রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪


কবির সন্তানসন্ততিরা, শমীন্দ্রনাথ, রেণুকা, বেলা ও মীরা।

‘বড় হলে সে যে কবি হবে, বাবার প্রতিভা তার মধ্যেই প্রকাশ পাবে।’ এমন মনে হয়েছিল রথীন্দ্রনাথের। যাঁর সম্পর্কে এসব কথা, প্রশস্তি-প্রশংসা, তিনি রথীন্দ্রনাথের‌ আদরের ছোট ভাই শমী। রবীন্দ্রনাথেরও কনিষ্ঠ পুত্রকে নিয়ে দুর্বলতা ছিল। সকৌতুকে নিজের নামের সঙ্গে নাম মিলিয়ে বলতেন, ‘শমী ঠাকুর’।

কবি যেন শমীন্দ্রনাথের মধ্যে নিজের শৈশবকে খুঁজে পেয়েছিলেন। নিতান্তই তখন বালক, ওই অল্প বয়সেই শমীন্দ্রনাথের মধ্যে কবির প্রতিচ্ছবি দেখা গিয়েছিল। হাবেভাবে, কথা বলায় যেন অবিকল রবীন্দ্রনাথ! ইন্দিরা দেবী চৌধুরানীর লেখায় আছে, ‘লোকে বলে যে, রবিকাকার ছোটছেলে শমীন্দ্রই বেশি তাঁর মতো দেখতে ছিল। … দুলে দুলে রবিকাকার উপাসনা করাও নকল করত। হেমলতা বউঠানের কাছে শুনেছি, বাপের টেবিলে বসে নাকি তাঁর মতো লেখক হওয়ার অভিনয় করত।’ রবীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠা কন্যা মীরাও জানিয়েছেন, ‘শমী কতটা বাবার গুণ পেয়েছিল।’

সব সন্তানের প্রতিই বাবা-মা’র অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকে। শমীন্দ্রনাথ শেষ সন্তান, সর্বকনিষ্ঠ বলেই হয়তো একটু বাড়তি ভালোবাসা ছিল। মা মৃণালিনী তাঁর জন্য সারাক্ষণই আকুল হয়ে থাকতেন। এই আকুলতা কতখানি তীব্র, তা বোঝা যায় তাঁর নানা স্বগোতক্তি থেকে। কখনও সখনও রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগও করেছেন তিনি। শমীন্দ্রনাথকে কবি রেখে এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে। মৃণালিনী দেবীর তখন ঘোরতর অসুস্থতা। সুস্থ হয়ে ওঠার কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি। প্রায়শই আচ্ছন্ন হয়ে থাকতেন। সেই অবস্থাতেও অনুযোগের সুরে কবিকে বলেছেন, ‘আমাকে বলেন ঘুমাও, ঘুমাও, শমীকে রেখে এলেন বিদ্যালয়ে, আমি কি ঘুমাতে পারি তাকে ছেড়ে! বোঝেন না সেটা!’ ঠাকুরবাড়ির বধূমাতা হেমলতা দেবীর লেখাতেও আছে মাতৃহৃদয়ের সেই আর্তির কথা।

সর্বকনিষ্ঠ পুত্রটির সাড়ম্বরে অন্নপ্রাশন-অনুষ্ঠান হয়েছিল, রবীন্দ্রনাথের উৎসাহে ও ব্যবস্থাপনায়। মহাসমারোহ, আত্মীয়পরিজন ও প্রিয়জনের সমাগমও হয়েছিল যথেষ্ট। খরচ হয়েছিল পাঁচশো সতেরো টাকা ন’আনা তিন পয়সা। সেকালের বিচারে এই অর্থের পরিমাণ খুব কম নয়। মাধুরীলতা বা রথীন্দ্রনাথের অন্নপ্রাশনে এত খরচ হয়নি। শমীন্দ্রনাথের অন্নপ্রাশন-অনুষ্ঠানে আচার্যের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন, শিবধন বিদ্যার্ণব, প্রিয়নাথ‌ শাস্ত্রী ও হেমচন্দ্র চক্রবর্তী। এই অন্নপ্রাশন-অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বেশ বিলম্বে। সম্ভবত আত্মীয়-পরিজনের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভেবে এই বিলম্ব। নবজাতকের বয়স তখন প্রায় পনেরো মাস। আনন্দ-অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ‘শুভকর্মের দান’ হিসেবে আদি ব্রাহ্মসমাজে দশ টাকা দিয়েছিলেন, সে সংবাদ জানা যায় ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’ থেকে।

