ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
মুমুদাদা মানে মৃন্ময়কান্তি দারুন ছবি তোলেন। তারই তোলা ছবি। বাবলি তার বাপি মানে তরুণকান্তির জন্য একটা সিল্কের কালো পাঞ্জাবি প্রেজেন্ট করেছিল। তরুণকান্তির ধবধবে গায়ের রং চোখের রিমলেস চশমা। রুপোলি লম্বা চুল, দুধ-সাদা দাড়ির সঙ্গে সেই কালো রঙের পাঞ্জাবিটা খুব ভালো মানাত। আর সেজ কাকিমা সুরঙ্গমা বাবলিকে একটা সুন্দর কালো রঙের চুড়িদার দিয়েছিল। বছরখানেক আগেই একদিন মুমুদাদা সেই কালো পোশাকে দু’জনের এই সুন্দর ছবিটা তুলে দিয়েছিল।
ফেসবুক সার্চে গিয়ে অরুণাভ লিখতেই অনেক অরুণাভ এসে গেল। তারা অচেনা অজানা। অরুণাভ বসু লিখল তাতেও খুঁজে পেল না। তখন কি ভেবে অরুণাভ অ্যাক্টর লিখল। একেবারে প্রথমেই চেনা অরুণাভ। তবে ছবিটা ওই সিরিয়ালে যে চরিত্রটা করেছিল তার। চরিত্রের নাম বিহান। বিহান মানে কী? গুগুল বলল বিহান নামের অর্থ—প্রভাত, প্রাতঃকাল, প্রত্যুষ। আবার অরুণাভ মানে সূর্যের আভা- আলোর ছটা। ওর আসল নামের সঙ্গে চরিত্রের নামের অদ্ভুত মিল তো? কিন্তু চরিত্রটার সঙ্গে কোন মিল নেই। “মন নিয়ে খেলা” নামের এই ধারাবাহিকের নায়িকা প্রকৃতি বিবাহিত। হঠাৎ একদিন তারই স্বামীর আমন্ত্রণে তাদের বাড়িতে এসে পড়ে প্রকৃতির বহুবছর আগে পরিচিত একজন। যার নাম বিহান।
সেদিনের পর্বে এটুকুই ছিল। এর আগে কি হয়েছে বাবলি তাও জানে না পরের পর্বও দেখবে বলে মনে হয় না। তবে যে চরিত্রে অরুনাভকে দেখল এবং যেভাবে সে তার ফেলে আসা স্মৃতি থেকে অরুণাভকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে তার সঙ্গে ধারাবাহিকের গল্পের হয়তো একটু মিল আছে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই অরুণাভ, বাবলির পূর্বপ্রেমিক ছিল না। ভবিষ্যতেও তেমন সম্ভাবনা কম। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটিভ না হলেও ইউটিউবের ভিডিও কখনও কখনও নজরে এসে যায়। সত্যি কিনা জানে না কিন্তু সেখানে বাবলি দেখেছে ধারাবাহিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মন দেওয়া-নেওয়ার ব্যাপারে একটু বেশি বেহিসেবী। ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা বা টিআরপির মতই তাদের জীবনে ভালোবাসার তাপ-উত্তাপ ওঠানামা করে। সম্পর্কে এই উথালিপাথালি জোয়ার আবার পরক্ষণেই ফুল পাতা আবর্জনা ভেসে যাওয়া ভাটা।
ফেসবুক সার্চে গিয়ে অরুণাভ লিখতেই অনেক অরুণাভ এসে গেল। তারা অচেনা অজানা। অরুণাভ বসু লিখল তাতেও খুঁজে পেল না। তখন কি ভেবে অরুণাভ অ্যাক্টর লিখল। একেবারে প্রথমেই চেনা অরুণাভ। তবে ছবিটা ওই সিরিয়ালে যে চরিত্রটা করেছিল তার। চরিত্রের নাম বিহান। বিহান মানে কী? গুগুল বলল বিহান নামের অর্থ—প্রভাত, প্রাতঃকাল, প্রত্যুষ। আবার অরুণাভ মানে সূর্যের আভা- আলোর ছটা। ওর আসল নামের সঙ্গে চরিত্রের নামের অদ্ভুত মিল তো? কিন্তু চরিত্রটার সঙ্গে কোন মিল নেই। “মন নিয়ে খেলা” নামের এই ধারাবাহিকের নায়িকা প্রকৃতি বিবাহিত। হঠাৎ একদিন তারই স্বামীর আমন্ত্রণে তাদের বাড়িতে এসে পড়ে প্রকৃতির বহুবছর আগে পরিচিত একজন। যার নাম বিহান।
