বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

পেশাগত কারণেও অনেককে সারা রাত জেগে কাজ করতে হয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর্মী বা বহুজাতিক সংস্থায় যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা নিয়মিত রাত জেগে থাকতে বাধ্য হন। আমরা হয়তো জানি না যে, এক-দু’দিন রাত করে ঘুমোনো আর দিনের পর দিন টানা রাত জাগার মধ্যে অনেক ফারাক আছে। দীর্ঘ সময়ে এই রুটিনে চললে, তাঁর প্রভাব স্বাস্থ্যের উপর পড়বেই। তাই এই সময় খাওয়া-দাওয়ার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে।
হালের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, রাত জেগে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মাঝরাতে রক্তে শর্করার মাত্রা ইঠাৎ বেড়ে যেতে দেখা যায়। ডায়াবিটিস বা হৃদরোগের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত রাত জেগে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সাধারণত স্বাভাবিকভাবেই ওজন বেড়ে যাওয়ারও প্রবণতা তৈরি হয়। ঘুম কম হলে ওজন বাড়াটা যে খুব একটা অস্বাভাবিক বিষয় নয়, তা বহু গবেষণায় অনেক আগে থেকেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। তবে যাঁদের রাত জেগে কাজ করাটা বাধ্যতামূলক, তাঁদেরও সুস্থ থাকার অনেক উপায় রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করলেই শরীরও থাকবে সুস্থ। শুধু কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। সেগুলি কী, জেনে নিন।
আরও পড়ুন:

অসমের আলো অন্ধকার পর্ব ২৫: অসমের বাঙালি ও দেশভাগ

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬৮: আনন্দের নির্বাসন থেকে উত্তরণের উপায়?

 

অবশ্যই মেনে চলুন

 

দিন শুরু হোক রাতের খাবার দিয়েই

যদি রাত জেগে কাজ করাটাই আপনার নিয়মিত রুটিন হয়, তা হলে সন্ধেবেলা ঘুমিয়ে পড়ুন। এরপর ঘুম থেকে উঠেই প্রথমেই রাতের ভারী খাবার খেয়ে নিন। ৭:৩০টা থেকে ৮টার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে ফেলুন। তার বেশি দেরি করবেন না। এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
 

রাতে ভারী খাবার মানা

অনেকেরই রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পর ঘুম পায়। সে ক্ষেত্রে রাতে খাবার হালকা খাবেন। ভাত এবং অনেকটা তরকারি খেতে পারেন। কিংবা গ্রিল করা চিকেনও খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এমন খাবার রাখুন, যাতে বেশি পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে। কারণ প্রোটিন বা ফাইবার বেশি থাকলে পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকে।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫১: জয়রামবাটির যথার্থ রক্ষয়িত্রী

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৮: জ্ঞানদানন্দিনী দেবী—উনিশ শতকের বলিষ্ঠ লেখক এবং সমাজসংস্কারক

 

এক চামচ ঘি

রাত জেগে কাজ করলে শরীর শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। আয়ুর্বেদিক মত বলে, কাজে বেরোনোর আগে এক চা চামচ ঘি খেতে পারলে শরীরের শুষ্কতা দূর হয়ে শরীর তরতাজা থাকে।
 

ভাজাভুজি নৈব নৈব চ

রাতে আমাদের হজমক্ষমতা সে ভাবে সক্রিয় থাকে না। তাই রাতে খুব বেশি ভাজাভুজি খেলে পেট ভার হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া অম্বল হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হবে।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭১: সাইকেল ও জীবন

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৫: কী যে করি করি ভেবে মরি মরি

 

বাদাম-ড্রাই ফ্রুট সঙ্গে রাখুন

রাত জেগে কাজ করলে খিদে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা ওটা না খেয়ে নানা রকম বাদাম আর ড্রাই ফ্রুট দিয়ে পেট ভরাতে পারেন।
 

ক্যাফিন কম খান

ঘুম পেলে ঘন ঘন ব্ল্যাক কফি খান অনেকেই। অনেকে ক্যাফিন দেওয়া নানা রকম পানীয়ও খেয়ে থাকেন। কিন্তু এগুলি শরীরের পক্ষে ক্ষতিই করে বেশি। তাই মাঝরাতে খুব বেশি কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।


Skip to content