জিনঘটিত কারণেও ডায়াবিটিস বাসা বাঁধতে পারে। এর অর্থ হল, পরিবারে কারও ডায়াবিটিস থাকলে বাড়ির ছোট সদস্যদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই যে পরিবারে বড়রা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সেই পরিবারের ছোটদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন।
ডাক্তারবাবুদের বক্তব্য, আজকাল খাদ্যাভাসের জেরেই ছোটদের মধ্যে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। বাবা-মা এখন খুদের টিফিনে বাড়িতে রান্না করা খাবারের পরিবর্তে প্যাকেটজাত, প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপরেই নির্ভর করছেন। দিনে দিনে শিশুদের মধ্যে চকোলেট, স্যান্ডউইচ, পাস্তা, ইনস্ট্যান্ট নুডল্স, মোমো, চিপ্স, বার্গার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আর রোজ দিনের এই অভ্যাসের জেরেই শিশুদের রক্তে শর্করা মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, বেশিরভাগ শিশুই আজকাল মাঠে খেলাধুলো করে না। মাঠে খেলার বদলে অবসরে তারা ঘরে বসে ভিডিয়ো গেম খেলে। কেউ কেউ আবার ইন্টারনেটেই সময় কাটায়। এই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
খুদের মধ্যে কী কী লক্ষণ দেখলে ডায়াবিটিস বিষয়ে সতর্ক হবেন?
দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হচ্ছে?
● খুদের কি দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে? এর জন্য শুধু টিভি দেখার বা মোবাইল ঘাঁটা নাও হতে পারে। কারণ ডায়াবিটিসে ভুগলেও চোখের সমস্যা দেখা হতে পারে।
বার বার জল তেষ্টা পাচ্ছে?
● বার বার জল তেষ্টা পাওয়াও কিন্তু ডায়াবিটিসেরই অন্যতম একটি লক্ষণ। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে আমাদের জিভে লালার পরিমাণ কমে যায়। তাই বার বার গলা শুকিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস অনেকটা বেড়ে গেলে গলায় জ্বালা, আলসার, সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে।
মাড়ি থেকে রক্ত পড়ছে?
● দাঁত মাজতে গিয়ে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ছে? আপনি ভাবছেন ব্রাশ পরিবর্তনের সময় হয়েছে। কিন্তু ডায়াবিটিসে ভুগলেও মাড়িতে প্রদাহ হয়। এমনকি, মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। তাই সন্তানের মুখের ভিতরে, জিভে ঘা হলে বা জ্বালা করলে বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না। ডায়াবিটিসের জন্যও এমন হতেই পারে। তাই এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
র্যাশ বেরোচ্ছে?
● শরীরে মাঝেমধ্যেই র্যাশ বেরোচ্ছে? দেখছেন গা, হাত এবং পায়ে কালো ছোপ পড়ছে? এমন উপসর্গ নজরে পড়লে সতর্ক হওয়া দরকার।
ঘন ঘন প্রস্রাব করছে?
● ঘন ঘন প্রস্রাব ডায়াবিটিসের একটি লক্ষণ। তাই সন্তান বার বার বাথরুমে গেলে, বুঝতে হবে তার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়েছে।