প্রয়াত পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী।
পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী প্রয়াত। সন্দীপের আরও একটি পরিচয় হল তিনি জনপ্রিয় পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর পুত্র। মৃত্যুকালে পরিচালকের বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর হঠাৎ প্রয়াণে অঞ্জনের দুই মেয়ে অর্থাত সন্দীপের দুই দিদি চুমকি আর রিনা ভেঙে পড়েছেন। শোকস্তব্ধ পুরো পরিবার।
সন্দীপ চৌধুরী গত ১৭ ডিসেম্বর শুটিং ফ্লোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁকে চিকিৎসার জন্য ইকবালপুরের একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি দীর্ঘ দিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি ছিল। ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্দীপ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন:
প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন, ভুগছিলেন ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ায়
ববিতার নিয়োগ বাতিল চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ অনামিকা! দাবি, তাঁকে দেওয়া হোক চাকরি
ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি বাবু নামেই পরিচিত ছিলেন। পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী জানান, ‘এর চেয়ে আর খারাপ খবর কিছু হতে পারে না। ছোটবেলায় আমার কোলে ঘুরত। আমাদের কোলেই ও বড় হয়েছে। খুবই কম বয়সে। এই বয়সে এই মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’ অভিনেতা জয়জিৎ চৌধুরী ফেসবুকে লেখেন, ‘সন্দীপ চৌধুরী,, বাবু … উফ,..,, এটা কথা ছিলো না ভাই…’। অভিনেতা সপ্তর্ষি রায় লেখেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে আরও একটা ভদ্র মানুষ কমে গেল..’।
আরও পড়ুন:
বছরের শুরুতে জমিয়ে শীতের আমেজ, আরও তাপমাত্রার পতন হবে, আর কী জানাল হাওয়া দফতর
বেহালার বাড়িতেই স্ত্রী বিদিশা চৌধুরীকে নিয়ে সন্দীপ থাকতেন। সন্দীপ মেগা সিরিয়াল ‘এরাও শত্রু’-র পরিচালক ছিলেন। তিনি টলিপাড়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত ছিলেন। ‘জি বাংলা’, সান বাংলা-সহ একাধিক চ্যানেলেই কাজ করেছেন। সদ্য শেষ হওয়া ধারাবাহিক ‘উড়ন তুবড়ি’-র সৃজনশীল পরিচালক ছিলেন সন্দীপ। সংলাপের দায়িত্ব ছিলেন ‘কন্যাদান’ ধারাবাহিকের। ‘যুগান্তর’, ‘দত্ত বাড়ির ছোট বউ’, ‘বিবি চৌধুরাণী’ তাঁরই পরিচালিত ধারাবাহিক। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে ‘বিদ্রোহিনী’ মুক্তি পায় ২০১৯ সালে। শুধু পরিচালনাই নয়। তাঁর বাবা চলে যাওয়ার পর প্রযোজনা সংস্থাও তিনি সামলেছেন। তাঁর নিজস্ব অ্যাক্টিং স্কুলও আছে। এ সবের পাশাপাশি কিছু ধারাবাহিকে কাজের কথা চলছিল পরিচালকের। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া টলিউডে।