কোটা ফ্যাক্টরি।
কোটা ফ্যাক্টরি
গল্পের খোঁজে জীবনের নানান স্তরে ঝাঁপ দিয়েছেন নির্মাতারা। এ ভাবেই ইউপিএসসি-তে সুযোগ পাওয়ার লড়াই নিয়ে সিরিজ হয়েছে, ঠিক তেমন ভাবেই আইআইটি’র লড়াই নিয়ে সিরিজ ‘কোটা ফ্যাক্টরি’। এপ্রিল ২০১৯ এ শুরু হয় সিজন-১, সেপ্টেম্বর ২০২১ এ সিজন-২, আর এই জুন মাসের দিন কয়েক আগে মুক্তি পেল কোটা ফ্যাক্টরি সিজন-৩ ।
নামকরণ থেকে সাদাকালোয় সিরিজের বিন্যাস চরিত্রায়ণ টাইটেলে কারখানার সাইরেন-সহ উঁচু উঁচু চিমনির ছবি প্রতি পর্বের প্রথম অংশের ঝলকের পরের দৃশ্যে যাওয়ার সময় কোটা ফ্যাক্টরি টাইটেলের পিছনে ফটোকপি মেশিন-এর অনবরত গতানুগতিক কাগজ ছেপে যাওয়ার শব্দ সবকিছুর মধ্যে একটা অন্য স্বাতন্ত্র্য আছে, যা আর কোনও অন্য সিরিজের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় না। চিত্রভাবনার এই স্বকীয়তা এই সিরিজে অন্য প্রেম অন্য হিংসা অন্য ভালোলাগা অন্য সাফল্যের গল্প বলার তাগিদকে স্পষ্ট করেছে। এই ছাত্রছাত্রীরা জীবনের মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করে, তাই তাদের জীবন বর্ণহীন। সাদাকালো।
ওটিটি যে শুধু, প্রভাব প্রতিপত্তি পরিচিতি বা ঘনিষ্ঠতার কারণে এতদিন কাজ পেতে থাকা গতানুগতিক নায়কনায়িকা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে তা নয়, একই কারণে পুরনো বাংলা প্রেমের ছবির ছিপি-বোতল বদলে এতদিন ক্রমাগত ছবি করতে থাকা মিডিয়ার আলোয় আলোকিত একসময়ের ‘সফল’ একক বা জোটবদ্ধ চিত্রনির্মাতারা জোট ভেঙ্গে এখন সরকারি বা বেসরকারি নানান কাজের ফিকির খুঁজে বেড়াচ্ছেন কিংবা সিরিজ বা সিরিয়ালে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই করছেন। কারণ ওটিটির এই বদলে যাওয়া মানসিকতার দর্শকই আবার সময় পেলে সিঙ্গল স্ক্রিন বা মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে ছবি দেখেন। রিমোট ঘুরিয়ে সারা ভারত এবং পৃথিবীতে এই মুহূর্তে তৈরি হওয়া ছবি এবং সিরিজ দেখতে পাওয়ার সুফল এবং কুফল সমানভাবে বাজারে প্রতিফলিত হচ্ছে।
মুভি রিভিউ: পঞ্চায়েত সিজিন-১ এবং ২ এক অন্য স্বাদের নেশা ধরাবে
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬৮: আনন্দের নির্বাসন থেকে উত্তরণের উপায়?
হাতে হাতে মোবাইল ক্যামেরা থাকার জন্য কোথায় কি হচ্ছে সেটা এখন খুব দ্রুত সকলের কাছে স্পষ্ট। এটা যেমন ভালো দিক, তেমনি ক্ষতির দিকটা হল আগের থেকে প্রযোজক এখন অনেক বেশি সাবধানী। তাঁরা এখন সচেতনভাবেই প্রকৃত যোগ্যতা আর কন্টেন্ট বা বিষয়বস্তুকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলত, একসময়ে ছবির পর ছবি করতে থাকা নিম্ন ও মধ্য মেধার কাহিনিকার-পরিচালকেরা এখন আর কাজ পাচ্ছেন না। গল্প খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ তারা কখনই নতুন কিছু সৃষ্টির কথা ভাবেননি।
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫২: দেশহিতৈষী মা সারদা
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৮: জ্ঞানদানন্দিনী দেবী—উনিশ শতকের বলিষ্ঠ লেখক এবং সমাজসংস্কারক
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১: টলস্টয় ও সোফিয়া—প্রেম ও বিবাহ/১
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৫: কী যে করি করি ভেবে মরি মরি
একইভাবে নিতিন বিজয় আইআইটি, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি এরপর কোটাতে নানান কোচিং সেন্টারে ফিজিক্স পড়াতেন। তারপর নিজস্ব কোচিং সেন্টার মোশান এডুকেশন। এই সিরিজে রয়েছে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অস্তিত্ব। তিনি বিনোদ কুমার বনশল। ১৯৮৩ সালে মানে ৪১ বছর আগে তিনিই কোটার বন্সল কোচিং-এর মাধ্যামে আইআইটি কোচিং-কে বিখ্যাত করে তোলেন। পেশিজনিত রোগে তাঁর গোটা শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে।এই সিরিজে তার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটিও রয়েছে।