রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়েই চলেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনযাপনেও অনেক বদল এসেছে। আর এই বদলের হাত ধরেই বিশ্বব্যাপী ফ্যাটি লিভারের অসুখ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

চিকিৎসকেদের বক্তব্য, আমাদের লিভারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চর্বি মজুত থাকে। মুশকিল হল সেই চর্বি অতিরিক্ত পরিমাণে জমে গেলে, তখনই তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নানা কারণে ফ্যাটি লিভারের অসুখ হতে পারে। তবে অধিকাংশই মনে করেন, মদ্যপানের জন্যই এই অসুখ হয়।

এ প্রসঙ্গে ডাক্তারবাবুরা জানাচ্ছেন, মদ্যপানের জন্যই ফ্যাটি লিভারের অসুখ হয়, এই ধারণা একেবারেই সত্যি নয়। জানলে ভালো, ফ্যাটি লিভার দু’রকমের হয়—অ্যালকোহলিক এবং নন অ্যালকোহলিক। এ নিয়ে এমসের সমীক্ষার রিপোর্ট চমকে দেওয়ার মতো। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৩৮ শতাংশ ভারতীয়, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন।
 

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার কী ভাবে হয়?

সাধারণত আমাদের নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা খাবারে যে অতিরিক্ত পরিমাণ তেল ও ফ্যাট জাতীয় উপাদান থাকে তার মাত্রা বেড়ে গেলে এমনটা হয়। আবার নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার বংশগত কারণেও হওয়ার ঝুঁকি থাকে। মুশকিল হল, সময় মতো ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা শুরু না করলে লিভার সিরোসিস হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। অনেক সময় মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিসের অসুস্থতা দেখা যায়। অনেকে হয় তো জানেন না, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের জন্যও কারও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হতে পারে। সে-কারণে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:

‘বিগ বস্’-এর ঘরে পূজার সামনেই মনীষা রানিকে মহেশের চুম্বন, উঠল নিন্দার ঝড়

করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও ত্বক ও চুলের সমস্যায় জেরবার? এগুলি করে দেখতে পারেন

 

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ

 

প্রস্রাবের রং হলুদ

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগলে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যেতে পারে। আসলে ফ্যাটি লিভারের জন্য দেহ থেকে ঠিক মতো টক্সিন বেরোতে পারে না। তাই প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন এমন হলে ফ্যাটি লিভার নিয়ে সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৯: গাধা পিটিয়ে ঘোড়া

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৬৬: ঈল মাছের এই রহস্য নিশ্চয়ই একদিন উদঘাটন হবে

 

ওজন বৃদ্ধি ও দুর্বলতা

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের অন্যতম একটি লক্ষণ হল ওজন বৃদ্ধি। সেই সঙ্গে শারীরকেও বেশ দুর্বল করে দেয়। তাই এরকম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
 

খিদে বেড়ে যাওয়া

এই সমস্যায় ভুগলে আচমকা খিদে বেড়ে যায়। পাশাপাশি মিষ্টি এবং ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়। হঠাৎ করে এমনটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।


Skip to content