বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


‘রাজমালা’ এবং রাজসভার উদ্যোগে পুরাণ গ্ৰন্হের অনুবাদ ছাড়াও কয়েকটি ইতিহাসাশ্রিত বাংলা কাব্য রচিত হয়েছিল রাজন্য ত্রিপুরায়। এর মধ্যে রয়েছে ‘কৃষ্ণমালা’, ‘চম্পকবিজয়’, ‘শ্রেণীমালা’, ‘গাজিনামা’। এই সব কাব্যে ঐতিহাসিক উপাদান থাকলেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকদের গুণকীর্তন প্রাধান্য পেয়েছে। তবে ‘গাজিনামা’ এর ব্যতিক্রম। এই কাব্যের কোনও রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল না। সমসের গাজির জীবন ও বীরত্ব নিয়ে পরবর্তী সময়ে তাঁর এক গুণমুগ্ধ গ্ৰাম্য কবি এই কাব্যটি রচনা করেছিলেন।

মহারাজা কৃষ্ণমাণিক্যের (১৭৬০-৮৩ খ্রিস্টাব্দ) সংঘাতপূর্ণ জীবন ও বীরত্বের কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছিল ‘কৃষ্ণমালা’। কৃষ্ণমাণিক্যের পর তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র রাজধর মাণিক্য (২য়) সিংহাসনে বসেন। তিনি জয়ন্ত চন্তাই’র মুখে কৃষ্ণমাণিক্যের বীরত্বের কাহিনি শুনে সেসব লিপিবদ্ধ করার জন্য উৎসাহী হয়ে রামগঙ্গা শর্মা নামে একজন ব্রাক্ষ্মণকে কাব্য রচনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রাজধর মাণিক্যের রাজত্বকাল হল ১৭৮৫-১৮০৬ খ্রিস্টাব্দ। তাতে ধারণা করা হয় ‘কৃষ্ণমালা’ অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকের রচনা। ‘কৃষ্ণমালা’ রচনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে গ্রন্থে রয়েছে—
জয়ন্ত চন্তাই মুখে বৃত্তান্ত শুনিয়া।
রামগঙ্গা নামে দ্বিজ আনে আদেশিয়া।।
আনি রামগঙ্গা স্থানে কহিল রাজন।
কর দ্বিজবর এক পুস্তক রচন।।
রাজা কৃষ্ণ মাণিক্যের যতেক বৃত্তান্ত।
আমা ঠাঁই কহিয়াছে চন্তাই জয়ন্ত।।
সে সব সংবাদ তুমি করিয়া শ্রবণ।
প্রাকৃত ভাষায় কর পুস্তক রচন।।
কৃষ্ণমাণিক্যের রাজ্যলাভ অবশ্য খুব সহজে হয়নি। যুবরাজ অবস্থায় অশেষ দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে তাকে। পূর্ববর্তী রাজার আমলে এক প্রজা সমসের গাজি ক্রমেই প্রবল শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। এক সময় ত্রিপুরার সর্বময় কর্তা হয়ে উঠেছিল সে। ‘কৃষ্ণমালা’ কাব্যে ‘তস্কর’ হিসেবেই বর্ণনা করা হয়েছে সমসেরকে—
সমসের গাজি এক আছিল তস্কর।
পরগণে দক্ষিণ শিক ছিল তার ঘর।।
দস্যুবৃত্তি করি ধন করিয়া সঞ্চয়।
হইবারে জমিদার তার মনে লয়।।


সমসেরের ভয়ে যুবরাজ কৃষ্ণমণি অনুগামী-সহ পরিবার পরিজন নিয়ে রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে চলে গিয়েছিলেন। সিংহাসন উদ্ধারের জন্য তিনি পার্বত্য অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে সৈন্য সংগ্রহ করেছেন। অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন। নানা সময়ে সমসের বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছেন তিনি। অবশেষে নবাবের সহযোগিতায় ১৭৬০ সালে সিংহাসনে বসেন তিনি। সিংহাসন উদ্ধারের জন্য যুবরাজের বীরত্ব পূর্ণ লড়াই, অশেষ কষ্ট ভোগ ইত্যাদি কাব্যের উপকরণ। ঐতিহাসিক উপাদান নিয়ে কিছু কিছু প্রশ্নের অবকাশ থাকলেও ‘কৃষ্ণমালা’র কাব্যগুণের প্রশংসা করেছেন পণ্ডিতগণ। অষ্টাদশ শতকের এই কাব্যের ভাষা প্রাঞ্জল। বিভিন্ন বর্ণনায় মুন্সিয়ানার স্বাক্ষর রেখেছেন কবি। তদানীন্তন সময়ে রাজ অন্তঃপুরে হোলি ঘিরে যে আনন্দের আসর বসতো কবি তারও বর্ণনা দিয়েছেন। এমনকি ইংরেজ সাহেবরাও যে হোলির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হিসেবে থাকতেন তাও জানা যাচ্ছে ‘কৃষ্ণমালা’ কাব্য সূত্রে। রাজ অন্তঃপুরের হোলির বর্ণনা কবি এ ভাবে দিয়েছেন—
আতর গোলাপ গন্ধে সভা আমোদিত।
সুগন্ধি আবিরচূর্ণ আনি ভারে ভারে।
পুঞ্জ পুঞ্জ করি রাখে সবার মাঝারে।।
পাত্রগণ সহিতে বসিল মহারাজ।
হাড়ি বিলাস সাহেব প্রভৃতি ইংরাজ।।
সবে মিলে বসি তথা খেলাইল হুলি।
ফল্গুচূর্ণ পরস্পরে অঙ্গে মারে মেলি।।
সুললিত নানা বাদ্য চতুর্দিকে বাজে।
নর্ত্তকী সকল নাচে মনোহর সাজে।।


‘শ্রীরাজমালা’ সম্পাদক কালীপ্রসন্ন সেন ‘কৃষ্ণমালা’র কাব্যগুণ সম্পর্কে বলেছেন—”কবিত্ব গৌরবে ‘কৃষ্ণমালা’ সাহিত্যিক সমাজে বিশেষ আদর পাইবার যোগ্য।”
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৬: আহা শ্রীরাধিকে চন্দ্রাবলী কারে রেখে কারে ফেলি

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬২: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— সুখদর্শন ও হুড়ো

মহারাজা দ্বিতীয় রত্ন মাণিক্যের রাজত্বকালে (১৬৮৫-১৭১২খ্রিঃ) রচিত হয়েছিল ‘চম্পকবিজয়’। রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত না হলেও রাজার গুণকীর্তন সহ ত্রিপুরার রাজবংশের প্রতি আনুগত্যের ছাপ প্রবল ভাবে উপস্হিত কাব্যে।যেমন কবি লেখেন—
ত্রিপুর বংশের কথা করিমু রচন।
অপরাধ মাগি আমি সভার চরণ।।

***।

শ্রী রত্ন মাণিক্য গুণে অনুপাম।
তান পদতলে করি সহস্র প্রণাম।।


তদানীন্তন সময়ে মীর খাঁ ছিলেন ত্রিপুরার রাজকীয় সৈন্য বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মচারী।তিনিই কাব্যটির পৃষ্ঠপোষক। মধ্যযুগে ত্রিপুরার ইতিহাসের এক টালমাটাল সময়কাল হচ্ছে ‘চম্পকবিজয়’ কাব্যের পটভূমি। রামদেব মাণিক্যের মৃত্যুর পর রাজা হলেন তাঁর শিশুপুত্র রত্ন মাণিক্য। ত্রিপুরার ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় রত্ন মাণিক্য নামে পরিচিত। রাজার বয়স সাত। রাজ্য পরিচালনা করেন রাজার মামা তথা যুবরাজ বলিভীম নারায়ণ। যদিও তিনি দক্ষতার সঙ্গেই রাজ্য পরিচালনা করছিলেন, তবুও রাজপরিবারের অনেকেরই বলিভীমকে পছন্দ হচ্ছিল না। রত্ন মাণিক্যের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য তিনি সিংহাসনের অন্যান্য দাবিদারদের গোপনে হত্যাও করান।দুর্ভাগ্যবশত বলিভীম তখন বাংলার সুবাদারের বিরাগভাজন হন। হস্তীকর দিতে বিলম্ব করায় সুবাদার বলিভীমের বিরুদ্ধে সৈন্য পাঠান। বলিভীমকে বন্দি করে সুবাদারের দরবারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৪: সরলাদেবী—নির্ভীক এক সরস্বতী

