শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে ঘুরে আসতে পারেন মহাশূন্যে ভাসমান এই বিলাসবহুল হোটেলে। উড়ন্ত সেই হোটেলেই সাজানো রয়েছে সুইমিং পুল, জিম, রেস্তোঁরা, বার, স্পোর্টস সেন্টার থেকে সিনেমা, ছোটদের খেলার মাঠ থেকে শুরু করে গোটা একটা শপিং মল। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই! তবে গল্প মনে হলেও ভবিষ্যতে দেখা যেতে পারে মেঘের চাদরে মোড়া আশ্চর্য সেই ভাসমান হোটেলটিকে।

স্বপ্নের মতো এই কাণ্ডটি ঘটিয়ে ফেললেন ইয়েমেনের এক বিজ্ঞানী। এই ভাবনা প্রথম আসে টনি হোমস্টেন নামে এক বিজ্ঞানীর মাথায়। পরে সেটিকে রূপ দেন হাশেম আল ঘাইলি নামে এক বিজ্ঞানী।

সম্প্রতি একটি ভিডিও তে 'স্কাই ক্রুজ' নামে মহাশূন্যে ঝুলে থাকা আস্ত একটা হোটেলের নকশা দেখা গিয়েছে। যেখানে এক সঙ্গে থাকতে পারবেন অন্তত পাঁচ হাজার যাত্রী। ইউটিউবে এই হোটেলের নকশা দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

ওই বিশাল স্কাই ক্রুজটি পারমাণবিক সংযোজন দ্বারা চালিত। বিমানটি একবার উড়ানের পর বেশ কয়েকমাস ভেসে থাকতে সক্ষম হবে। অন্তত ২০টি নিউক্লিয়ার ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ওই স্কাই ক্রুজটিতে, যা সেটিকে ভাসতে সাহায্য করবে মহাশূন্যে।

এই বিশালাকার বিমানটিকে নিখুঁত ভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য বহু সংখ্যক দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হবে।

ঘরের ছাদ, দেওয়াল ছাড়াই মহাশূন্যে ভাসমান এই হোটেলের ভাড়া প্রায় ২৬ হাজার টাকা।

উড়ন্ত হোটেলে সুইমিং পুল, জিম, রেস্তোঁরা, বার, সিনেমা ইত্যাদির পাশাপাশি সেখানে মিলবে হাসপাতালের সুবিধাও। আবার প্রয়োজন হলে ওই ভাসমান হোটেলটিকে যাতে মাঝ আকাশেই সারানো যায়, সেই ব্যবস্থাও করেছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকী কোনও অসুবিধা হলে পর্যটকদের যাতে ওই স্কাই ক্রুজ থেকে অন্য বিমানে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তারও বন্দোবস্ত রয়েছে।

পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এয়ারপকেটে পড়ে ঝাঁকুনি এড়ানোরও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এই স্কাই ক্রুজটিতে।

অবিশ্বাস্য আকাশে উড়তে থাকা এই স্কাই ক্রুজটি সত্যি যদি কোনওদিন সফল হতে পারে তাহলে পাঁচ-সাত তারার সকল সুবিধা-সহ মেঘের কাছে বসেই প্রিয় জনের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন।


Skip to content