‘মহারানি সিজন-১' ছবি একটি দৃশ্যে হুমা কুরেশি।
মহারানি: সিজন ১
প্রযোজনা: নরেন কুমার, ডিম্পল খারবান্দা
সৃজন: সুভাষ কাপুর
কাহিনি: সুভাস কাপুর
চিত্রনাট্য ও সংলাপ: সুভাষ কাপুস, নন্দন সিং, উমাশঙ্কর সিং
পরিচালনা: করণ শর্মা
অভিনয়: হুমা কুরেশি, সোহম শাহ, অমিত শিয়াল, বিনীত কুমার, কনিক সরুতি, অনুজা শাঠে এনামুল্লাহ প্রমুখ
ওটিটি রিলিজ: সোনি লিভ
পর্ব: ১০
রেটিং: ৮.৫/১০
নব্বই দশকের বিহার। লালু প্রসাদের জেলযাত্রা এবং গৃহস্থালিতে ব্যস্ত রাবড়ি দেবীর রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ —মহারানি, সিজন: ১ এর গল্পের বীজ এখান থেকে নেওয়া। কিন্তু কাহিনিকার সুভাষ কাপুর চেনার সূত্র থেকে গল্প নিয়ে কল্পনার ছোঁয়া দিয়ে তাকে অচেনা আকর্ষণীয় এবং উত্তেজনায় ভরে দিয়েছেন। নাম ভূমিকায় হুমা কুরেশি অনবদ্য অভিনয় করেছেন।
জাতপাতের জটিল সমীকরণ, সামন্ততান্ত্রিক প্রথা, দুর্নীতি ও ব্যক্তিগত লোভ আকাঙ্ক্ষা সবকিছু নিয়ে অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য একটি ওয়েব সিরিজ মহারানি সিজন ১। যেকোনও কাহিনি মানুষের মনে স্থান করে নেওয়ার জন্য গল্পের চরিত্র ও গল্পের পটভূমি বিশেষভাবে দর্শকের মনে গেঁথে দেওয়া উচিত। একটা সময় সিনেমার দর্শককে খুব বোকা মনে করা হতো। আর সিনেমাকে মনে করা হতো স্বপ্ন বিক্রির উপকরণ। তাই সেই সময়কার সিনেমায় বাস্তবতা কম থাকতো কল্পনায় মোড়া অসম্ভবকে সম্ভব করার গল্প বলা হতো।
ঘরের ভিতর মানে স্টুডিও আর ঘরের বাইরেটা ঝাঁ চকচকে অন্য কোথা অন্য কোনখানে থেকে এনে জুড়ে দিয়ে হাঁস আর সজারু মিলিয়ে হাঁসজারু। তখন চরিত্রদের মধ্যে উচ্চগ্রামের অভিনয়, ঝকঝকে পয়সা ফেলা সংলাপ, আকর্ষণীয় উত্তেজক নাচ-গান— এসব জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। দর্শক ওইসবে বেশ অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এর সঙ্গে সঙ্গে সমান্তরাল সিনেমা বা বিষয়ভিত্তিক সিনেমার প্রচলন হল। যে ছবি ব্যবসায়িক আনুকূল্য লাভ না করলেও দেশে-বিদেশে উচ্চ প্রশংসিত হতো এবং পুরস্কার পেতো।