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৪: স্বার্থান্বেষীকেও চিনতে শেখায় এই গ্রন্থ

এ বার রামদেব মাণিক্যের ভ্রাতুষ্পুত্র নরেন্দ্র মাণিক্য সিংহাসন অধিকারে তৎপর হয়ে উঠেন। বাংলার সুবাদারকে আগের তুলনায় আরও বেশি হস্তীকর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোগলদের সহায়তায় তিনি সিংহাসনে বসেন। কিন্তু যুবরাজ চম্পক রায়কে নিয়ে ভয় ছিল নতুন রাজার। নরেন্দ্র মাণিক্য চম্পক রায়কে বন্দি করে তার সিংহাসন নিষ্কন্টক করতে চাইলেন। কিন্তু চম্পক রায় পালিয়ে গেলেন। নরেন্দ্র মাণিক্যকে সিংহাসনচ্যুত করে তিনি রাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য মীর খাঁর সাহায্য চাইলেন। মীর খাঁর সাহায্যে চম্পক রায় ঢাকা চলে গেলেন রাজার চরদের এড়িয়ে। খবর পেয়ে নরেন্দ্র মাণিক্য যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করলেন। কাব্যটি এখানেই শেষ হয়েছে। রত্ন মাণিক্যকে পুনরায় সিংহাসনে প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে মীর খাঁর সাহায্যে চম্পক রায়ের তৎপরতাই কাব্যটির বিষয়বস্তু।গ্রাম্য কবি শেখ মহদ্দিন মীর খাঁর আদেশে ‘চম্পক বিজয়’ কাব্যটি রচনা করেন। কাব্যে রচনাকালের কোনও উল্লেখ না থাকলেও অনুমান করা যায় যে, দ্বিতীয় রত্ন মাণিক্যের রাজত্বকালেই কাব্যটি রচিত হয়েছিল। মীর খাঁর আদেশেই যে কাব্যটি রচিত হয় কবি ভণিতায় সে কথা উল্লেখ করেছেন—
শ্রী মীর খাঁ গাজি ভুবন দুর্জ্জয়।
তাহার আদেশ ধরি মহদ্দিয়ে কয়।।


‘চম্পক বিজয়’ তার কাব্যগুণের জন্য প্রশংসিত হয়েছে সমালোচকদের কাছে। বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনায় কবি তাঁর কবিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।যেমন নরেন্দ্র মাণিক্য কর্তৃক সিংহাসন অধিকারের পর রাজা রত্ন মাণিক্যের বনে চলে যাবার বর্ণনা কবি এই ভাবে দেন—
বালবৃদ্ধ যুবা যত উদয়পুর আছে।
সর্ব্বজন চলি আইল নৃপতির কাছে।।
সর্ব্বজন কাদন্ত যে রাজারে বেড়িয়া।
মহা হুলুস্হূল হৈল উদয়পুর জুড়িয়া।।
হাহা রাজা রত্নদেব ত্রিপুর ঈশ্বর।
কি রূপে বঞ্চিবা তুমি বনের ভিতর।।
নগরের লোক যত নরনারী গণ।
রাজারে বেড়িয়া সবে করয়ে ক্রন্দন।।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৭০: জন্মান্তরের সুরসাধক আরডি বর্মন

‘চম্পক বিজয়’ নিশ্চিত এক ঐতিহাসিক আখ্যান কাব্য। কিন্তু তাতে পূর্ণাঙ্গ ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়নি। হঠাৎ করে এক যুদ্ধ প্রস্তুতির মধ্যেই কাব্যের সমাপ্তি ঘটেছে। ১৯২৫ সালে ‘রবি’ পত্রিকায় কাব্যটি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে কালীপ্রসন্ন সেন লিখেছেন—”কবি চম্পক রায়ের বিবরণ রচনা করিতে যাইয়া মীর খাঁ-য়ের প্রাধান্য অতিমাত্রায় স্হাপন করিয়াছেন, প্রকৃতপক্ষে মীর খাঁ-ই এই পুঁথির প্রধান নায়ক।” শত শত বছর আগে রচিত কাব্যটি হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির বার্তাও বহন করছে।কবি ছিলেন মুসলমান সম্প্রদায়ের। কিন্তু কাব্যে হিন্দু ভাবধারার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কবি লেখেন—
অনলে জন্মিল দেব ব্রহ্মা মহাশয়।
জলেতে জন্মিল বিষ্ণু সর্ব্ব ভূতময়।।
সেই বিষ্ণু নাম লৈলে সর্ব্বপাপ নাশে।
বেদে পুরাণে শাস্ত্রে কহে ইতিহাসে।।
আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-২৪: কবি রাজা বীরচন্দ্র

রাজ আমলে রচিত অপর একটি কাব্যগ্ৰন্হ হলো ‘শ্রেণীমালা’। কাশীচন্দ্র মাণিক্যের রাজত্বকালে (১৮২৬-২৯) এটি রচিত হয়েছিল। রচনা করেছিলেন দুর্গামণি উজির। চারখণ্ডে বিভক্ত এই গ্ৰন্হে ত্রিপুরার রাজবংশের বিবরণ লিপিবদ্ধ রয়েছে। যেমন কবি লিখেছেন—
ত্রিলোচন দ্বিতীয় পুত্র দক্ষিণ ভূপতি।
তার পুত্র হৈল তৈ-দক্ষিণ যে নৃপতি।।
মেখল রাজার কন্যা বিবাহ করিল।
তার পুত্র সুদক্ষিণ নৃপতি হইল।।…


‘শ্রেণীমালা’ রচনাকালে বাংলা কাব্য উন্নত রূপ পরিগ্রহ করেছিল।সেই পরিপ্রেক্ষিতে এর কাব্যগুণ এমন কিছু স্বাতন্ত্র্যের দাবি না রাখলেও রাজ পরিবারের বিবরণের ক্ষেত্রে কাব্যটির এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ত্রিপুরায় পর্যায়ক্রমে কোন কোন রাজা রাজত্ব করেছেন,তাদের বংশ তালিকা, রাজপরিবারের ব্যক্তিদের কোথায় বিবাহ হয়েছিল ইত্যাদির উল্লেখ রয়েছে গ্রন্হটিতে। রয়েছে রাজাদের কীর্তি কাহিনিও। যেমন গোবিন্দ মাণিক্য সম্পর্কে গ্রন্থটিতে রয়েছে—
চট্টলেতে চন্দ্রশেখর পর্ব্বত উপরে ।
মঠ নির্ম্মাইয়া শিব স্হাপে তদুপরে।।
পর্ব্বতের অধোভাগে সাগর খনিল।
গোবিন্দ সাগর নাম তাহার রাখিল।।
* ত্রিপুরা তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে পান্নালাল রায় এক সুপরিচিত নাম। ১৯৫৪ সালে ত্রিপুরার কৈলাসহরে জন্ম। প্রায় চার দশক যাবত তিনি নিয়মিত লেখালেখি করছেন। আগরতলা ও কলকাতার বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে ইতিমধ্যে তার ৪০টিরও বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের ইতিহাস ভিত্তিক তার বিভিন্ন গ্রন্থ মননশীল পাঠকদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও সে-সব উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। রাজন্য ত্রিপুরার ইতিহাস, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সম্পর্ক, লোকসংস্কৃতি বিষয়ক রচনা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সঞ্জাত ব্যতিক্রমী রচনা আবার কখনও স্থানীয় রাজনৈতিক ইতিহাস ইত্যাদি তাঁর গ্রন্থ সমূহের বিষয়বস্তু। সহজ সরল গদ্যে জটিল বিষয়ের উপস্থাপনই তাঁর কলমের বৈশিষ্ট্য।

Skip to content