ত্রিপুরা বিধানসভা।
১৯৮৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পতন ঘটে বামফ্রন্টের। ক্ষমতাসীন হয় কংগ্রেস-উপজাতি যুব সমিতি জোট সরকার। কিন্তু শুরু থেকেই জোট সরকারকে যেন বিতর্ক তাড়া করতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী সুধীররঞ্জন মজুমদারের সঙ্গে ছায়া সংঘাত শুরু হয় কংগ্রেসেরই হেভিওয়েট মন্ত্রী তথাস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মণের। দীর্ঘ এক দশক বাম শাসনের পর কংগ্রেসের চিরাচরিত গোষ্ঠী রাজনীতি যেন ত্রিপুরায় আবার প্রকট হয়ে উঠে।
অবশ্য শুধু কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বই নয়, মাঝে মাঝে জোট শরিক উপজাতি যুব সমিতির সঙ্গেও নানা ইস্যুতে মত পার্থক্য দেখা দেয় কংগ্রেসের। স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের কাজের উপর তার প্রভাব পড়ে। জোট সরকারের কাজকর্মে তাদের জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। একদিকে যখন জোট সরকারের কর্মসূচি রূপায়নে দুর্বলতা প্রকট হতে থাকে, তখন অপরদিকে শাসক জোট বিরোধী বামফ্রন্টের রাজনৈতিক তৎপরতাও দিনকে দিন সুসংহত রূপ নিতে থাকে। বিরোধী শিবিরের নেতৃত্বে তখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী।
অবশ্য শুধু কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বই নয়, মাঝে মাঝে জোট শরিক উপজাতি যুব সমিতির সঙ্গেও নানা ইস্যুতে মত পার্থক্য দেখা দেয় কংগ্রেসের। স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের কাজের উপর তার প্রভাব পড়ে। জোট সরকারের কাজকর্মে তাদের জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। একদিকে যখন জোট সরকারের কর্মসূচি রূপায়নে দুর্বলতা প্রকট হতে থাকে, তখন অপরদিকে শাসক জোট বিরোধী বামফ্রন্টের রাজনৈতিক তৎপরতাও দিনকে দিন সুসংহত রূপ নিতে থাকে। বিরোধী শিবিরের নেতৃত্বে তখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী।
যাইহোক, জোট সরকারের উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে ছিল টিএনভি শান্তিচুক্তি। সন্ত্রাসবাদী তৎপরতায় ব্যতিব্যস্ত ত্রিপুরার মানুষ চাইছিলেন রাজ্যে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক।জোট সরকারের কাছে এটাই ছিল মানুষের অন্যতম কামনা। তাই জোট সরকার গঠনের পর এ ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়। অবশেষে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আগ্রহে ১৯৮৮ সালের ১২ আগস্ট টিএনভি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। টিএনভি সর্বাধিনায়ক বিজয় রাঙ্খল তাঁর ৪৩৭ জন অনুগামীকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে গোবিন্দবাড়িতে অস্ত্র সমর্পণ করেন। টিএনভি শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পর ত্রিপুরায় শান্তি ফিরে আসে। রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে অজানা আশঙ্কা কেটে যায়। মানুষের জীবনযাত্রায় উদ্বেগের অবসান ঘটে।
এদিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা জঙ্গিদের পুনর্বাসনেও কাজকর্ম শুরু হয়। কিন্তু সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার অবসান হলেও রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা দিন দিন বাড়তেই থাকে। ঘটতে থাকে রাজনৈতিক হিংসা। বীরচন্দ্রমনুতে একদিনে হিংসার বলি হয় সিপিএম’র ১৪ জন নেতা কর্মী। এই ঘটনায় শুধু ত্রিপুরা কেন, চমকে উঠে গোটা দেশ! রাজনৈতিক হিংসা ছাড়াও নির্বাচনে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ উঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শুধু বীরচন্দ্রমনুর হত্যাকাণ্ড নয়, স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরেও হিংসাত্মক ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু ঘটে।
এদিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা জঙ্গিদের পুনর্বাসনেও কাজকর্ম শুরু হয়। কিন্তু সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার অবসান হলেও রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা দিন দিন বাড়তেই থাকে। ঘটতে থাকে রাজনৈতিক হিংসা। বীরচন্দ্রমনুতে একদিনে হিংসার বলি হয় সিপিএম’র ১৪ জন নেতা কর্মী। এই ঘটনায় শুধু ত্রিপুরা কেন, চমকে উঠে গোটা দেশ! রাজনৈতিক হিংসা ছাড়াও নির্বাচনে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ উঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শুধু বীরচন্দ্রমনুর হত্যাকাণ্ড নয়, স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরেও হিংসাত্মক ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-১৫: জঙ্গি তৎপরতায় স্তব্ধ উন্নয়ন