সেদিনের পর্বে এটুকুই ছিল। এর আগে কি হয়েছে বাবলি তাও জানে না পরের পর্বও দেখবে বলে মনে হয় না। তবে যে চরিত্রে অরুনাভকে দেখল এবং যেভাবে সে তার ফেলে আসা স্মৃতি থেকে অরুণাভকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে তার সঙ্গে ধারাবাহিকের গল্পের হয়তো একটু মিল আছে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই অরুণাভ, বাবলির পূর্বপ্রেমিক ছিল না। ভবিষ্যতেও তেমন সম্ভাবনা কম। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটিভ না হলেও ইউটিউবের ভিডিও কখনও কখনও নজরে এসে যায়। সত্যি কিনা জানে না কিন্তু সেখানে বাবলি দেখেছে ধারাবাহিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মন দেওয়া-নেওয়ার ব্যাপারে একটু বেশি বেহিসেবী। ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা বা টিআরপির মতই তাদের জীবনে ভালোবাসার তাপ-উত্তাপ ওঠানামা করে। সম্পর্কে এই উথালিপাথালি জোয়ার আবার পরক্ষণেই ফুল পাতা আবর্জনা ভেসে যাওয়া ভাটা।
অনেক দোনোমনো অনেক ভাবনা চিন্তার পর ফেসবুকে মেসেজ বক্সে বাংলায় লিখল জেএনইউ। প্রকাশজি। রক্তকরবী। বিশু পাগল। নন্দিনী। সিআর পার্ক। মনে পড়লে উত্তর দিস।
তিনদিন পর উত্তর এসেছিল।
তুই কলকাতার কোথায়? আমায় ফোনে মেসেজ করিস।
একটা ফোন নম্বর দেওয়া।
যোগাযোগ হয়েছিল। তবে অরুণাভ এতদিন পরে প্রথম যোগাযোগটা টেলিফোনে করতে চায়নি। কোথায় দেখা হতে পারে জানতে চেয়েছিল।
বাবলি কলকাতার যেকোনো জায়গাতেই দেখা করতে পারে। তবে বাড়ির একদম কাছে হাঁটাপথে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির মুখেই বালিগঞ্জ ধাবায় আসার কথা জানালো। বাবলি সবসময় গাড়ি নিয়ে বেরোয় না। হেঁটে যাতায়াত করে। রাস্তায় হাঁটতে ওর ভালো লাগে। বসুন্ধরা ভিলা থেকে বেরিয়ে একটু এগিয়ে গেলে ওল্ড বালিগঞ্জ রোড মানে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ-এর প্যারালাল রাস্তা দিয়ে পাঠভবন স্কুল টপকে গিয়ে বাঁদিক নিয়ে বন্ডেল রোড দিয়ে যাওয়া যায়। আবার পাঠভবন স্কুলের খানিকটা আগে একটা চিলতে গলি ঢুকে গিয়েছে। বাইরে থেকে দেখলে ব্লাইন্ড লেনের মতো, কিন্তু একটা আড়াআড়ি বাঁক নিয়ে গলিটা সোজা ট্রাম রাস্তায় গিয়ে পড়েছে। রাস্তা টপকে ওপারে গেলে অ্যাক্সিস ব্যাংক। ওখানে মাঝে মাঝে যায় বাবলি। ব্যাংকের ফুটপাত ধরে সোজা এগিয়ে গেলে পেট্রোল পাম্পের গাঘেঁষে তেরছাভাবে বেরিয়ে গেছে হাজরা রোড। কয়েক পা এগিয়ে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড টপকালেই বাঁহাতে বালিগঞ্জ ধাবা।
তিনদিন পর উত্তর এসেছিল।
তুই কলকাতার কোথায়? আমায় ফোনে মেসেজ করিস।
একটা ফোন নম্বর দেওয়া।
যোগাযোগ হয়েছিল। তবে অরুণাভ এতদিন পরে প্রথম যোগাযোগটা টেলিফোনে করতে চায়নি। কোথায় দেখা হতে পারে জানতে চেয়েছিল।
