গরমকালে আমাদের শরীর বেশি পরিমাণ জল চায়। এ সময় যেমন জলীয় পদার্থ খেতে হবে, তেমনি খাদ্য তালিকায়ও জলের আধিক্য থাকা চাই। তাহলেই দেহ থাকবে ঠান্ডা। গ্রীষ্মকালে শরীর সুস্থ রাখার একমাত্র উপায় হল জল। এ সময়ে আমাদের যতটা সম্ভব ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এ সবের বদলে খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফল রাখতে হবে। তবে শুধু ফল খেলেই হবে না, এমন ফলই খেতে হবে যাতে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণের সঙ্গে জলের পরিমাণও বেশি থাকবে। এমন সময় কী কী ফল খাওয়া যেতে পারে, রইল টিপস।
গরমে এই সব ফল পাতে রাখুন
ফুটি
গরমের সেরা ফলগুলির অন্যতম ফুটি। এত প্রায় ৯০ শতাংশই জল থাকে। মিষ্টি গন্ধ। স্বাদে গুণে ভরপুর ফুটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভালো কাজ দেয়। প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। ফুটির বীজ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধির হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
সার্ভিসিং
● শীতকাল বিদায় নিয়েছে। দীর্ঘদিন এসি ব্যবহার হয়নি। তাই গরমে এসি ব্যবহার করার আগে ভালো করে সার্ভিসিং করিয়ে নিন। মনে রাখবেন, খরচের ভয়ে সার্ভিসিং এড়ানো মানে প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল চড়চড়িয়ে বাড়বে।
এসি-র ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন
● একটানা দীর্ঘদিন এসি ব্যবহার করার ফলে এসি-র ফিল্টারে প্রচুর ময়লা জমে যায়। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হলে অবশ্যই কিছু দিন অন্তর ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। সব থেকে ভালো দু’ সপ্তাহ অন্তর ফিল্টার পরিষ্কার করে নেওয়া।
টাইমার ব্যবহার করুন
● এই উপায়টি খুবই কার্যকরী। ঘুমোনোর সময়ে এসি-তে টাইমার সেট করে দিন। এতে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘর ভালোই ঠান্ডা হয়ে যায়। তার পর এসি বন্ধ করে দিলে আর সমস্যা হয় না। কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার পরে গভীর ঘুমে এসি বন্ধ করা হয় না। ফলে এসি রাতভর চলতেই থাকে। তাই টাইমার ব্যবহার করা ভালো। দু থেকে আড়াই ঘণ্টার টাইমার সেট করে দিলে নির্দিষ্ট সময়ের পর এসি আপনাআপনিই বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বিদ্যুৎ ও অর্থ—আপনার দুই-ই সাশ্রয় হবে।
পর্দা লাগান
● যে ঘরে এসি রয়েছে, সেই ঘরকে যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। কারণ ঘরের তাপমাত্রা বেশি হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ঘর ঠান্ডা করতে তত বেশি সময় লাগবে। অর্থাৎ দীর্ঘক্ষণ এসি চালাতে হবে। ফলে বিলও বাড়তে থাকবে। সব থেকে ভালো ওই ঘরে মোটা পর্দা লাগিয়ে নিন। এতে বাইরের গরম হাওয়া ও আলো ঘরে অনেকটা কম ধুকবে। আর এসি-ও দ্রুত ঘর ঠান্ডা করে দেবে।