারল? তারপর বডি নীচে ছুঁড়ে ফেলল কেন? সেখানেই সে ফেলে দিয়ে আসতে পারত! তাহলে কি কেউ কালাদেওর ঘটনার সুযোগটা নিতে চাইছে? অনিলকে হত্যা করে নীচে ফেলে তারপর তার মাথা থেঁতলে দিয়েছিল। ঘরে মাথা থেঁতলানো হলে তার কোন চিহ্ন পড়ে থাকত। সুদীপ্ত তুমি আমি দুজনেই তন্ন তন্ন করে অনিলের ঘর দেখেছি। বিছানার অবস্থা দেখে মনে হয় অনিল নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল। তাহলে সে কালাদেওর শিকার হল কীভাবে? ঘরে আমরা আর কোন চিহ্ন দেখিনি, যাতে মনে হয় আততায়ীর সঙ্গে তার কোন ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে। সেক্ষেত্রে ধরে নিতেই হয়, আততায়ী কালাদেও নয়, বরং অনিলের পরিচিত। সেজন্য তার পক্ষে অনিলের বিশ্বাস অর্জন করা সহজ হয়ে গিয়েছিল। আমি অবাক হব না, অনিল যদি নিজেই আততায়ীকে দরজা খুলে দেয়। অনিল ঘুণাক্ষরেও টের পায় নি যে, সে আসলে তার পরিচিত লোকটিকে নয়, এক ঘাতককে দরজা খুলে দিচ্ছে। ঠিক বলছি?”
আরও পড়ুন:

পরিযায়ী মন, পর্ব-১৬: ঐতিহ্যবাহী বাড়ির শহর মধুপুর

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২১: শ্রীমার ঠাকুরের প্রতি যত্ন

সুদীপ্ত মুগ্ধ হচ্ছিল এবং শিখছিল। সে অভিভূতর মতো বলে উঠল, “কী আর বলব স্যার, এত খুঁটিয়ে তো যুক্তি সাজাইনি। ধরে নিয়েছি কোন কারণে বাইরে বেরিয়েছিল দুজনেই কালাদেও কিংবা অন্য কোন জন্তুর শিকার হয়ে গেছে দুর্ভাগ্যবশত!”

“আমার সন্দেহ হয়েছে শীতকাল বলেই। এই সময় ভোর বেলার ঘুমটাই সবচেয়ে প্রিয় আমাদের কাছে। সেই ঘুম ছেড়ে মানুষ কখন ওঠে? যখন সে আর না উঠে পারে না। তাহলে এমন হতে পারে কেউ তাদের ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু কীভাবে সেটাই আমাদের জানতে হবে!”
“ঠিক স্যার!”

“সুদীপ্ত, আমার আর একটা সন্দেহ হচ্ছে, হয়তো ঠিক না-ও হতে পারে। সন্দেহটা হল, আততায়ী এক না কী দুজন ? দুজনেই কালাদেও-কেস থেকে একই ধরণের হত্যা করে কালাদেওর উপর দোষ বর্তাতে চেয়েছিল?”

“এটাও তো ভাবি নি স্যার আগে? হতেও পারে। সে ক্ষেত্রে আমাদের টার্গেট হবে দুই জন অপরাধী, এই ভেবেই এগোতে হবে।”

“ওয়াইল্ড গুজ চেজ হয়ে গেল ব্যাপারটা! আগে থেকেই কোন কিছু ধরে নিয়ে এগিয়ে যাবেন না বেশিদূর। যা পাবেন, তা পাওয়াই স্বাভাবিক ছিল কি না—সে কথা ভেবেই যুক্তিজাল সাজাতে সাজাতে এগিয়ে চলুন। হয়তো অন্ধকারের শেষে আলোকরেখা খুঁজে পাবেন।”

“বুঝেছি স্যার!”

শাক্যের কানে সুদীপ্তের কথা পৌছাল কি না বোঝা গেল না, শাক্য আপনমনে বলল, “কেন জানি না আমার মনে হচ্ছে, এইবার আততায়ী বেশ মরিয়া হয়ে উঠেছে। কেন? এই সব হত্যা থেকে তার কী লাভ-ই বা হচ্ছে? এই সব হত্যা কি আসলে বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা না কী এক সূত্রে বাঁধা? এক সূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্র জীবন!” —চলবে।
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel): পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।

Skip to content