অচিরেই শেখা হয় ‘ছোটো খোকা’-র ‘কথা কওয়া’। শমীর থেকে দু’বছরের বড় তার দিদি মীরা পরবর্তীকালে ‘স্মৃতিকথা’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। সেই বইতে তিনি ধরে রেখেছেন অকালপ্রয়াত ভাইটির গুণপনার কথা। শমী ছিলেন অত্যন্ত সঙ্গীতপ্রিয়। সুমিষ্ট কণ্ঠের অধিকারী। স্কুলেও যেতেন গান গাইতে গাইতে। মাঝে মাঝেই গলা ছেড়ে গাইতেন ‘এ কী লাবণ্য পূর্ণ প্রাণ’। পরবর্তীকালে শমীন্দ্রনাথের একটি নোটবুকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেটি সযত্নে রক্ষিত আছে শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহশালায়। এটি আসলে তাঁর গানের খাতা। সেই খাতায় গানের প্রথম পঙক্তিগুলি ক্রমান্বয়ে লেখা আছে। ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো’, ‘সার্থক জনম আমার’, ‘আমার দেশের মাটি’ বা ‘সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’-র মতো জনপ্রিয় সব গান-পংক্তি রয়েছে সে খাতায়।

ঘোড়ার পিঠে শমীন্দ্রনাথ। পাশে কবির ভ্রাতুষ্পুত্র সুরেন্দ্রনাথ।

মাতৃবিয়োগের পর শমীন্দ্রনাথের শুধু নয়, কবির সব ক’টি সন্তান-সন্ততির দায়িত্ব নিয়েছিলেন মৃণালিনীর পিসিমা রাজলক্ষ্মী দেবী। শমীন্দ্রনাথ কিছুকাল ছিলেন জ্ঞানাদানন্দিনীর কাছেও। সে-সময় ‘নতুনজ্যাঠামশায়’ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ শিখিয়েছিলেন তাঁর পিতার ‘পুরাতন ভৃত্য’ কবিতাটির আবৃত্তির কলাকৌশল। মীরা লিখেছেন, ‘যখনি নতুন জ্যাঠামশায়ের বন্ধু-বান্ধবরা আসতেন, শমীকে দিয়ে ‘পুরাতন ভৃত্য’ আবৃত্তি করিয়ে তাঁদের শোনাতেন। শমী যখন হাতের ভঙ্গি করে ‘কেষ্টা বেটাই চোর’ বলত, তখন তাঁরা তার অভিনয়-ভঙ্গি দেখে না হেসে পারতেন না।’ শুধু আবৃত্তি নয়, ওই শৈশব-বাল্যেই নাটককে ঘিরে শমীর কী প্রবল আগ্রহই না তৈরি হয়েছিল! আশ্রম-বিদ্যালয়ের বড় ছাত্ররা একবার ‘বিসর্জন’ নাটক অভিনয় করেছিল। সেই নাটকের রিহার্সাল দেখে, মঞ্চাভিনয় ‌দেখে ‘বিসর্জন’-এর কোনও কোনও অংশ শমী নির্ভুলভাবে আয়ত্ত করে ফেলেছিলেন। ছবি আঁকাতেও তাঁর আগ্রহ-দক্ষতা কম ছিল না।

শান্তিনিকেতনের আশ্রম-বিদ্যালয়কে ঘিরে রবীন্দ্রনাথ অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির অন্তঃসারশূন্যতা তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। শিক্ষা নিয়ে তাঁর বিজ্ঞানসম্মত ভাবনা বাস্তবায়িত করার তাগিদেই এই আশ্রম-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিদ্যালয়টিকে ঘিরে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন বলেই শমীন্দ্রনাথের পড়াশোনার ব্যবস্থা ব্রহ্মচর্যাশ্রমে করেছিলেন। আশ্রমের সূচনাপর্বেই ছাত্র হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন শমীন্দ্রনাথ।

