আপনি কি চুলের বাড়তি যত্নে হেয়ার মাস্ক লাগাচ্ছেন? কিন্তু ব্যবহারের নিয়ম জানেন তো

এই গরম আর এই ঠান্ডাতে আমাদের চুলের নানা রকম সমস্যা এসে উপস্থিত হয়। তাই শুধু শ্যাম্পু-কন্ডিশনার লাগালেই চলে না। চুলের একটু বাড়তি যত্ন নেওয়ার জন্য অনেকেই হেয়ার মাস্ক লাগানোর চেষ্টা করেন। এটি হতে পারে বাড়িতে তৈরি প্রাকৃতির উপাদানের হেয়ার মাস্ক হোক কিংবা বাজার থেকে কেনা কোনও ভালো ব্র্যান্ডের হেয়ার মাস্ক। স্বাস্থ্য বজায় রেখে চুল আরও মোলায়েম করার জন্য হেয়ার মাস্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেটা ব্যবহার করার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি না জানা থাকলে চুলের উন্নতি হবার থেকে বেশি ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

 

নোংরা চুলে লাগাবেন না

● কাজের চাপে অনেক দিন ধরে হয়তো শ্যাম্পু করা হয়নি। তাতে মাথার তালু ধুলোময়লা জমে চিটচিট করছে। তার উপরেই যদি হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে নেন, তা হলে কোনও লাভই হবে না। তাই আগে মাথা পরিষ্কার করুন তারপর মাথায় মাস্ক লাগান।

 

সমান ভাবে লাগান

● মাস্ক লাগানোর পর সেটা সব চুলে যাতে সমান ভাবে লাগান যায়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। তাই মাস্ক লাগানো হয়ে গেলে একটা মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালো করে চুল আঁচড়ে নিন। তাহলে সেটি গোটা চুলে ভালো করে ছড়িয়ে যাবে।
 

কী ধরনের মাস্ক

● শুষ্ক চুলে দই মধুর মাস্ক লাগাতে পারেন। আবার খুশকি থাকলে প্রয়োজন লেবুর রস আর মুলতানি মাটির মাস্ক ও খুবই কার্যকরী। আপনি কোন কাজের জন্য মাস্ক লাগাচ্ছেন, সেটা বুঝে উপকরণ বেছে নিন। আর যদি বাজার থেকে কিনে মাস্ক লাগাতে চান তাহলে কেনার সময়ে দেখে নিন কোন মাস্ক কোন ধরনের চুলের জন্য কার্যকর।

 

সারা রাত নয়

● অনেকে মনে করেন, মাথায় তেল লাগিয়ে সারা রাত শুলে চুল বেশি ভালো হবে। তেমনই কেউ কেউ ভাবেন, মাস্ক লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিলে চুল বেশি নরম হবে। কিন্তু তা বাস্তবে নয়। তেল মাসাজ করার কয়েক ঘণ্টা পর যেমন শ্যাম্পু করে নিতে হয়। তেমনই মাস্ক লাগনোর ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারেন। বেশি ক্ষণ রাখলে বরং চুলের ক্ষতি হয়ে যায়।
 

সপ্তাহে দু’বার

● তবে রোজ মাস্ক লাগাবেন না। বরং তাতে চুল অনেক বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়তে পারে। সপ্তাহে দু’দিন মাস্ক লাগানোই যথেষ্ট।