প্রত্যেক দিন দারচিনি খান? একঝলকে জেনে নিন এর ৭টি বিশেষ গুণ

ভারতীয়দের মধ্যে বহু যুগ ধরেই দারচিনির উপকারিতার কথা প্রচলিত আছে। সুস্বাদু মশলা হিসেবে এর খ্যাতি ছিল অনেক আগে থেকেই। ইদানীং চিকিৎসাবিজ্ঞানও স্বীকার করে নিয়েছে দারচিনি খাওয়ার নানা উপকারের কথা। দুই ধরনের দারচিনি পাওয়া যায় বাজারে। ক্যাসিয়া এবং সিলন। সিলনের দারচিনি পুষ্টিগুণ বেশি বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু জানেন কি এই মশলার গুণ কী কী।

 

একঝলকে জেনে নিন দারচিনির উপকারিতা

 

হৃগরোগের আশঙ্কা কমায়

● টাইপ-টু ডায়াবেটিস যাঁদের রয়েছে, প্রত্যেকদিন আধ চা চামচ করে দারচিনি খেলে উপকার পাওয়া যায়। ট্রাইগ্লিসারাইড বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে দারচিনিতে।
 

প্রদাহ কমায়

● শরীরে যে কোনও রকম প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মশলায়। কোনও টিস্যুর ক্ষতি হলে বা শরীরে কোথায় আঘাত লাগলে দারচিনি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

 

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর

● ২৬ রকমের মশলার মধ্যে দেখা গিয়েছে দারচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সবচেয়ে বেশি। রোজ খেলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি উজ্জ্বল হবে ত্বকও।
 

মেদ ঝরাতে সাহায্য করে

● রোজ সকালে এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়ো খেয়ে নিন। এটা শরীরের মেটাবলিজম হার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শরীরচর্চার পর যদি কোনও রকম প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তার মধ্যেও দিতে পারেন এই গুঁড়ো।

 

ইনসুলিন হরমোনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

● টাইপ-টু ডায়াবেটিসের মতো কোনও রোগ থাকলে শরীর ইনসুলিম হরমোনের সঙ্গে ঠিক মতো মানিয়ে নিতে পারে না। সেই কাজে দারুন সাহায্য করে দারচিনি।
 

রক্তে শর্করা মাত্রা কমায়

● ২ চা চামচ মতো দারচিনি প্রত্যেকদিন খেলে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে দারচিনি।

 

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

● ক্যানসার রোগের চিকিৎসা এবং এই রোগের ঝুঁকি কমানোর পিছনে কতটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে দারচিনি, তা নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে। ক্যানসার আক্রান্ত কোষ যাতে শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে, তার পিছনে দারচিনির কতটা অবদান রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে এক গবেষণায়। দেখা গিয়েছে, অন্ত্রের ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগ ছড়ানোর আটকাতে সক্ষম দারচিনি।