আমপ্রেমীরা সারা বছর ধরে গ্রীষ্মকালের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায় থাকেন। বাজারে আম উঠলেই ফজলি, হিমসাগরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখন থাকে বাজার-ফেরত বাঙালির ব্যাগে নানা ধরনের আম। কিন্তু ইউরিক অ্যাসিডে ভুগলে কি আম খাওয়া যায়? আমের সঙ্গে ডায়াবিটিসের একটা সম্পর্ক আছে। ডায়াবিটিসে ভুগলে বুঝেশুনে আম খেতে হয়, এ কথা কমবেশি অনেকেই জানেন। তবে ইউরিক অ্যাসিড যাঁদের বেশি, তাঁরা আম খেলে সমস্যা আরও বাড়বে কি না, ইতিমধ্যেই এ নিয়ে নানা গবেষণা হয়েছে।
গবেষণা বলছে, ইউরিক অ্যাসিড থাকলেও আম খাওয়ায় কোনও সমস্যা নেই। কারণ আমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার, ভিটামিন সি, কপারের মতো উপাদান। এই সব উপাদানগুলি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে দেয় না। পাশাপাশি আমে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ইউরিক অ্যাসিডের কারণে হওয়া পায়ের গাঁটে গাঁটে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু আম খাওয়ায় কোনও সমস্যা নেই বলে, রোজ না খাওয়াই ভালো। কারণ, আমে থাকা উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ, ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে।
এমনিতে চিকিৎসকেরা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে বেশি করে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে ফল স্বাস্থ্যকর হলেও, সব ফল আবার ইউরিক অ্যাসিডে ভুগলে খেতে পারবেন না। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে কোনগুলি খেতে পারবেন?
নাসপাতি
● নাসপাতিতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। তাই নাসপাতি ডায়াবেটিক ডায়েটে অবশ্যই রাখা উচিত। তবে শুধু ডায়াবিটিস কেন, ইউরিক অ্যাসিড থাকলেও নাসপাতি খেতে কোনও বাধা নেই। ফ্রুট স্যালাড বানালে তাতেও নাসপাতি রাখা যেতে পারে।
কিউয়ি
● কিউয়ি রয়েছে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি উপাদান। যাঁদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি এই ফল খেতেই পারেন। কিউয়ির গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীরাও রোজের খাবারে কিউয়ি রাখতেই পারেন।
বেরি
● কলকাতায় আবার সব ধরনের বেরি খুব একটা পাওয়া যায় না। তবে অনেকের হয়তো জানা নেই, ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে জাম খুবই উপকারী। জামে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। পাশাপাশি স্ট্রবেরিও খাওয়া যেতে পারেন। চেরি পাওয়াই যায়। ব্লু বেরি ড্রাই ফ্রুট হিসেবেই খেতে পারেন। তবে নিশ্চিত হতে হবে, তাতে অতিরিক্ত চিনি মেশানো রয়েছে কি না।