ছবি প্রতীকী, সংগৃহীত।
এখন যতই বাঙালি নিম বেগুন আর সজনে ফুলের মধ্যে নিজেকে সঁপে দিয়ে শরীরের যত্ন নিক না কেন, মন তার পড়েছিল গত চোদ্দ তারিখের দিকে। ভাষা দিবসের আবেগ নিয়ে এখনও অবধি তার ভাবনার বীজ বোনা শুরু হয়নি। এখন তাঁদের চোখ শুধু যে নারী পুরুষের মধ্যেকার রোম্যান্টিক ভালোবাসার ছবি দেখে উল্লাস প্রকাশ করবে বলে বসে আছে তা নয়। এই চোখ কখনও জ্বলে যাচ্ছে কারও রোম্যান্টিক ভালোবাসার ছবি দেখে আবার কেউ কেউ দু’ চোখে স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে সারাজীবনের মতো জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ঘর বাঁধবে বলে।
আসলে বলতে চাইছি, আদম আর ইভের ভালোবাসার গল্পকে পাশে সরিয়ে রেখে আমরা আজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি। এগিয়ে গিয়েছি সম্পর্কের বেড়াজাল তৈরির পদ্ধতির নিরিখেও। এই এগিয়ে যাওয়ার পথে ভালোবাসা নিজেই যেন একবার শোবার ঘর আর একবার শপিংমল ঘুরে একেবারে আমলার টেবিল অবধি পৌঁছে যাচ্ছে। অর্থাৎ ভালোবাসা ব্যাক্তিগত বিষয়, যা নিয়ে নারী পুরুষ কেউ প্রকাশ্যে কথা বলে না। আবার কখনও আইন আদালতের কড়া নজরদারিতে সে বন্দি হয়ে পড়ে। কারণ, আইন আদালতই বলে দেবে অন্তরঙ্গ ভালোবাসার এবং যৌনতার সম্পর্ক কোন নারী আর পুরুষের মধ্যে সীমাবন্ধ থাকবে। কোন ভৌগলিক স্থানে যৌনতার সম্পর্ককে সীমাবদ্ধ করা যায় আমাদের দেশের আইন সেই বিষয়টিও পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে। ৩৭৭ ধারা ভালো করে পড়লে এই বিষয়টি পরিষ্কার করে বোঝা যায়। কোথাও কি মনে হচ্ছে না যে ভালোবাসার মতো নির্ভেজাল বিষয়টিকেও সমাজ নিজের অনুকূলে রাখতে চায়? ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ কীভাবে হবে মানে একটা লাল গোলাপ দিয়ে নাকি ‘গিফট অফ মাজাই’ এর গল্পের মতো হবে?
আসলে বলতে চাইছি, আদম আর ইভের ভালোবাসার গল্পকে পাশে সরিয়ে রেখে আমরা আজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি। এগিয়ে গিয়েছি সম্পর্কের বেড়াজাল তৈরির পদ্ধতির নিরিখেও। এই এগিয়ে যাওয়ার পথে ভালোবাসা নিজেই যেন একবার শোবার ঘর আর একবার শপিংমল ঘুরে একেবারে আমলার টেবিল অবধি পৌঁছে যাচ্ছে। অর্থাৎ ভালোবাসা ব্যাক্তিগত বিষয়, যা নিয়ে নারী পুরুষ কেউ প্রকাশ্যে কথা বলে না। আবার কখনও আইন আদালতের কড়া নজরদারিতে সে বন্দি হয়ে পড়ে। কারণ, আইন আদালতই বলে দেবে অন্তরঙ্গ ভালোবাসার এবং যৌনতার সম্পর্ক কোন নারী আর পুরুষের মধ্যে সীমাবন্ধ থাকবে। কোন ভৌগলিক স্থানে যৌনতার সম্পর্ককে সীমাবদ্ধ করা যায় আমাদের দেশের আইন সেই বিষয়টিও পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে। ৩৭৭ ধারা ভালো করে পড়লে এই বিষয়টি পরিষ্কার করে বোঝা যায়। কোথাও কি মনে হচ্ছে না যে ভালোবাসার মতো নির্ভেজাল বিষয়টিকেও সমাজ নিজের অনুকূলে রাখতে চায়? ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ কীভাবে হবে মানে একটা লাল গোলাপ দিয়ে নাকি ‘গিফট অফ মাজাই’ এর গল্পের মতো হবে?
