রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

।।যুগের সঙ্কট।।

অমিতাভ সেন এবং মনীষা সেন ছিলেন নকশাল আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা। স্কুলের চাকরিটা তাদের দুজনের একটা সামাজিক ব্যবহারিক পরিচয়। কিন্তু ওরা দুজনেই শিক্ষক হিসেবে অত্যন্ত গুণী ছিলেন। সে কাজে কখনও কোনওদিন কোনও ফাঁকি ছিল না। কিন্তু তাঁরা তাঁদের রাজনৈতিক বিশ্বাসেই নিজেদের জীবন বাজি রেখে ছিলেন। নানা বয়সী স্কুলপড়ুয়া ছাত্ররা পড়তে আসে। মাঝে মধ্যে তাদের অভিভাবকরা পরিবারের মানুষজন আসে। সেই মানুষজনের ভিড়েই মিশে থাকে অচেনা অজানা মানুষ। যারা জেলা স্তরের নেতা বা কর্মী। দলের কাজেই কলকাতা শহরে যাঁদের এক-দু’দিন জন্য গোপন নিশ্চিত আশ্রয় লাগে। তারা হয়তো ধরা পড়তেন না। স্বামী-স্ত্রী দলের কাজেই উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়েছিলেন। একটা ছোট্ট সময়ের জন্যে। দু’ জনে দুই প্রান্তে। একসঙ্গে হয়ে আবার ফিরে এলেন।

পুলিশ ভীষণভাবে পেশাদারী দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিল। এই ইতিহাস পরে নানা সময় নানা ভাবে শুনেছিলাম। এখন লেখার সময় বসে পরপর সাজিয়ে লিখে যাচ্ছি। কলকাতা থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর নেবার পর পুলিশ অমিতাভ-মনীষা সেনকে তাদের অজান্তেই নজরে রেখেছিল। কিন্তু জলপাইগুড়ির সেনপাড়া বা রানিনগরে তাদের গ্রেপ্তার করেনি। পুলিশ চেয়েছিল কলকাতায় তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এদের সঙ্গে সংযুক্ত আরও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে। ভোরবেলা শিয়ালদা স্টেশনে ফেরা থেকে, বাড়ি ঘুরে যে যার স্কুলে যাওয়া সবটাই পুলিশ সাদাপোশাকে সাধারণ অ্যাম্বাসাডার গাড়িতে করে নজর করেছে। কোথাও কোন পুলিশের গাড়ি পুলিশকর্মী নেই। যারা এই অপারেশনের যুক্ত ছিল তারা সবাই অচেনা মুখ। আগেই বলেছি আন্দোলনকারীদের মতোই, আন্দোলনদমনকারী পুলিশকর্মীরাও একটা জমে থাকা রাগ একটা জেদ থেকে এভাবে যন্ত্রের মতো কাজ করছিল।
এই দু’ জন পুলিশ অফিসার খুব বড় ঝুঁকি নিয়েছিল। ঘরভর্তি ছাত্র অমিতাভ-মনীষা পালাবার চেষ্টা করলে গুলিগোলা হয়তো চলত। কমবয়সী ছাত্রদের জীবনের ঝুঁকি থাকত। কিন্তু খোঁজখবর নিয়ে বাড়িতে আসা ছাত্রদের সঙ্গে অমিতাভ বা মনীষার সম্পর্কটা জেনেই হিসেব করে ঝুঁকিটা নেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে পুলিশ ভেবেছিল অমিতাভ ও মনীষার সঙ্গে আরও এক-দুজন নেতাকর্মী যদি দেখা করতে আসে। তাদের বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই রাস্তা থেকে তুলে নেবে। তবে এই সম্ভাবনাটা মেলেনি। তেমন কেউ আসেননি। বা আসলেও পুলিশের উপস্থিতি আন্দাজ করে লুকিয়ে পড়েছে। অমিতাভের বাড়িতে কোনও ল্যান্ডফোন নেই আর সেটা মোবাইলের যুগ নয়। তাই হয়তো আগে থেকে অমিতাভ মনীষাকে খবর দিয়ে সাবধান করা যায়নি। লোকাল থানার লোকজন বাইরে ছিল মনীষা অমিতাভকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের উপস্থিতিতে বাড়িতে একদফা তল্লাশি করা হল। ‘দেশব্রতী’, ‘ভিত্তি’, ‘হাতিয়ার’, ‘কালপুরুষ’ এসব কাগজ পাওয়া গেল। পাওয়া গেল চে গুয়েভারা ও মাও সেতুং-এর লেখা গেরিলা যুদ্ধ সম্পর্কিত বইপত্রের ইংরেজি অনুবাদ। আর সেই বিখ্যাত রেড বুক। বুকপকেটে ঢুকে যায় এমন ছোট সাইজ। লাল রেক্সিনে মোড়া কার্ডবোর্ডের কভার। রেক্সিনের ওপরে এনগ্রেভ করে লেখা ”কোটেশনস অফ চেয়ারম্যান মাও সেতুং”। তার নিচে একটা তারা। এই সেই রেডবুক যাকে হাতে রেখে তারা বিপ্লবের পাঠ নিতো। মরণপণ সংগ্রামে নিজেকে বিলিয়ে দিতে বা অনেক নাস্তিক নকশাল প্রেমিক প্রেমিকা রেডবুক সাক্ষী রেখেই বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হতো। পাওয়া গেল কিছু তাত্ত্বিক নেতার ব্যক্তিগত চিঠিপত্র যাতে এটা আন্দাজ করা যায় অমিতাভ-মণীষাও তাঁদের মতো মনে করতে শুরু করেছিল যে দাগি সমাজবিরোধীরা আন্দোলনের ঊদ্দেশ্য নষ্ট করছে। গ্রামভিত্তিক জন-আন্দোলনের থেকে শিক্ষিত মধ্যবিত্তের শোষণমুক্তির স্বপ্ন বা নিঃশব্দ সমর্থন হারিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি সিল করে পুলিশ সকলকে নিয়ে চলে গেল।
আরও পড়ুন:

দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-১২: বাইরের দরজা ঠেলে দু’ জন মাঝবয়সী অচেনা লোক ঢুকে পড়লেন

অজানার সন্ধানে: মুছে যাক গ্লানি মুছে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা…

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫১: সর্বত্র নিরবিচ্ছিন্ন প্রচার প্রয়োজন, তবেই বাড়বে মাছ নিয়ে সচেতনতা, উপকৃত হবে আমজনতা

এবার ফিরব সেদিনের সেই ঘটনাক্রমে। ছোটকা যখন একটা ওষুধের দোকানের টেলিফোন থেকে অমিতাভ-মনীষা সেনের সঙ্গে বাবুদাদাদের গ্রেফতার হবার খবর শোনাচ্ছিল। তখন সে তো জানেই না খোদ লালবাজার থেকে ফোন করে দাদু বিনয়কান্তি দত্তকে এই ভয়ঙ্কর খবরটা তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।

ঠাম্মি তুমি এক কাজ করো। বাবাকে দাও। না হলে যদি বড়দা বা মেজদা থাকে। মা, না মাকে দিতে হবে না। সেজ বৌদি নেই?

সবাই এখানেই আছে ছোট্টু। বিনু আছে। বড় খোকা মেজখোকা স্বর্ণ সেজ নাতবউ সক্কলে আছে। তুই কি বলবি আমরা জানি। বিনুর কাছে লালবাজার থেকে ফোন এসেছিল।

ও তোমরা সব জানো। তো আমি এখন কি করবো?

