সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


পেমা খান্ডু এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

মেঘালয়ের পর এ বার অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গেও সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদের সমাধানে উদ্যোগী হলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এ নিয়ে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর সঙ্গে একটি সমঝোতা সই করেন হিমন্ত।
সইয়ের পর দুই রাজ্য জানিয়েছে, আগে মোট ১২৩টি গ্রাম নিয়ে মতোবিরোধ থাকলেও তা আলোচনার মাধ্যমে ৮৬তে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ৩৭টি গ্রাম নিয়ে বিরোধের সমাধান হয়েছে। অসম ৩৭টির মধ্যে ২৮টি গ্রাম অরুণাচলকে ছাড়তে সম্মত হয়েছে। এর পরিবর্তে অরুণাচল প্রদেশ ৩টি গ্রামকে অসমের ভৌগোলিক সীমানার ভিতরে বলে মেনে নিয়েছে। বাকি ছ’টি গ্রাম অসমের সীমানার মধ্যে নয় বলে মেনে নিয়েছে অসম সরকার। তবে সেগুলি অরুণাচল প্রদেশে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশে ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাকি গ্রামগুলি নিয়েও সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি এবং ২০ এপ্রিল দু’ বার হিমন্ত-খান্ডু বৈঠক বসেন। দুই রাজ্যের সীমান্ত এলাকার ঐতিহাসিক প্রেক্ষপট, নৃতাত্ত্বিক গঠন, স্থানীয় মানুষের মত এবং ২০০৭ সালে স্থানীয় কমিশনে উঠে আসা নানা তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, দুই রাজ্যের সীমান্ত বিবাদের জেরে গত বছরের জুলাইয়ে দুই রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর গুলির লড়াই হয়। অসমের কাছাড় জেলায় সেই পুলিশের গুলির লড়াইয়ে অসমের সাত জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সমস্যার সমাধানে বিশেষে উদ্যোগী হন। অসমের প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদের সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত মার্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হিমন্ত এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা একটি সমঝোতায় সই করেন।

Skip to content