ভালোবাসার রকমফের আছে অনেক। সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের ভালোবাসা, ভাই বোনের মধ্যেকার, ভাষার প্রতি, দেশের প্রতি, গয়নার প্রতি, টাকার প্রতি এরকম অনেক কিছুর প্রতি মানুষের ভালোবাসা প্রকাশ পায়। আবার এই ভালবাসা বদলে যায় ঘৃণাতে। অর্থাৎ ভালোবাসা বিষয়টি স্থির নয়, আপেক্ষিক। আজকে যাকে বিয়ে করলাম বছর শেষ হতে না হতে আবার অন্য একজনকে ভালোবাসতে শুরু করলাম। এরকম হয় কেন? প্রাতিষ্ঠানিক রূপ কি ভালোবাসাকে একপেশে করে দেয়? এবার তাহলে কিছুটা মালুম হচ্ছে যে রোম্যান্টিক ভালোবাসি বলা আর ভালোবাসাকে নিয়ে ঘর করা বেশ একটু জটিল বিষয়। এই জটিলতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
পুঁজিবাদী সমাজে ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়নি বরং মানুষ কোনও একটি সম্পর্কের বদলে একাধিক সম্পর্কের সন্ধান করেছে। মূলত যেখানে নিজেদের পরস্পরকে পরিতৃপ্ত করেছে। কিন্তু যে মুহূর্তে মনে হয়েছে নিজেদেরকে সেই ভাবে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। দেরি না করে দু’জনেই সরে আসছেন নিজেদের থেকে। এই সরে আসার মধ্যে দু’জনের কেউ আর অপরাধবোধে ভোগে না। সমাজতাত্ত্বিকদের মতে, এখন আমরা আর দীঘির জলের মতো শান্ত অথচ একতরফা আবেদনে ভরপুর সম্পর্কের কথা শুধু ভাবি না। বরং তা না ভেবে পরস্পরের অনুভূতিকে অনুভব করা অর্থাৎ সম্পর্কের মধ্যে যে দুটি মানুষের সমান ভূমিকা আছে যা অনেক তরল এবং পরস্পরের সম্মতিসূচক। তাকেই সম্পর্কের সমার্থক মনে করছি। এ ভাবে দু’জন মানুষের ভালোবাসা নিবেদনকে অনেকেই স্বার্থপর বলে দেখবেন। কেউ কেউ বলবেন, এই অপরাধ বোধ না হওয়া মানেই কেউ একজন অসুস্থ হয়ে গেলে অন্য জন যদি বলে আমি অসুস্থ মানুষকে ভালোবাসতে পারছি না, আমার আর কিছু করার নেই। আমি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। এটি সম্পূর্ণভাবে স্বার্থপরতার লক্ষণ। সমাজ এরকম মানুষের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পুঁজিবাদী সমাজে ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়নি বরং মানুষ কোনও একটি সম্পর্কের বদলে একাধিক সম্পর্কের সন্ধান করেছে। মূলত যেখানে নিজেদের পরস্পরকে পরিতৃপ্ত করেছে। কিন্তু যে মুহূর্তে মনে হয়েছে নিজেদেরকে সেই ভাবে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। দেরি না করে দু’জনেই সরে আসছেন নিজেদের থেকে। এই সরে আসার মধ্যে দু’জনের কেউ আর অপরাধবোধে ভোগে না। সমাজতাত্ত্বিকদের মতে, এখন আমরা আর দীঘির জলের মতো শান্ত অথচ একতরফা আবেদনে ভরপুর সম্পর্কের কথা শুধু ভাবি না। বরং তা না ভেবে পরস্পরের অনুভূতিকে অনুভব করা অর্থাৎ সম্পর্কের মধ্যে যে দুটি মানুষের সমান ভূমিকা আছে যা অনেক তরল এবং পরস্পরের সম্মতিসূচক। তাকেই সম্পর্কের সমার্থক মনে করছি। এ ভাবে দু’জন মানুষের ভালোবাসা নিবেদনকে অনেকেই স্বার্থপর বলে দেখবেন। কেউ কেউ বলবেন, এই অপরাধ বোধ না হওয়া মানেই কেউ একজন অসুস্থ হয়ে গেলে অন্য জন যদি বলে আমি অসুস্থ মানুষকে ভালোবাসতে পারছি না, আমার আর কিছু করার নেই। আমি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। এটি সম্পূর্ণভাবে স্বার্থপরতার লক্ষণ। সমাজ এরকম মানুষের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন:
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৬: নাগদেবী কাহন ও দ্বিমুখী লড়াই
ডায়াবিটিস বাগে আনতে কোন প্রোটিন খেতেই হবে, আর কী কী এড়াতেই হবে?