বাবলি কলকাতার যেকোনো জায়গাতেই দেখা করতে পারে। তবে বাড়ির একদম কাছে হাঁটাপথে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির মুখেই বালিগঞ্জ ধাবায় আসার কথা জানালো। বাবলি সবসময় গাড়ি নিয়ে বেরোয় না। হেঁটে যাতায়াত করে। রাস্তায় হাঁটতে ওর ভালো লাগে। বসুন্ধরা ভিলা থেকে বেরিয়ে একটু এগিয়ে গেলে ওল্ড বালিগঞ্জ রোড মানে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ-এর প্যারালাল রাস্তা দিয়ে পাঠভবন স্কুল টপকে গিয়ে বাঁদিক নিয়ে বন্ডেল রোড দিয়ে যাওয়া যায়। আবার পাঠভবন স্কুলের খানিকটা আগে একটা চিলতে গলি ঢুকে গিয়েছে। বাইরে থেকে দেখলে ব্লাইন্ড লেনের মতো, কিন্তু একটা আড়াআড়ি বাঁক নিয়ে গলিটা সোজা ট্রাম রাস্তায় গিয়ে পড়েছে। রাস্তা টপকে ওপারে গেলে অ্যাক্সিস ব্যাংক। ওখানে মাঝে মাঝে যায় বাবলি। ব্যাংকের ফুটপাত ধরে সোজা এগিয়ে গেলে পেট্রোল পাম্পের গাঘেঁষে তেরছাভাবে বেরিয়ে গেছে হাজরা রোড। কয়েক পা এগিয়ে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড টপকালেই বাঁহাতে বালিগঞ্জ ধাবা।
আরও পড়ুন:
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং..., ২য় খণ্ড, পর্ব-৪৬: খানিকটা জোর করেই আমি ছবি আঁকি
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৬: সুন্দরবনের গবাদি-পশুরক্ষক মানিক পীর
দাদা গগনকান্তির অসুস্থতা তাকে ঘরে বেঁধে ফেলল। খুব স্বাভাবিকভাবে বিকাশকান্তির দায়িত্ব অনেকটা বেড়ে গেল। ফাইন্যান্সের দিকটা পুরোপুরি গৌরবের হাতে ছেড়ে বিকাশ মূলব্যবসায় মন দিতে বাধ্য হলেন। বিকাশ-ছন্দার তিন সন্তান। সৌরকান্তি চন্দ্রকান্তি ও নক্ষত্রকান্তি দত্ত। সৌরকান্তি তখন সবে আঠারো। ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়ে কমার্স নিল। চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হতে চায়। তিনভাই পড়াশোনায় খুবই ভালো। আমার মেজো জেঠিমা ছন্দা মেট্রিকুলেশনে খুব ভালো রেজাল্ট করেছিলেন। ছোট থেকে ওই তিনসন্তানের পড়াশোনার প্রতি তাঁর কড়া নজর ছিল।
অরুণাভ ব্যস্ত অভিনেতা। বাবলি ভেবেছিল শেষ মুহূর্তে হয়ত একটা রিগ্রেট মেসেজ আসবে। তাই সে সেদিন একটু দেরিতেই বেরিয়েছিল। ধীর পায়ে হাঁটছিল গন্তব্যের দিকে। আগে ঝোলানো ব্যাগের ওপরে হাত রেখে হাঁটছিল। ইনকামিং মেসেজ এলে ফোনের ভাইব্রেশন টের পাবে। কিন্তু ট্রাম লাইন রাস্তা পেরিয়ে ওপারে পৌঁছে যেতেও কোনও মেসেজ এল না। যখন তেকোণা পেট্রোল পাম্পটা পেরোচ্ছে তখন ফোনটা কেঁপে উঠলো। হাজরা রোড পেরিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে বাবলি ফোনটা বের করে দেখলো। অরুণাভর মেসেজ।
কিরে? কোথায় তুই !!
বাবা! তার মানে অ্যাক্টর অরুণাভ পোঁছে গিয়েছে!
অরুণাভ ব্যস্ত অভিনেতা। বাবলি ভেবেছিল শেষ মুহূর্তে হয়ত একটা রিগ্রেট মেসেজ আসবে। তাই সে সেদিন একটু দেরিতেই বেরিয়েছিল। ধীর পায়ে হাঁটছিল গন্তব্যের দিকে। আগে ঝোলানো ব্যাগের ওপরে হাত রেখে হাঁটছিল। ইনকামিং মেসেজ এলে ফোনের ভাইব্রেশন টের পাবে। কিন্তু ট্রাম লাইন রাস্তা পেরিয়ে ওপারে পৌঁছে যেতেও কোনও মেসেজ এল না। যখন তেকোণা পেট্রোল পাম্পটা পেরোচ্ছে তখন ফোনটা কেঁপে উঠলো। হাজরা রোড পেরিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে বাবলি ফোনটা বের করে দেখলো। অরুণাভর মেসেজ।
কিরে? কোথায় তুই !!
