রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


মনোজ জানান, ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব! আর তার সঙ্গে প্রয়োজন একটুখানি ‘দুষ্টুবুদ্ধি’।

মনোজ বাজপেয়ী বলিউডের একজন তারকা অভিনেতা। সম্প্রতি তিনি নিজের জীবনের কিছু না জানা ঘটনার কথা বলে অনুরাগীদের চমকে দেন। তাঁর বড় হয়ে ওঠার পাশাপাশি অভিনয় জীবনে আসার ছত্রে ছত্রে রয়েছে টানটান সাহসিক উদাহরণ। সেই সব না জানা কথা যে নবীনদের অনুপ্রাণিত করবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
মনোজ বাজপেয়ী তাঁর ছবি ‘সির্ফ এক বান্দা কাফি হ্যায়’-এর প্রচারে এসেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে অভিনেতা জানালেন, সামান্য একদিক ওদিক হলেই তিনি চিকিৎসক হয়ে যেতেন! অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন। তিনি অভিনেতা হতে পারতেন না, যদি না ইচ্ছাকৃত ভাবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের উত্তরে ভুল দাগ দিয়ে আসতেন।
আরও পড়ুন:

ওয়েব সিরিজ দেখার নেশায় ঘুমের সময় কমে গিয়েছে? কী ভাবে কাটাবেন আসক্তি

এই প্রথম কোনও ভারতীয় ছবি রিমেক হবে কোরিয়ায়! অভিনয়ে ‘প্যারাসাইট’-এর নায়ক সং ক্যাং হো

মনোজের কথায়, সিনেমা দেখলেই তাঁর মা ভীষণ মারধর করতেন। সে কারণে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নের কথা তিনি বাড়িতে জানাতে পারেননি। তিনি কী ভাবে এলেন অভিনয় পেশায়? মনোজ জানান, ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব! আর তার সঙ্গে প্রয়োজন একটুখানি ‘দুষ্টুবুদ্ধি’।

বাবা-মার সঙ্গে কথা বলে মনোজ বুঝেছিলেন, শহরে যাওয়া অথবা সিনেমায় অভিনয় করা—তাঁর বাড়িতে একথা কারও মাথায় আনাই সম্ভব নয়। তাঁর পরিবারে সিনেমাজগৎ নিয়ে কোনও ইতিবাচক ধারণাই ছিল না। সে কারণে তাঁর অভিনয়ের ইচ্ছার কথা আর বলে উঠতে পারেনি। তাঁর কথায়, ‘বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় যাচ্ছি’ বলে তিনি সিনেমা দেখতে যেতেন।
আরও পড়ুন:

স্বাদে-আহ্লাদে: তপ্ত দিনে প্রাণ জুড়োতে বন্ধুদের জন্য বানিয়ে ফেলুন আমপান্না

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১৫: আর্য কোথায়?

মনোজের বাবা চেয়েছিলেন ছেলে বড় হয়ে চিকিৎসক হন। বাবার ইচ্ছা মতো তিনি ডাক্তারির পড়াশোনাও শুরু করেছিলেন। কিন্তু প্রবেশিকা পরীক্ষার সময় তিনি ভয় পেয়েছিলেন বলে তিনি জানান। অভিনেতার বক্তব্য, “প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে দেখলাম সব উত্তর জানা। কিন্তু মুশকিল হল ঠিক উত্তর লিখলে তো ডাক্তার হয়ে যাব যে! তা কি করে সম্ভব। তাই অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম মুখ লুকিয়ে উত্তরগুলিতে টিক মেরে দিয়ে দেব। শেষ পর্যন্ত আমি তাই-ই করেছিলাম। আর তা না করলে তো আমার অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নপূরণ হতোই না কোনও দিন।”

Skip to content