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৬: বাড়িতে ঢুকে জুতো মজা দস্তানা খুলে প্রথমেই দেখলাম ‘ফ্রস্টবাইট’ হয়ে গিয়েছে কিনা!
আবার একদল মানুষ বলবেন, ভালোবাসার দোহাই দিয়ে আসলে এই পরিষেবা পাওয়ার কথা বলে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ। অসুস্থ হলে হসপিটাল আছে, নার্স আছে, এখন টাকা দিলে আয়া আছে, অর্থাৎ অসুস্থ হলে সারিয়ে তোলার জন্য সমাজ চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করে রেখেছে। আরও একটু বিষয়টা নিয়ে ভাবলে আমরা দেখব যে, সবসময় যে সুখস্মৃতি বারে বারে তুলে আনি, আমাদের ছোটবেলাতে মা, কিংবা ঠাকুমা বা দিদিমা আমাদের অসুখ হলে জলপট্টি দিতেন। কিন্তু বাবা, ঠাকুরদার কথা কখনওই উঠে আসে না। অর্থাৎ বাবা, ঠাকুরদা সেরকম ভালোবাসেন না তাই সেবা শুশ্রূষা করেন না? সবাই বলে উঠবেন না না তা নয়—কোমল হাতের নরম পরশ বাড়িতে থাকা মায়েরাই দিতে পারেন, বাবারা তো কাজে ব্যস্ত, তারা বাড়ির বাইরেই আছেন সারাদিন। তাই মায়েদের রপ্ত করতে হয়েছে এই কোমল পরশ নিজেদের উজাড় করা ভালোবাসা দিয়ে।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৩: মোর সাধের বাসরে ঘটল ‘গৃহ প্রবেশ’
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-৬: প্রকৃতি নিয়ে পর্যটন
পর্দার আড়ালে, পর্ব-২৬: উত্তম কাছে এসে বললেন, “তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি সাবু, এ বার আমায় মাফ করে দে”
কেউ প্রশ্ন করেনি, এই উজাড় করা ভালোবাসার জন্য তাঁদের নিজেদের কী কী ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে। সেই সব মা, বউ, বোনেদের যে লেখাপড়া শেষ হয়নি, চাকরি করা হয়নি কিংবা চাকরিতে ক্ষতির স্বীকার করতে হয়েছে। তাই নিয়ে কাউকে দেখলাম না একটু দুঃখ প্রকাশ করতে। বিয়ের পর তাই বউ সেই পরিষেবা দিতে না পারলে বলা হয়নি যে সে পারছে না যখন, নিজেই সেই পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হই, উলটে পাড়া প্রতিবেশীদের দিয়ে বলা হয়েছে সে স্বার্থপর, আর সে দয়াবিহীন, ভালোবাসার মানে জানে না। বিষয়টিকে দেখা হয় এমন ভাবে যেন মহিলারা সারাজীবন ধরে যৌবনবতী থেকে পরিষেবা দিয়ে যাবেন, তারাও যে অসুস্থ হতে পারেন বা মারা যেতে পারেন সেই বিষয়টা নিয়ে আমরা খুব একটা ভাবি না। এখন যদিও কেয়ারিং স্বামী বা বাবার ছবি দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু তা শুধু শহরাঞ্চলেই সীমাবদ্ধ। আমাদের গ্রাম মফঃস্বলের মেয়েরাই শহরে আয়ার পরিষেবা দিতে যায় আর বাড়ি ফিরে মদ্যপ স্বামীর, ছেলের কাছে মার খায়। ফিরতি ট্রেনে কম্পার্টমেন্টের মেঝেতে বসে সেই আঘাতের গল্প শেষ হয় এই বলে যে বর— ছেলের রাগ কমুক তারপর একদিন ঝাল ঝাল মাংস রান্না করব। এটাই কি সমাজ প্রত্যাশিত ভালোবাসা?