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—খলসি ও করঞ্জা
এদিকে রাজ্যে আবার জঙ্গি তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। টিএনভি’র সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তা এ বার কর্পূরের মতো উড়ে যেতে থাকে। অল ত্রিপুরা ট্রাইবেল ফোর্স বা এটিটিএফ নামে নতুন একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন সৃষ্টি হয় রাজ্যে। গ্রাম পাহাড়ে আবার শুরু হয়ে যায় খুন, অপহরণ, লুন্ঠন। কিছুদিনের মধ্যে ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা অর্থাৎ এনএলএফটি নামে অপর একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতাও শুরু হয়ে যায় রাজ্যে। থানা আক্রমণ, নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা, অস্ত্র লুঠ ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের অভিযান চলতে থাকে। দেখা গেল অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে টিএনভি’র আত্মসমর্পণের পর আবার নতুন নতুন উগ্রবাদী গোষ্ঠীর অভ্যুদয় ঘটছে রাজ্যে। এটা কেন হচ্ছে? সাধারণ মানুষ যেন এক বিভ্রান্তির শিকার হলেন। সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল রাজনৈতিক হিংসাও। আগরতলায় এক উপনির্বাচনের আগে নৃশংস ভাবে খুন হয়ে গেলেন বিজেপি প্রার্থী শ্যামহরি শর্মা।
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭০: পাভেল কোথায়?
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৯: রসিক স্বভাব মা সারদা
সুধীর রঞ্জন মজুমদার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস-উপজাতি যুব সমিতি জোট সরকার অবশ্য চার বছরের বেশি টিকতে পারেনি। ১৯৯২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের জোট সঙ্গী উপজাতি যুব সমিতি আচমকা সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সুধীরবাবুর নেতৃত্বাধীন সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীরা একদিকে যেমন ঘটনার আকস্মিকতায় বিস্মিত হলেন, তেমনই অপরদিকে ভীত বিহ্বল হয়ে পড়েন। সিপিএম তথা বামফ্রন্ট যদি এবার যুব সমিতির সহায়তায় সরকার গড়ে ফেলে? সার্কিট হাউসে ঘন ঘন মিটিং চলতে থাকল। যে কোনও মূল্যে কংগ্রেস-যুব সমিতি জোট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তৎপর কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডও। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন সন্তোষ মোহন দেব।যুব সমিতির সঙ্গে আলোচনার পর আলোচনা। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হল সমীর রঞ্জন বর্মণের নেতৃত্বে আবার জোট সরকার গঠিত হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজভবনে শপথ নিল দ্বিতীয় কংগ্রেস-যুব সমিতি জোট মন্ত্রিসভা।
দ্বিতীয় জোট সরকারের শুরুটা ভালোই হয়েছিল, কিন্তু তারা সেটা ধরে রাখতে পারেনি।
দ্বিতীয় জোট সরকারের শুরুটা ভালোই হয়েছিল, কিন্তু তারা সেটা ধরে রাখতে পারেনি।
আরও পড়ুন:
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৬: রাজার নিয়ন্ত্রণহীন অনুচরেদের কুকর্মের দায় রাজাকেই নিতে হয়
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৪: পুণ্য আষাঢ়ের প্রথম দিবসে
প্রথম দিকে সাধারণ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটলেও রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গি তৎপরতায় মোটেই ভাটা পড়েনি। কয়েক মাসের মধ্যে সাধারণ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটতে শুরু করে। তা ছাড়া আইনজীবীদের আন্দোলন, পুলিশ আন্দোলনে সরকার বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে। পুলিশ আন্দোলনটা যেন কিছুটা পুলিশ বিদ্রোহের রূপ পরিগ্রহ করতে থাকে। ত্রিপুরা প্রথম এ ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল। সরকার যদিও শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয়। তবু রাজ্যের সাধারণ মানুষের মধ্যে তার এক বিরূপ প্রভাব পড়ে।
এদিকে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উত্তপ্ত হতে থাকে। পাহাড়ে জঙ্গি তৎপরতা,সমতলে রাজনৈতিক সংঘাত। সব মিলিয়ে যেন সর্বত্র এক অশান্তির বাতাবরণ। রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝেই ঘোষিত হলো ভোটের দিন। তুঙ্গে উঠলো ডান-বাম সব শিবিরের তৎপরতা। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসতে থাকল রাজনৈতিক সংঘাতও ততই বাড়তে থাকল। গ্রাম পাহাড় থেকে সংঘাতে মৃত্যুর খবরও আসতে থাকল। বামফ্রন্টের সেনাপতি নৃপেনবাবু নির্বাচন কমিশনে একের পর এক অভিযোগ জানিয়ে যাচ্ছিলেন।