বাবা! তার মানে অ্যাক্টর অরুণাভ পোঁছে গিয়েছে!
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৯: বেশি ঘুম শরীরের পক্ষে ভালো?
চলো যাই ঘুরে আসি, অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পের পথে, পর্ব-৩: অবশেষে অভাবনীয় প্রাপ্তি ও স্বপ্নপূরণ
সৌরভের দ্বায়িত্ব বৃদ্ধিতে প্রণয়ের রাগ বাড়ল। কিন্তু তার কিছু করার নেই। বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানিজ বা বসুন্ধরা ভিলার কোনকিছুই তার মনের মতো হয় না। এই বাড়ির একজন সদস্য হয়েও প্রণয়কান্তির সব কিছুতে বাধা আসে। মাঝে মাঝে প্রণয় ভাবতে বসে তার ভুলটা কোথায় হচ্ছে? ঠান্ডা মাথায় ভেবে এটা সে বুঝতে পেরেছে যে একই সঙ্গে সকলকে সে শত্রু বানিয়ে ফেলেছে। মাথা গরম করে বাবলির গায়ে হাত তোলাটা একদম ভুল কাজ হয়ে গেছে। যার ফলে বাবার পাওনা মাসোহারার প্রায় সিংহভাগ এখন বাবলির কাছে চলে যাচ্ছে। প্রণয় বসুন্ধরা গ্রুপের স্টাফ ওয়েলফেয়ার এক্সিকিউটিভ। তার সঙ্গেই কাজ করেন তারক নিয়োগী।
প্রণয় কোনওদিনই তারক নিয়োগীকে অন্য সকলের মতো ‘বাবু’ সম্বোধনে ডাকেনি। অধস্তন কর্মচারীদের যেভাবে বলা হয় ঠিক সেভাবে ‘নিয়োগী বাবু’ বলেই ডাকত প্রণয়। আর প্রণয়ের নির্দেশমতো শ্রদ্ধেয় তারক নিয়োগী তাকে ‘মিস্টার দত্ত’ বলে সম্বোধন করতেন। তবে এই ঘটনাটা বাড়ির আর কারও কাছে কখনও প্রকাশ পায়নি। তার উদ্ধত ব্যবহার অসংযত কথাবার্তার জন্য প্রণয়কে অফিসে এবং বাড়িতে পারতপক্ষে সকলেই এড়িয়ে চলত। তারকবাবু এই ঘটনা নিয়ে অফিসে বা পরিবারের মধ্যে আর কোন নতুন অশান্তি চাননি। তাই নির্বিবাদে সকলের অজান্তে এই ব্যবস্থা তিনি মেনে চলতেন।
প্রণয় কোনওদিনই তারক নিয়োগীকে অন্য সকলের মতো ‘বাবু’ সম্বোধনে ডাকেনি। অধস্তন কর্মচারীদের যেভাবে বলা হয় ঠিক সেভাবে ‘নিয়োগী বাবু’ বলেই ডাকত প্রণয়। আর প্রণয়ের নির্দেশমতো শ্রদ্ধেয় তারক নিয়োগী তাকে ‘মিস্টার দত্ত’ বলে সম্বোধন করতেন। তবে এই ঘটনাটা বাড়ির আর কারও কাছে কখনও প্রকাশ পায়নি। তার উদ্ধত ব্যবহার অসংযত কথাবার্তার জন্য প্রণয়কে অফিসে এবং বাড়িতে পারতপক্ষে সকলেই এড়িয়ে চলত। তারকবাবু এই ঘটনা নিয়ে অফিসে বা পরিবারের মধ্যে আর কোন নতুন অশান্তি চাননি। তাই নির্বিবাদে সকলের অজান্তে এই ব্যবস্থা তিনি মেনে চলতেন।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৪: সে যেন অন্য এক ‘পূনর্মিলন’
দশভুজা, শক্তিরূপেন সংস্থিতা, পর্ব-১: তিনকন্যা
বিনয় কান্তি জানতে চাইলে তারক বলত প্রণয়বাবু ভালো কাজ করছেন। উইলিয়াম পিটারসনকে বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানি বছরে বছরে যে ঋণ শোধ করত তা একসময় শেষ হল। বিলেত থেকে উইলিয়াম পিটারসনের সই করা বিনয়কান্তিকে লেখা এক লম্বা চিঠিতে পিটারসন জানালেন বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানি সমস্ত ঋণ বৈদেশিক মুদ্রায় শোধ করেছে। বিনয়কান্তি তার কোম্পানির সমস্ত কর্মচারী ও তার পরিবারের সকলের প্রচেষ্টায় এই অভাবনীয় সাফল্যে তিনি ভীষণ খুশি। এতদিনে শোধ করার সমস্ত টাকা তিনি জমিয়ে রেখেছেন। সেই সব টাকা তিনি ভারতীয় মুদ্রায় বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানি যে তৈরি হওয়া স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ডে উপহার হিসেবে পাঠাতে চান। এই বিশেষ খুশির সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ভারতে উপস্থিত হতে পারলে খুশি হতেন কিন্তু শারীরিক কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
