পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করল স্ট্রিট আর্ট ফেস্টিভ্যাল ‘রংমশাল’। ‘এ বং পজেটিভ’ নাট্য দলের সদস্যরা মিলে এই স্ট্রিট আর্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেন। প্রতি বছরের মতো এবছরও বার্ষিকী উপলক্ষে ‘রংমশাল’ উৎসব চলবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই উৎসব চলবে।
চারদিন ব্যাপী এই উৎসবে বাংলার প্রায় লুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাচীন ‘আর্ট ফর্ম’গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। পুতুল নাচ, ছৌ নাচ, কলকেপাতারি, বহুরূপী শিল্প, সাঁওতাল নাচ, পল্লী গান, পথ নাটক, পটের গান সহ লোকশিল্পকে এই উৎসবে প্রদর্শন করে থাকেন চিত্র শিল্পী ও হস্তশিল্পীরা। কলকাতার বুকে এরকম একটি উৎসব আমজনতার নজর কেড়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রংমশালের সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী মানসী সিনহা ও সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা, অভিনেতা জয় সেনগুপ্ত, প্রযোজক অঙ্কিত দাস ও শুভঙ্কর মিত্র। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন সুভাষ বেরা।
‘আ বং পজেটিভ’ নাট্যদলের সম্পাদক সুরজিৎবাবু জানান, ‘আমাদের নাটকের দলের নাম ‘সিমলা এ বং পজিটিভ’। সিমলা নাম দেওয়ার অর্থ— নর্থ কলকাতার সিমলা পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিল আমাদের এই নাট্যদল, এক চিলেকোঠার ঘরে। কয়েকজন ছেলেমেয়ে মিলে আর অনেক অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই নাট্যদল গড়ে তুলেছি আমরা। ২৭ জুলাই ২০১৬ শুরু হয় আমাদের পথ চলা। প্রথমে পথনাটক নিয়ে কাজ হয়। তারপর বেশ কিছু ‘প্রসেনিয়াম’ করেছি। তার মধ্যে রয়েছে— অচিন পাখি, দোসর, বাকি এক, হালুম, ঈশ্বর ও তুমি প্রভৃতি নাটক। নাট্যদলের পাশাপাশি আমাদের ‘চতুর্দিক’ নামে পত্রিকাও রয়েছে। ২০১৭ সালে আমাদের ভাবনায় আসে, নাট্যদল মানেই নাট্য উৎসব ঠিক, কিন্তু আমরা বিভিন্ন আর্টফর্ম নিয়েও কাজ করব। মূলত বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া শিল্পকে খোঁজাই আমাদের কাজ। সেই থেকেই আমরা স্ট্রিট আর্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করি।’
পরিচালক বাপ্পা বলেন, ‘কলকাতার মানুষের চিন্তা ভাবনায় বদল আনতে চাই। তাঁরা ভুলেই গিয়েছেন ভালো কিছু দেখতে। সেই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় এই রংমশাল ফেস্টিভ্যাল। এই নামের প্রধান কারণ বিভিন্ন রঙের শিল্পকলাকে একই ছাদের তলায় নিয়ে আসা। প্রথম দু’বছর কলেজ স্কোয়ারে এই ফেস্টিভ্যাল হয়। তারপর হেদুয়া পার্কে এবং বর্তমানে হেদুয়ার পাশের রাস্তায় অর্থাৎ স্কটিশ চার্চ কলেজের ঠিক সামনে ফেস্টিভ্যালটি হয়। এ বছর পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করলো। আমাদের বিশ্বাস, এই ফেস্টিভ্যালের মধ্য দিয়েই আমরা আবার কলকাতার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে পারব। তাই কলকাতার একমাত্র স্ট্রিট আর্ট ফেস্টিভ্যাল রংমশালকে ছড়িয়ে দিতে চাই বিভিন্ন প্রান্তে।’
চারদিন ব্যাপী এই উৎসবে বাংলার প্রায় লুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাচীন ‘আর্ট ফর্ম’গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। পুতুল নাচ, ছৌ নাচ, কলকেপাতারি, বহুরূপী শিল্প, সাঁওতাল নাচ, পল্লী গান, পথ নাটক, পটের গান সহ লোকশিল্পকে এই উৎসবে প্রদর্শন করে থাকেন চিত্র শিল্পী ও হস্তশিল্পীরা। কলকাতার বুকে এরকম একটি উৎসব আমজনতার নজর কেড়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রংমশালের সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী মানসী সিনহা ও সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা, অভিনেতা জয় সেনগুপ্ত, প্রযোজক অঙ্কিত দাস ও শুভঙ্কর মিত্র। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন সুভাষ বেরা।
‘আ বং পজেটিভ’ নাট্যদলের সম্পাদক সুরজিৎবাবু জানান, ‘আমাদের নাটকের দলের নাম ‘সিমলা এ বং পজিটিভ’। সিমলা নাম দেওয়ার অর্থ— নর্থ কলকাতার সিমলা পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিল আমাদের এই নাট্যদল, এক চিলেকোঠার ঘরে। কয়েকজন ছেলেমেয়ে মিলে আর অনেক অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই নাট্যদল গড়ে তুলেছি আমরা। ২৭ জুলাই ২০১৬ শুরু হয় আমাদের পথ চলা। প্রথমে পথনাটক নিয়ে কাজ হয়। তারপর বেশ কিছু ‘প্রসেনিয়াম’ করেছি। তার মধ্যে রয়েছে— অচিন পাখি, দোসর, বাকি এক, হালুম, ঈশ্বর ও তুমি প্রভৃতি নাটক। নাট্যদলের পাশাপাশি আমাদের ‘চতুর্দিক’ নামে পত্রিকাও রয়েছে। ২০১৭ সালে আমাদের ভাবনায় আসে, নাট্যদল মানেই নাট্য উৎসব ঠিক, কিন্তু আমরা বিভিন্ন আর্টফর্ম নিয়েও কাজ করব। মূলত বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া শিল্পকে খোঁজাই আমাদের কাজ। সেই থেকেই আমরা স্ট্রিট আর্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করি।’
পরিচালক বাপ্পা বলেন, ‘কলকাতার মানুষের চিন্তা ভাবনায় বদল আনতে চাই। তাঁরা ভুলেই গিয়েছেন ভালো কিছু দেখতে। সেই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় এই রংমশাল ফেস্টিভ্যাল। এই নামের প্রধান কারণ বিভিন্ন রঙের শিল্পকলাকে একই ছাদের তলায় নিয়ে আসা। প্রথম দু’বছর কলেজ স্কোয়ারে এই ফেস্টিভ্যাল হয়। তারপর হেদুয়া পার্কে এবং বর্তমানে হেদুয়ার পাশের রাস্তায় অর্থাৎ স্কটিশ চার্চ কলেজের ঠিক সামনে ফেস্টিভ্যালটি হয়। এ বছর পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করলো। আমাদের বিশ্বাস, এই ফেস্টিভ্যালের মধ্য দিয়েই আমরা আবার কলকাতার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে পারব। তাই কলকাতার একমাত্র স্ট্রিট আর্ট ফেস্টিভ্যাল রংমশালকে ছড়িয়ে দিতে চাই বিভিন্ন প্রান্তে।’