রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


সুজন দাশগুপ্ত।

প্রয়াত লেখক সুজন দাশগুপ্ত। বুধবার সকালে একেন চরিত্রের স্রষ্টা সুজনের দেহ পাওয়া যায় তাঁর কলকাতার বাড়ি থেকে। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ।
আমেরিকাবাসী হলেও কয়েক মাস হল সুজন কলকাতাতেই ছিলেন। এ বার বইমেলাতে লেখকের নতুন বই প্রকাশ পাওয়ার কথা ছিল। লেখক ১৯৬৭ সাল থেকে আমেরিকায় থাকেন। তিনি নিউ জার্সির বসিন্দা। প্রায় ৫০ বছর ধরে আমেরিকাতেই থাকতেন। প্রয়াত একেন চরিত্রের স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্ত। বুধবার সকালে লেখকের কলকাতার বাড়ি থেকে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তাঁর কিছু ক্ষণের মধ্যেই। ‘দ্য একেন’ ছবির সাংবাদিক সম্মেলনেও সুজন দাশগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:

বকেয়া কর মেটানোর নোটিস পেলেন ঐশ্বর্যা, নায়িকাকে ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে

বুধবার সকালে লেখকের দেহ উদ্ধার করা হয় তাঁর বাইপাস সংলগ্ন ফ্ল্যাট থেকে। শোনা যাচ্ছে, মঙ্গলবার লেখকের স্ত্রী শান্তিনিকেতনে গিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে পরিচারিকা এসে লেখকের ফ্ল্যাটের দরজার কড়া নাড়ে। কিন্তু সুজন দীর্ঘ ক্ষণ ধরে দরজা না খোলায় ওই পরিচারিকা আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে আনেন। এর পরে ঘটনাস্থলে সুজনের শ্যালক পৌঁছন। তিনি পুলিশকে খবর দেন। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ সুজনের ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ফ্ল্যাটের ভিতর শোওয়ার ঘরের বাথরুমের সামনে মেঝেতে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি লেখকের দেহে। তাঁর দেহ উদ্ধারের পরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লেখক দীর্ঘ দিন সুগার ও প্রেসারের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত কলকাতায় আসছেন পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন:

টুইটার, অ্যামাজন, গুগল, ফেসবুকের পর এ বার মাইক্রোসফট! ১১ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পথে বিল গেটসের সংস্থা

বুধবার সকালে ইএম বাইপাসের ধারের বহুতল আবাসন ‘উদিতা’ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ফ্ল্যাটে তিনি একাই ছিলেন বলে খবর। শোনা যাচ্ছে, মঙ্গলবার লেখকের স্ত্রী শান্তিনিকেতনে গিয়েছেন। বুধবার সকালে পরিচারিকা কলিং বেল বাজান। কিন্তু ভিতর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এর পর দরজা ভাঙতে হয়।
লেখকের মেয়ে সায়ন্তনীও আমেরিকাবাসী। তিনিও লেখিকা। সুজনের স্ত্রীও লেখেন। সুজন ও তাঁর স্ত্রী একেনবাবুর পর আরও এক মহিলা গোয়েন্দা চরিত্র তৈরির কাজে মন দিয়েছিলেন। লেখকের মৃত্যু নিয়ে এখনও পর্যন্ত সুজনের পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Skip to content