শমীন্দ্রনাথ ছাত্র হিসেবেও যথেষ্ট ভালো ছিলেন, নানাজনের স্মৃতিবিবরণে সে তথ্য রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের ভ্রাতুষ্পুত্র সুরেন্দ্রনাথ মহাভারতের আখ্যানটি সহজ ভাষায় সংক্ষেপে লিখেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের নিরন্তর তাগিদে ও উৎসাহ বইটি লেখা হয়েছিল। সে বই শমীন্দ্রনাথ একটানা পড়ে ফেলেছিলেন। পড়াশোনার বইয়ের বাইরেও নানা বই পড়তেন। ছাত্রদের জুজুৎসু শিক্ষা দিতে যিনি এসেছিলেন, তাঁর সাহায্যে অনেক জাপানি ছড়াও ‌মুখস্থ করে ফেলেছিলেন। বই সাজিয়েগুছিয়ে, পরিপাটি করে রাখতেও তাঁর তৎপরতার অন্ত ছিল না। বালক বয়সে বইয়ের প্রতি এতই যত্নবান হয়ে উঠেছিলেন যে, আশ্রম-বিদ্যালয়ের লাইব্রেরির বই গুছোতে গিয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রমে তাঁর একবার জ্বর এসেছিল! উৎসাহ কতদূর প্রসারিত হলে এমনটি সম্ভব, তা সহজেই অনুমেয় ।

আশ্রম-বিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে শমীন্দ্রনাথ সবজির বাগান সাজিয়েছেন, সেই বাগানের যত্ন নিয়েছেন। আশ্রমে শমীন্দ্রনাথের উদ্যোগে, ছাত্রদের ব্যবস্থাপনায় প্রথম বসন্তোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি হয়েছিল শ্রীপঞ্চমীর দিনে। শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবকে ঘিরে যে উন্মাদনা, তার সূচনাপর্বটি ছিল এই রকম, ভিন্নতর। শমীন্দ্রনাথ-পরিকল্পিত এই ঋতু-উৎসবের মধ্যেই রয়েছে সেই সূচনাবীজ।

ফুল ফোটার আগেই ঝরে গিয়েছিল। মাত্র এগারো বছর বয়েসে শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু রবীন্দ্রনাথকে শোকস্তব্ধ করে দেয়। অব্যক্ত শোকযন্ত্রণায় জেরবার হয়েছেন কবি। মীরা দেবী তখন অসুস্থ, পুজোর ছুটিতে শমীন্দ্রনাথ কোথায় থাকবেন, তা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চিন্তায় পড়েছিলেন। বন্ধু শ্রীশচন্দ্র মজুমদারকে জানিয়েছিলেন সেই সমস্যার কথা। শ্রীশচন্দ্রের পরিবারবর্গ তখন তাঁর শ্বশুরালয়ে, মুঙ্গেরে। কবিবন্ধুর পুত্র সরোজচন্দ্রের সঙ্গে শমীন্দ্রনাথের ছিল খুব ভাবসাব। মুঙ্গেরে গেলে দুই বন্ধু আনন্দে থাকবে,এমনই মনে হয় রবীন্দ্রনাথের। আশ্রম-শিক্ষক জগদানন্দ রায় তাঁকে মুঙ্গেরে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলেন।

মাসখানেক যেতে না যেতেই খবর আসে শমীন্দ্রনাথ অসুস্থ। কলেরায় শয্যাশায়ী। রবীন্দ্রনাথ শোনামাত্র কালবিলম্ব না করে একজন ডাক্তারকে নিয়ে মুঙ্গেরে যাত্রা করেছিলেন।