একদিকে নৃপেনবাবুর পত্রবোমা এবং অপরদিকে দিল্লিতেও তখন ত্রিপুরা নিয়ে অন্য চিন্তা ভাবনা। হঠাৎই নির্বাচন কমিশন থেকে ফ্যাক্স যোগে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ত্রিপুরার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে দেয়া হলো। কারণ ত্রিপুরার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি।মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মণতো বটেই বিরোধীরাও যেন এই ঘোষণায় বিস্মিত হয়ে গেলেন। মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। ১১ মার্চ রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হল।
এদিকে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উত্তপ্ত হতে থাকে। পাহাড়ে জঙ্গি তৎপরতা,সমতলে রাজনৈতিক সংঘাত। সব মিলিয়ে যেন সর্বত্র এক অশান্তির বাতাবরণ। রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝেই ঘোষিত হলো ভোটের দিন। তুঙ্গে উঠলো ডান-বাম সব শিবিরের তৎপরতা। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসতে থাকল রাজনৈতিক সংঘাতও ততই বাড়তে থাকল। গ্রাম পাহাড় থেকে সংঘাতে মৃত্যুর খবরও আসতে থাকল। বামফ্রন্টের সেনাপতি নৃপেনবাবু নির্বাচন কমিশনে একের পর এক অভিযোগ জানিয়ে যাচ্ছিলেন।
একদিকে নৃপেনবাবুর পত্রবোমা এবং অপরদিকে দিল্লিতেও তখন ত্রিপুরা নিয়ে অন্য চিন্তা ভাবনা। হঠাৎই নির্বাচন কমিশন থেকে ফ্যাক্স যোগে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ত্রিপুরার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে দেয়া হলো। কারণ ত্রিপুরার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি।মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মণতো বটেই বিরোধীরাও যেন এই ঘোষণায় বিস্মিত হয়ে গেলেন। মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। ১১ মার্চ রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হল।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯২: মহর্ষিদেব নাতজামাইকে দিয়েছিলেন সোনার কলম
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬৭: পাঞ্চালদেশে যাত্রাপথে পাণ্ডবদের বিচিত্র অভিজ্ঞতায় কিসের ইঙ্গিত?
রাষ্ট্রপতির শাসনাধীন অবস্থায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা নিয়ে অবশ্য নানা রকম জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে। সে সময়ে দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের মিতালি চলছে। কেন্দ্রের ক্ষমতার জন্যই বাম শক্তিকে তখন কংগ্রেসের ভীষণ প্রয়োজন। সে জন্যই কি সমীররঞ্জনকে বলি দেয়া হলো? প্রাক নির্বাচনী অবস্থায় ত্রিপুরার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছিল ঠিকই, রাজনৈতিক সন্ত্রাসও ছিল, কিন্তু অবস্থাটা কি সত্যিই এমন ছিল যে রাষ্ট্রপতির শাসন অপরিহার্য? আর এমন একটা সময়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হলো যখন নির্বাচনের জন্য সবাই প্রস্তুত ছিল।
যাইহোক, নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় ঘটল কংগ্রেস-যুবসমিতি জোটের। বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরে এল বামফ্রন্ট। —চলবে।
যাইহোক, নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় ঘটল কংগ্রেস-যুবসমিতি জোটের। বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরে এল বামফ্রন্ট। —চলবে।
* ত্রিপুরা তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে পান্নালাল রায় এক সুপরিচিত নাম। ১৯৫৪ সালে ত্রিপুরার কৈলাসহরে জন্ম। প্রায় চার দশক যাবত তিনি নিয়মিত লেখালেখি করছেন। আগরতলা ও কলকাতার বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে ইতিমধ্যে তার ৪০টিরও বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের ইতিহাস ভিত্তিক তার বিভিন্ন গ্রন্থ মননশীল পাঠকদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও সে-সব উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। রাজন্য ত্রিপুরার ইতিহাস, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সম্পর্ক, লোকসংস্কৃতি বিষয়ক রচনা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সঞ্জাত ব্যতিক্রমী রচনা আবার কখনও স্থানীয় রাজনৈতিক ইতিহাস ইত্যাদি তাঁর গ্রন্থ সমূহের বিষয়বস্তু। সহজ সরল গদ্যে জটিল বিষয়ের উপস্থাপনই তাঁর কলমের বৈশিষ্ট্য।