পিটার্সনের ফেরত দেওয়া টাকায় স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ডের মূলধন অনেকটাই বেড়ে গেল। এখান থেকে কর্মচারীরা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে স্বল্পকালীন ঋণ নিতে পারত। তাদের চিকিৎসার জন্যেও এই ফান্ড থেকেই টাকা খরচ করা হতো। আর স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ডের পুরো কাজকর্ম দেখতেন তারক বাবু নিজে। তারক বাবুর সঙ্গে আলোচনা করে বিনয়কান্তি অন্য কোন বিভাগে না দিয়ে প্রণয়কান্তিকে তারকবাবুর সঙ্গেই রেখেছিলেন। কিন্তু ফান্ডের টাকা তোলার কোন ক্ষমতা প্রণয়কান্তির ছিল না। তিনজনের সই লাগতো টাকা তুলতে। চেয়ারম্যান বিনয়কান্তি নিজে, ফিনান্স হেড বিকাশকান্তি আর কর্মচারিদের স্টাফ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে তারক নিয়োগী। খাতা কলমের সমস্ত কাজটা তারকবাবু গুছিয়ে করে রাখতেন প্রণয়কান্তি শুধু অর্ডারে সই করতেন।
দরজা পেরিয়ে ঠান্ডার মধ্যে চোখ চালিয়ে এক কোণে দেখা মিলল অরুনাভর। আগের থেকে ফর্সা লাগছে, চুলটা বোধহয় একটু ডাই করা। বাবলিকে অরুণাভ দূর থেকে চিনতে পেরেছে। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হাত নাড়াল। —চলবে।
পিটার্সনের ফেরত দেওয়া টাকায় স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ডের মূলধন অনেকটাই বেড়ে গেল। এখান থেকে কর্মচারীরা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে স্বল্পকালীন ঋণ নিতে পারত। তাদের চিকিৎসার জন্যেও এই ফান্ড থেকেই টাকা খরচ করা হতো। আর স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ডের পুরো কাজকর্ম দেখতেন তারক বাবু নিজে। তারক বাবুর সঙ্গে আলোচনা করে বিনয়কান্তি অন্য কোন বিভাগে না দিয়ে প্রণয়কান্তিকে তারকবাবুর সঙ্গেই রেখেছিলেন। কিন্তু ফান্ডের টাকা তোলার কোন ক্ষমতা প্রণয়কান্তির ছিল না। তিনজনের সই লাগতো টাকা তুলতে। চেয়ারম্যান বিনয়কান্তি নিজে, ফিনান্স হেড বিকাশকান্তি আর কর্মচারিদের স্টাফ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে তারক নিয়োগী। খাতা কলমের সমস্ত কাজটা তারকবাবু গুছিয়ে করে রাখতেন প্রণয়কান্তি শুধু অর্ডারে সই করতেন।
দরজা পেরিয়ে ঠান্ডার মধ্যে চোখ চালিয়ে এক কোণে দেখা মিলল অরুনাভর। আগের থেকে ফর্সা লাগছে, চুলটা বোধহয় একটু ডাই করা। বাবলিকে অরুণাভ দূর থেকে চিনতে পেরেছে। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হাত নাড়াল। —চলবে।
সাজানো রেস্তরাঁ। ছবি সৌজন্য: সত্রাগ্নি।
বসুন্ধরা এবং… ২য় খণ্ড/ পর্ব-৪৮
* বসুন্ধরা এবং… দ্বিতীয় খণ্ড (Basundhara Ebong-Novel Part-2) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।