ক্রমেই শমীন্দ্রনাথের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে ওঠে।‌ অবশেষে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। জীবনদীপ এলোমেলো হাওয়ায় নিভে যায়। স্তব্ধ হয়ে যায় প্রাণের স্পন্দন। আশ্রম-অধ্যক্ষ ভূপেন্দ্রনাথ সান্যালের লেখায় আছে হৃদয়বিদারক বর্ণনা, ‘রবীন্দ্রনাথ তখন প্রস্তরের মতো নিশ্চল হইয়া বসিয়া আছেন। কোমলপ্রাণ শ্রীশবাবু কাঁদিয়া আকুল হইলেন। আমি ও শ্রীশবাবু তখন রবীন্দ্রনাথের গৃহে প্রবেশ করিলাম। …এমন সময় রবীন্দ্রনাথেরও চক্ষে ধারা বহিতে লাগিল। আমি তাঁহার অশ্রুপাত দেখিয়া একটু যেন আস্বস্ত হইলাম। তাঁহার সেই নিশ্চল গম্ভীর ভাব ও শোকপূর্ণ অবস্থা দেখিয়া মনে বড় আতঙ্ক জন্মিতেছিল।’

শমীন্দ্রনাথ

পুত্রশোকাতুর রবীন্দ্রনাথ পরের দিনই শান্তিনিকেতনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। শান্তিনিকেতনে ফেরার পর বড়দা দ্বিজেন্দ্রনাথ এসে দাঁড়িয়েছিলেন শোকদগ্ধ ছোটভাইটির পাশে। স্নেহের হাত পিঠে বুলিয়ে দিয়ে অস্ফুট স্বরে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘রবি’, ‘রবি’!

শেষে রবীন্দ্রনাথও নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। দু’চোখ জলে ভরে উঠেছিল। এই চরম দুঃখের মধ্যে একটু হয়তো সান্ত্বনা খুঁজছিলেন কবি। তাই ডাক পড়ে আশ্রমশিক্ষক যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের। যতীন্দ্রনাথ ভুবনডাঙ্গায় বালক-বালিকাদের নিয়মিত পড়াতে যেতেন। তাঁর সঙ্গে যেতেন শমীন্দ্রনাথও। যতীন্দ্রনাথের হাতে একটি পুঁটুলি তুলে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘শমীর এই জামা কাপড়গুলো ভুবনডাঙার ছাত্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিও।’

সন্তান-বিয়োগের এই বেদনা রবীন্দ্রনাথের মনে রয়ে গিয়েছিল, তা হারানোর নয়। প্রায় পঁচিশ বছর পর মীরা দেবীর পুত্র নীতীন্দ্রনাথের অকাল-মৃত্যু হয়। নীতীন্দ্রনাথকেও কবি খুব ভালবাসতেন। শোকধ্বস্ত মীরাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ হাহাকারময় সেই দিনটির কথা উল্লেখ করে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘শমী যে রাত্রে গেল তার পরের রাতে রেলে আসতে আসতে দেখলুম জোৎস্নায় আকাশ ভেসে যাচ্চে, কোথাও কিছু কম পড়েচে তার লক্ষণ নেই। মন বললে কম পড়েনি— সমস্তর মধ্যে সবই রয়ে গেছে, আমিও তারই মধ্যে। সমস্তর জন্যে আমার কাজও বাকি রইল। যতদিন আছি সেই কাজের ধারা চলতে থাকবে। সাহস যেন থাকে, অবসাদ যেন না আসে, কোনোখানে কোনো সূত্র যেন ছিন্ন হয়ে না যায়—যা ঘটেচে তাকে যেন সহজে স্বীকার করি…।’ বোঝা যায়, শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু রবীন্দ্রনাথকে কতখানি আলোড়িত করেছিল। পিতৃহৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল। সেই প্রবল শোকের মধ্যেও রবীন্দ্রনাথ যে ভাবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন, ফিরে পেয়েছিলেন, তা তাঁর পক্ষেই সম্ভব! রবীন্দ্রনাথের এই সহিষ্ণুতার কথা ভেবে চরম বিপর্যয়ের দিনে আমরাও বোধহয় সান্ত্বনা পেতে পারি।

ছবি সৌজন্যে: লেখক

* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (tagore-stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।

Skip to content