সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

সকালে ঘুম থেকে উঠলেই কারও কারও পায়ের আঙুলে খুব ব্যথা হয়। হাঁটতেও কষ্ট হয়। অনেকের আবার হাতের আঙুল ভাঁজ করতে অসুবিধা হয়। এমনও হতে পারে হাত বা পায়ের অস্থিসন্ধিগুলি ফুলে যেতে পারে। এগুলি সবই ইউরিক অ্যাসিডের সাধারণ লক্ষণ। ইউরিক অ্যাসিডের এই সব উপসর্গ অনেকেরই জানা।

এখন রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা জীবনধারা-নির্ভর রোগের মধ্যে পড়ে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে চিকিৎসকরা সাধারণত খাদ্যতালিকা তালিকা থেকে ঢ্যাঁড়শ, টম্যাটো, মুসুর ডাল বাদ দিয়ে দেন।
পুষ্টিবিদদের একাংশের মতে, আগে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে খাবারে নানা রকম নিষেধাজ্ঞা থাকত। তবে এখন চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নত। তাই এখন নির্দিষ্ট কিছু খাবারদাবার ছাড়া বাকি সবই নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। যদিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে ওজন যেন সব সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় কী কী খাবার খাওয়া নিষেধ, সে সম্পর্কে আমাদের কমবেশি একটা ধারণা আছে। কিন্তু জানেন কি কী কী খাবার বেশি করে খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিড।
 

কোন কোন কাবার পাতে বেশি করে রাখবেন?

 

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন

শরীর সুস্থ রাখতে রোজকার খাবারের তালিকায় আমাদের প্রোটিন রাখতেই হবে। কারণ প্রাণীজ প্রোটিন বেশি পরিমাণে খেলে বেড়ে যাবে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ। এই পরিস্থিতিতে সব থেকে ভালো হয়, যদি উদ্ভিদেই ভরসা রাখা যায়। শাক-সব্জি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম দানা, ডাল, মাশরুম খেতে পারেন।

আরও পড়ুন:

বাড়িতেই ৭ ধাপে তৈরি করে ফেলুন অ্যালো ভেরা পাতার নির্যাস থেকে জেল

সঞ্জয় নেশা করেন, মানতেন না মা নার্গিস! যদিও অভিনেত্রী ছেলেকে সমকামী ভাবতেন

 

‘লো ফ্যাট’ দুধ

‘ফুল ক্রিম’ বা ‘ফুল ফ্যাট’ যুক্ত দুধ খেতে খুব ভালো। তবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ‘ফুল ক্রিম’ বা ‘ফুল ফ্যাট’ দুধ দিয়ে বানানো খাবার এড়াতে হবে। ‘ফুল ক্রিম’ বা ‘ফুল ফ্যাট’ দুধের পরিবর্তে ‘ডবল টোনড’ বা ‘স্কিমড’ দুধ থেকে বাড়িতে পাতা দই খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। এই দুধ দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ঘোল এবং পনিরও।
 

ফাইবারযুক্ত খাবার

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার আছে কুমড়ো, ব্রকোলি, ওটস বা দানাশস্যে। এই সব খাবারে ভালো পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার আছে। এই ফাইবার ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুন:

গুগলে গোপন কিছু সার্চ করলে প্রিয়জনের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা? কী ভাবে এড়াবেন এই সমস্যা?

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২২: স্টেরয়েড বড় ভয়ঙ্কর ওষুধ?

 

ভিটামিন সি

বিভিন্ন গবেষণায় যে সব তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কেবল লেবু বা সাইট্রাসজাতীয় ফল নয়, চেরি, স্ট্রবেরি বা টকজাতীয় যে কোনও ফলেই ভিটামিন সি থাকেই। সে কারণে রোজ অল্প হলেও টক ফল খাওয়া উচিত।
 

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। জদিও এই ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে সামুদ্রিক মাছে ক্ষতিকারক ‘পিউরিন’ থাকে। এই দুই উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। সে কারণে সার্ডিন, ট্রাউট বা টুনার মতো সামুদ্রিক মাছের পরিবর্তে পমফ্রেট বা ইলিশ পাতে রাখতে পারেন।


Skip to content