আমার চেম্বারে প্রায়ই একাধিক বিবাহিত দম্পতিই আসেন তাঁদের হারানো যৌনজীবনকে ফিরে পাওয়ার আশায়, যা মূলত বোঝাপড়ার অভাবে মন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। তাঁদের সেই সব সমস্যা উভয়ের মধ্যে এতটাই ক্ষত তৈরি করেছে যে, তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পরিবারের ওপরও।
তাহলে মুক্তির উপায়?
প্রথমত: যেসব দম্পতিরা এই সমস্যা নিয়ে আসেন তাঁদের মধ্যে মূল কারণ হল বোঝাপড়ার অভাব। নিজেরা হয়তো খুব ভালো বন্ধু, ভালোবাসা বিয়েও করেছেন। তবু কোথাও একটা নিজেদের মধ্যে ছন্দপতনের জন্য তাঁরা আর আগের মতো যৌনজীবন উপভোগ করতে পারেন না। এই বোঝাপড়ার ছন্দপতন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, তাঁরা নিজেদের পাশাপাশি প্রিয়জনকেও সমস্যা, অভিমান, রাগ, দুঃখ, ভাললাগা, ভালবাসার কথা ভাগ করে নিতে পারেন না। তাই এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ: হারিয়ে যাওয়া সেই সেরা মুহূর্তকে ফিরে পেতে— আমি না-ও আগে, একে অন্যকে দোষারোপ না করা, রাগ, অভিমান, অহংকার এসব সরিয়ে রেখে উভয়ে উভয়ের দিকে এগিয়ে যান, মনের জানালা খুলে কথা বলুন। ঠিক আগের মতো। একেবারে আপনাদের নিজস্ব ফ্রেমবন্দি সিনেমার মতো। নিজেদের ভাবুন—আমরা, আমাদেরই মতো। তাহলেই দেখবেন হারিয়ে যাওয়া সেই যৌনজীবনকে হয় তো আগের থেকেও বেশি উপভোগ করছেন।
দ্বিতীয়ত: মানুষ সাধারণত দুটি কারণে নিজেদের মধ্যে সঙ্গমে লিপ্ত হয়। এক. সন্তান ধারণের জন্য, দুই, আনন্দ উপভোগ করা। প্রায় সবারই যৌনজীবনে কোনও কোনও সময় একঘেয়েমি গ্রাস করে। এটা কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়, তাই বিষয়টি নিয়ে অযথা উদবেগের কোন কারণ নেই। ধরা যাক, কুড়ি বছরের বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর ঠিকমত বোঝাপড়া হচ্ছে না। একঘেয়েমি চলে এসেছে তাঁদের মধ্যে।
তাহলে সমাধানের পথ? এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ, পরিবেশ-পরিস্থিতে একটু পরিবর্তন আনা জরুরি। হয়তো বা আপনি যে ঘরে বরাবর ঘুমোন, সেই ঘরটি বদল করলেন। শোবার সময় উভয়ের পছন্দের গান খুব হালকা টোনে চালিয়ে দিলেন। পারফিউম বা রুম ফ্রেশনারও ব্যবহার করতে পারেন। প্রিয়জনকে আকৃষ্ট করতে বদল আনতে পারেন রাত পোশাকেও। বিশেষ কোন ভালো লাগার সিনেমাও দেখতে পারেন, যা আপনাদের একঘেয়ে যৌনজীবনে রোমান্টিকতা আনতে পারে। এসবের মূল কথা হল—যৌনজীবন উপভোগ করতে হলে রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।