রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ভোটে অংশ নেন না। কারণ, এঁদের বড় অংশই হল পরিযায়ী শ্রমিক। নির্বাচন কমিশন সমস্যার সমাধানে নতুন ধরনের ইভিএম ব্যবহার করার কথা ভাবনাচিন্তা করছে। উচ্চ প্রযুক্তির এই ইভিএম-র সাহায্যে যে কোনও জায়গা থাকা নিজেদের রাজ্যের ভোটে অংশ নেওয়া যাবে।
মূলত যাঁরা অন্য রাজ্যে কর্মরত সাধারণত তাঁরা নির্বাচনের সময় টাকা ও সময় ব্যয় করে ভোট দিতে আসতে চান না। বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবন করে কমিশন এরকম একটি পরিকল্পনা নিয়েছে।
পরিকল্পনা মতো নির্বাচন কমিশন পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করবে রিমোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মাশিন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মাল্টি কনস্টিটিউয়েন্সি ইলেকট্রনিক ভোটিং মাশিন (ইভিএম) তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে এই উচ্চ মানের যন্ত্রের সাহায্যে একাধিক কেন্দ্রের ভোট দেওয়া সম্ভব হবে।
আগামী ভোটেই এই নয়া ইভিএম পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের ভাবনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এর জন্য আগামী বছর ১৬ জানুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলির সামনে উচ্চ প্রযুক্তির এই ইভিএম কী ভাবে কাজ করে, কমিশনের পদস্থ কর্তারা তা হাতে কমলে দেখাবেন। শেষ পর্যন্ত এই রিমোট ভোটিংয়ের ভাবনাকে কার্যকর করতে গেলে যে সব আইনি ও প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ করার দরকার তার প্রস্তুতও সেরে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন:

টেট উত্তীর্ণদের জন্য দ্বিতীয় দফার ইন্টারভিউয়ে দিন ঘোষণা, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাসে যা খুশি পোস্ট করেন? নতুন আপডেটে কিন্তু সাবধান হতে হবে!

কী ভাবে কাজ করবে এই নয়া ইভিএম?
নতুন যন্ত্রতে ব্যবহার করা হয়েছে রিমোট ইলেকট্রনিক ভোটিং (আরভিএম) ব্যবস্থা। এর সাহায্যে মোট ৭২টি কেন্দ্রের ভোটের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। ভোটার তাঁর কেন্দ্রের বোতাম টিপলে সেখানকার প্রার্থী তালিকা ভেসে উঠবে। সে তালিকা থেকে তিনি যাঁকে ভোট দিতে চান, তাঁকে দিতে পারবেন।

সামনেই বিয়ে? ভুঁড়ি নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে? এক মাসে পেটের মেদ কী ভাবে কমাবেন?

সময়ের মধ্যে লিঙ্ক না করালে মার্চেই বাতিল হতে পারে আপনার প্যান কার্ড! গ্রাহকদের সতর্ক করল আয়কর দফতর

এ প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছে, ভোট দেন নিয়ে কিছু সংখ্যক তরুণ ও শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে যে উদাসীনতা রয়েছে তাঁদের উৎসাহ দিতেই এরকম রিমোট ভোটিংয়ের কথা ভাবা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট বলছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৬৭.৪ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন। অর্থাৎ নির্বাচনে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ অংশই নেননি। উদ্বিগ্ন কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অনেক সময় কেউ নতুন কোনও ঠিকানায় গেলে বেশির ভাগ সময়ই তাঁর পুরনো ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান না। তবে এই ভাবনার পিছনে সব থেকে কারণ হিসেবে বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা কথা বলা হয়েছে।

Skip to content