আরও পড়ুন:
ডায়েট ফটাফট: সব খাবারের সেরা সুপারফুড কিনোয়া খান, ওজন কমান
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫১: বিয়েশাদির ঠাকুরবাড়ি
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-৭: ঈশ্বরের ভালোবাসার সমুদ্রে ডুব দিলে তবেই ভক্তিরূপ মুক্তো খুঁজে পাওয়া সম্ভব
আমাদের সমাজে সীতা, বেহুলা, সাবিত্রীদের জীবনী অর্থাৎ তাদের পরিবারের জন্য করা স্বার্থত্যাগের গল্প খুব ছোট থেকেই শেখানো হতে থাকে। আসলে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ খুব দায়িত্ব সহকারে এই কাজটি করতে থাকে। কারণ, পিতৃতান্ত্রিক সমাজ বিবাহ নামের প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে চায়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজের মূল কাঠামো দাড়িয়ে আছে ক্ষমতার থাকে নারীকে নীচের সারিতে রেখে। নারীকে ক্ষমতাহীন করার জন্য একটি সামাজিক ব্যবস্থা দরকার। এই প্রতিষ্ঠান খুব সুন্দর ভাবে শারীরিক ও সুবিধে থাকা পুরুষ এবং নারীদের বিয়ের ব্যবস্থা করে একদিকে সমাজের কাঠামোর মধ্যে অনাচার যাতে না হয় তার ব্যবস্থা করে। অন্যদিকে সারাজীবনের মতো একজন সমাজে স্বীকৃত অভিভাবকের সংস্থান করে পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোকে বজায় রাখে। এই পর্যন্ত পড়ে সবাই বলবেন, এ তো অত্যন্ত সুন্দর ব্যবস্থা। সবার সুন্দর করে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। ভালোবাসা তো ত্যাগের মধ্যে দিয়েই প্রকাশ পায়। পাপ পুণ্যের হিসেব করে নিতে হবে সবসময়।
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১: একটি ক্লান্তিকর বাসযাত্রা এবং…
মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৫৪: জ্ঞানবৃদ্ধ অষ্টাবক্র জনকের রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি পেলেন?
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-১: চায়ের দোকান থেকে বিশ্বজয়
কিন্তু কখনও এই ধরনের পরিবারগুলিতে থেকে দেখেছেন, কীভাবে তাদের দিন কাটে। বিশেষত যে সব মহিলারা এই ধরনের বিয়ে করে সারা জীবনের জন্য পরিষেবা দেওয়ার অঙ্গীকার করে তাদের জীবন কোন খাতে বইতে থাকে। তাদের প্রতিদিন কত অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয় প্রমাণ করার জন্য যে তারা নিঃস্বার্থ ভাবে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, প্রতিদানে কিছুই চাইছেন না, সামাজিক স্বীকৃতি ছাড়া। এরা সমাজের শুধু নয়, জগতেরও জননী! এরা ভালোবাসার কখনও না ফুরনো ভাণ্ডার হয়ে রয়ে যাবেন।
পরিশেষে তাই আমার প্রশ্ন থেকে যায় সমাজের কাছে যে, ভালোবাসার দিন উদযাপন করাটাও যেখানে পিতৃতান্ত্রিক সমাজপুষ্ট পুঁজিবাদী সমাজের গভীর ইচ্ছে, সেখানে নারীকে পণ্য করে দিল বলে তর্ক-বিতর্কের মধ্যে নিজেদের ভিতরের বিনে পয়সায় পিতৃতান্ত্রিক সমাজের সেবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে কি কখনও বলেছি— শুধরে নে নিজেকে?
* প্রবন্ধের বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
পরিশেষে তাই আমার প্রশ্ন থেকে যায় সমাজের কাছে যে, ভালোবাসার দিন উদযাপন করাটাও যেখানে পিতৃতান্ত্রিক সমাজপুষ্ট পুঁজিবাদী সমাজের গভীর ইচ্ছে, সেখানে নারীকে পণ্য করে দিল বলে তর্ক-বিতর্কের মধ্যে নিজেদের ভিতরের বিনে পয়সায় পিতৃতান্ত্রিক সমাজের সেবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে কি কখনও বলেছি— শুধরে নে নিজেকে?
* প্রবন্ধের বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
* বৈষম্যের বিরোধ-জবানি (Gender Discourse): নিবেদিতা বায়েন (Nibedita Bayen), অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পি আর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ।