বিদিশার মা মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন। ঘন ঘন মূর্ছা যাচ্ছেন। মেয়েকে হারিয়ে কথা বন্ধ বাবার। সাধারণত গলায় ফাঁস দিলে জিব এবং চোখ বেরিয়ে আসে। এ ক্ষেত্রে বিদিশার চোখ বন্ধই ছিল। পাশাপাশি, মুখে কাপড় গোঁজা থাকায় চিৎকার শোনা যায়নি। জিবও বেরিয়ে আসেনি। গলায় ফাঁস দিলে অনেক সময় প্রস্রাবে পরনের পোশাকও নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু গাঢ় রঙের ট্রাউজার পরে থাকায় সেটিও বোঝা সম্ভব হয়নি। নাক থেকে তরল পদার্থ বেরিয়ে জমাট বেঁধে ঝুলছে। তাঁর দেহ যখন নামিয়ে আনা হয় তখন সাদা কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর চোখ বন্ধ ছিল। মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। মৃত্যুযন্ত্রণার কাতরানি যাতে কেউ শুনতে না পান তাই হয়তো তিনি এই উপায় বেছে নিয়েছিলেন। বিদিশার ফ্ল্যাটমেট দিশানীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে আসতে সারা দিন লেগে গেল কেন? এর উত্তরে তিনি জানান, বিদিশার কাজ না থাকলে তিনি সাধারণত দেরি করেই উঠতেন। তাই বন্ধ দরজা দেখে দিশানী ভেবেছিলেন যে বিদিশা ঘুমোচ্ছেন। অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বারবার ডেকে সাড়া না পাওয়ায় দিশানী দরজা খুলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। দিশাহারা দিশানী প্রথমে ফোন করেন বিদিশার মডেল বান্ধবীকে। যিনি বিদিশাকে এই ফ্ল্যাটের হদিস দিয়েছিলেন। এরপর স্থানীয় থানায়, এবং মৃতার পরিবারের কাছে ফোন করা হয়।