ছবি: প্রতীকী।
রোজদিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চায় আমাদের হৃদ্স্পন্দনের গতি বেড়ে যায়। তবে কেউ কেউ মনে করেন, হৃদ্স্পন্দনের হার বেড়ে গেলে আমাদের রক্তের চাপও সমানে বাড়ে। যদিও হালের গবেষণা বলছে, ‘প্ল্যাঙ্ক’ এবং ‘ওয়াল সিট’-এর মতো ব্যায়াম আমদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ সাহায্য করে।
ক্যান্টারবারি ক্রাইস্ট চার্চ অ্যান্ড লাইসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের এই গবেষণাপত্রটি ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোটর্স মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, হরেক রকম ব্যায়ামের বিভিন্ন ধরন আমাদের রক্তচাপ কমাতে পারে। তবে ‘প্ল্যাঙ্ক’ বা ‘ওয়াল সিট’-এর মতো ‘আইসোমেট্রিক এক্সারসাইজ’ আবার রক্তচাপের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। প্রায় দ্বিগুণ।
আরও পড়ুন:
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৮: চরম শত্রুর সঙ্গেও মতের মিল হলে বন্ধুত্ব হয়, আবার মতের মিল না হলেই শত্রুতা
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৬: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—ছাগল ক্ষুরি ও ধানি ঘাস
এ প্রসঙ্গে ‘ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস’ আবার বলছে, প্রতি সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন কমপক্ষে ১৫০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাঁটা বা সাইকেল চালানোর মতো শারীরচর্চা করলে তা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষকদের সমীক্ষায় ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাঁদের রক্তচাপ তুলনামূলক ভাবে কমই। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন ‘আইসোমেট্রিক’ ব্যায়াম খুব কার্যকরী সে বিষয়ে জানিয়েছেন গবেষক এবং ক্যান্টারবারি ক্রাইস্ট চার্চ অ্যান্ড লাইসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জ্যামি ওডিসক্রল।
আরও পড়ুন:
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৯: ভারতের বিপ্লবী মেয়েরা এবং অন্তরে রবীন্দ্রনাথ
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫২: পুলক রাখিতে নারি (কেল)
জ্যামি ওডিসক্রলের কথায়, “এই ধরনের শরীরচর্চা আমাদের দেহের পেশির সঞ্চালনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। পেশি সঞ্চালন দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকা রক্তজালিকার উপর ভীষণ প্রভাব ফেলে। ফলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। তাই সপ্তাহে তিন দিন ১২০ সেকেন্ড অর্থাৎ দু’মিনিট করে ‘ওয়াল সিট’-এর মতো শরীরচর্চার অভ্যাস করতে পারলে আমারদের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”