বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর, ২০২৪


সুজন দাশগুপ্ত।

‘একেনবাবু’র স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তর মৃত্যুতে শোকাহত বাংলায় সংস্কৃতি জগৎ। বুধবার সকালে সুজনের দেহ পাওয়া যায় তাঁর কলকাতার বাড়ি থেকে। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

সার্ভে পার্ক থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও আজ বিকেল নাগাদ প্রকাশ্যে এসেছে। শোনা যাচ্ছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত তাঁর মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, লেখক দীর্ঘ দিন সুগার ও প্রেসারের সমস্যায় ভুগছিলেন।
কেন এমনটা হল সে সম্পর্কে এখনও কোনও কিছু জানা যায়নি। এবার বইমেলায় প্রবীণ সাহিত্যিকের লেখা ‘একেনবাবু’র ষষ্ঠ খণ্ড প্রকাশিত হওয়ার কথা। সে কারণে কিছুদিন আগেই তিনি নিউ জার্সি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন।
আরও পড়ুন:

ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার একেনবাবুর স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তের দেহ

হৃদরোগের লক্ষণ পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে কিন্তু আলাদা, সতর্ক থাকতে চিনে নিন কার কোন উপসর্গ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার লেখকের স্ত্রী শান্তিনিকেতনে গিয়েছেন। ইএম বাইপাসের ধারের বহুতল আবাসন ‘উদিতা’ ফ্ল্যাটে তিনি একাই ছিলেন। বুধবার সকালে পরিচারিকা এসে লেখকের ফ্ল্যাটের দরজার কড়া নাড়ে। কিন্তু সুজন দীর্ঘ ক্ষণ ধরে দরজা না খোলায় ওই পরিচারিকা আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে আনেন। এর পরে ঘটনাস্থলে সুজনের শ্যালক পৌঁছন। তিনি পুলিশকে খবর দেন।
আরও পড়ুন:

শীতের সন্ধ্যায় অন্য রকমের কিছু চাই? তাহলে সহজে বানিয়ে ফেলুন নারকেলের সিঙারা

অযোধ্যা: প্রাচীন ভারতীয় ধর্ম-সংস্কৃতি সমন্বয়ের প্রাণকেন্দ্র/১

বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ সুজনের ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ফ্ল্যাটের ভিতর শোওয়ার ঘরের বাথরুমের সামনে মেঝেতে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, হৃদরোগের কারণে হঠাৎ করে পড়ে গিয়ে হয়তো তিনি আঘাত পেয়েছিলেন। সে জন্যই হয়তো তাঁর মুখে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে।

Skip to content