তুই ধর আমি বিনুকে জিজ্ঞেস করি। বাবা যদি কথা বলতে চায়।

বসুন্ধরা বিনয়কান্তির দিকে তাকালো। এত বছর ধরে এত সংকট থেকে উতরে এসেছে বিনয়কান্তি। তার শরীরের প্রতিটি ভঙ্গি মুখের অভিব্যক্তি মনের মধ্যে চেপে রাখা ঝড় সবকিছুর সাক্ষী বসুন্ধরা। আগের সমস্ত সংকটের মুহূর্তে বসুন্ধরা পাশে ছিল তারপরে যোগ্য সহধর্মিণীর মতো স্বর্ণ রয়েছে বিনুর পাশেপাশে। এই মুহূর্তে বিনুকে বড় অসহায় লাগছে স্বর্ণর। সে বসুন্ধরার দিকে তাকায়। শান্তিলতার জীবনের দূর্ভাগ্যের জন্যে বিনয় আজও নিজেকে দায়ী করে। স্বর্ণ ভাবে ন’ছেলে তরুণকান্তি’র জীবনটা বোধহয় তারই জন্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। বসুন্ধরা বলেন, এ সবই ভবিতব্য। কারও জন্যে কোনও ক্ষতি হয় না। বসুন্ধরার বাবা মুকুন্দ সেনগুপ্ত সৎ নির্বিরোধী শিক্ষক। কোনদিন কারও ক্ষতি করেননি। কিন্তু অকালে তাঁর স্ত্রীবিয়োগ হল কেন? মা-মরা মেয়েকে সুপাত্রস্থ করলেন। জামাতা শ্যামসুন্দর দেশান্তরি হল কেন? কেনই বা ১৯ বছর পর বসুন্ধরা তার স্বামীকে ফিরে পেল আবার ক’দিন রোগভোগের পর সর্বভূতে বিলীন হয়ে গেলেন শ্যামসুন্দর।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০: তত্ত্বতালাশ

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১৫: অসুখের শরীর, সমাজের কাছে ভয় নারীর

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩১: মরুভূমির উপল পারে বনতলের ‘হ্রদ’

শান্তি খুব অসুস্থ। বড় বউ আরতি আর মেজ বউ ছন্দা তাদের ননদ শান্তিলতাকে সামলাচ্ছে। শান্তি বড় অস্থির করছে। এরকম কিছু ঘটলেই তার হাঁফানির কষ্টটা বাড়ে। তখন আজকের যুগের নেবুলাইজার ছিল না। রাবার বালব টিপে টিপে মুখে হাঁপানি কমানোর ওষুধ স্প্রে করতে হতো। এই মুহূর্তে বিনয়কে কিছু বলতে ভরসা পারছেনা স্বর্ণ। ডান হাতটা মুঠো করে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে কপালটা অনবরত ঘষে যাচ্ছে বিনয়কান্তি গভীর সংকটের মুহূর্তে এটাই তাঁর নিজেকে শান্ত রাখার ধরণ এটা বসুন্ধরার মতো স্বর্ণও জানে। বসুন্ধরা চোখের ইশারায় স্বর্ণকে আশ্বস্ত করে। বসুন্ধরা দেখেন স্বর্ণ’র পাশে দাঁড়িয়ে সুরঙ্গমা। আশ্চর্য মেয়ে যাহোক। সারা বাংলা জুড়ে যার এত নামডাক। একটা সময় কাগজপত্রে যাকে নিয়ে এত লেখালেখি বসুন্ধরার কথায় একমূহুর্তের সিদ্ধান্তে সব ছেড়েছুড়ে এ সংসারকে বসুন্ধরা ভিলাকে আপন করে নিয়েছে। এখনও কত জায়গায় ডাকাডাকি করে। সেজ নাতি অমু এত নামকরা সাহিত্যিক। তার সঙ্গে নানা অনুষ্ঠানে যাবার এত বড় বড় আমন্ত্রণ হাসিমুখে এড়িয়ে যায় এই মেয়ে। সারাক্ষণ শ্বশুরমশাই আর স্বামী অমলকান্তি’র খেয়াল করে। ছেলেমেয়ে হাতেপায়ে বড় হয়ে গিয়েছে। তারা জেঠিমা ঠাকুমা কখনও বা বুড়ি বড়ো ঠাম্মির আওতায় থাকে সুরঙ্গমা নিশ্চিন্ত। লোকে বলে যেসব মেয়েদের ঘর ছেড়ে কাজেকর্মে বেরোতে হয় তাদের নাকি আবার ঘরে আটকা পড়লে নিজেদের বন্দি মনে হয়। কই সুরঙ্গমাকে দেখে তো সে কথা একবারও মনে হয় না। আসলে এভাবে কোনও ছাঁচে ফেলে কাউকে বিচার করা যায় না। মানুষ একেক জন একেক রকম। না হলে বসুন্ধরা ভিলার সেজো নাতবউ সুরঙ্গমা আর ন’নাতবউ সুজাতার মধ্যে এত তফাৎ কেন? কমলকান্তির তাড়ায় হুঁশ ফেরে বসুন্ধরার।
আরও পড়ুন:

রোজ প্রাতরাশে ডিমের সঙ্গে কলা খাচ্ছেন? এর ফলে কী হচ্ছে জানেন

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৫: সারদা দাদার থেকে চিল্পিঘাটি

হাত বাড়ালেই বনৌষধি: গরমে রক্ষাকবচ ‘টম্যাটো’

কি গো বড় ঠাম্মি! বাবাকে ফোনটা দাও। আমি একটা ওষুধের দোকান থেকে ফোন করছি। আরও লোক আছে পেছনে।

হ্যাঁ হ্যাঁ, ও বিনু, ছোট্টু!

এটুকু শুনেই বিনয়কান্তি মেজো ছেলে বিকাশকে বলে।

মেজখোকা ওকে বল যাদবপুর থানা থেকে ওদের নিয়ে লালবাজার বেরিয়ে গিয়েছে কিনা সেটা জেনে বাড়ি ফিরে আসতে। এতক্ষণে বেরিয়ে যাবার কথা। বড় খোকা বাবুর কাছে গাড়ি পাঠাও। ওঁকে তৈরি হয়ে আসতে বলেছি।

তারকবাবুর নামে ক্রিক রোয়ের মেসের ঘরে একটা ল্যান্ডলাইনের ব্যবস্থা করা ছিল। এই টেলিফোনেই অনেক সময় দিকভ্রান্ত বিনয়কান্তি বসুন্ধরা ভিলার কালপুরুষ বা অরিয়নের কাছে দিকনির্দেশ চাইতেন।

কমলকান্তি যাদবপুর থানায় খোঁজ নিয়ে আবার ফোন করে জানালো ওদের লালবাজারে পাঠানো হয়েছে। খবরটা পেয়েই বিনয় বসুন্ধরার দিকে তাকাল। বসুন্ধরা এ দৃষ্টির অর্থ জানে। স্বর্ণও জানে। বিনয়কান্তি এখন বসুন্ধরার সঙ্গে কথা বলতে চায় স্বর্ণ আর সকলকে নিয়ে ঘর থেকে চলে যাচ্ছিল বসুন্ধরা থামায়—

স্বর্ণ তুই দাঁড়া ।

ঘর খালি হতে স্বর্ণ বিনয়কান্তিকে নাতির সৌরভ এর ব্যাপারে কথা তোলার আগেই বিনয়কান্তি বললেন—

শান্তির শরীর এখন কেমন?

ওই খুব উৎকণ্ঠা করছে ওষুধের ফলে হাঁপানিটা একটু কমেছে।

তার মানে দুশ্চিন্তা কমলে শরীরটা সামলে নেবে?

কথাটা শুনে আশ্চর্য হয়ে স্বর্ণময়ী আর বসুন্ধরা পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকায়

শান্তিকে একটা লম্বা মোটর জার্নির ধকল নিতে হবে। ওকে গিয়ে তৈরি হতে বল।

স্বর্ণ উৎকণ্ঠিত হয়ে বলে ওঠে, “এই অবস্থায় এতো রাতে মেয়েটা কোথায় যাবে?”—চলবে

ছবি: প্রতীকী। সৌজন্যে: সত্রাগ্নি

 

বসুন্ধরা এবং… ২য় খণ্ড/পর্ব-১৪

“তুই কোতোয়ালিতে চাকরি করিস নাকি আদালতের জজ-ম্যাজিস্ট্রেট যে তোর সিদ্ধান্তে লোকের ফাঁসি বা দ্বীপান্তর হবে। তুই এতদিন পরিশ্রম করে খেটে সৎভাবে মাথা উঁচু করে ব্যবসা করেছিস এরপরেও তাই করবি। তোকে দেখে দশটা লোক শিখবে – কারো ক্ষতি না করেও নিজের ভালো করা যায়।”

* বসুন্ধরা এবং… দ্বিতীয় খণ্ড (Basundhara Ebong-Novel Part-2) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।
 

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content