
ছবি: প্রতীকী।
বাসি ভাত ফের ফুটিয়ে খান? এমন অভ্যাস অবশ্য খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। অনেকেই এরকম করেন। বহুল পরিচিত ঘটনা হল, অনেকেই ফ্রিজে রাখা ভাত মাইক্রোঅয়েভে গরম করেও খান। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমাদের এই অভ্যাস কি স্বাস্থ্যকর? এর ফলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় কি?
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন। তাঁদের কাথায়, বাসি ভাত খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বাসি ভাত খাওয়ার জন্য বিষক্রিয়াও হতে পারে বলে গবেষকদের মত। এই বিষয়ে গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে ‘মাইক্রোবিয়াল প্যাথোজেনেসিস’ নামে একটি জার্নালে। এ প্রসঙ্গে গবেষকদের মত, এক দিনের বেশি রেখে দেওয়া ভাত খাওয়া নিরাপদ নয়। কারণ এতে ব্যাসিলাস সিরিয়াস নামে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। এই ব্যাসিলাস সিরিয়া থেকে আমাদের পেটে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। আর একে বলা হয় ‘ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোম’।
আরও পড়ুন:

পাহাড়ের উপর ছবির মতো সুন্দর শ্রবণবেলাগোলা— চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের এক অজানা অধ্যায়

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৯৩: মা সারদার সঙ্গে সরলাদেবীর কাশীভ্রমণ
গবেষকেরা এও জানিয়েছেন, নতুন রান্না করা ভাত চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা রাখা যাবে না। কেন? কারণ চার ঘণ্টার বেশি সময় ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভাত ফেল রাখলে এতে ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে শুরু করে। মুশকিল হল, এই ব্যাক্টেরিয়া উচ্চ তাপমাত্রাতেও নষ্ট হয় না। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে, সেই ভাত ফের জলে ফোটালে বা মাইক্রোঅয়েভে গরম করলেও সেই ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট হবে না। গবেষকদের কাথায়, দিনের পর দিন এমন ভাত খেলে পেটের গোলমাল হতে বাধ্য।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৬: পরাগপাখি

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১১১: বিপদ যখন আসে
ফ্রিজে রাখা ভাতও সুরক্ষিত নয়, যদি না তা সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করা হয়। রান্না করা ভাত গরম অবস্থায় ঢেকে রাখলে বা ফ্রিজে ঢোকালে তাতে ব্যাক্টেরিয়া জন্মাবে। তাই ভাত আগে ঠান্ডা করে নিতে হবে, তার পর বায়ুরোধী পাত্রে রেখে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। গরম করার সময়ে মাইক্রোঅয়েভের পাত্রে নিয়ে মুখ ঢাকা দিয়ে গরম করতে হবে। গরম করার আগে ভাতের উপর কিছুটা জল ছড়িয়ে নিতে হবে। ভাত এই ভাবে গরম করলে আর ভয় থাকবে না।