বড় পর্দায় অন্য ভূমিকায় শ্রীলেখা।
শ্রীলেখা মিত্র ছবির প্রস্তাব অনেক পান, কিন্তু একটিও তাঁর মনের মতো হয় না। তিনি সবসময় যা নিয়ে মত প্রকাশ করেন, তাতেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে কোনওভাবেই তিনি তাঁর আদর্শ ছেড়ে এতটুকুও সরে যান না। অবশেষে পেলেন মনের মতো ভূমিকা। তথাগত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘পারিয়া’তে অন্য রূপে দেখা যাবে শ্রীলেখাকে।
পথকুকুরদের পাশে থেকে তাদের হয়ে নিরন্তর লড়ে যান যে শ্রীলেখা, তাঁকেই দেখা যাবে এই ছবিতে, এক বিশেষ ভূমিকায়। তথাগতর কথায়, মূল চরিত্রে বিক্রম চট্টোপাধ্যায় যদি ডার্ক নাইট হন, তবে হোয়াইট নাইট হবেন শ্রীলেখা। ‘পারিয়া’ বলতে পথকুকুরদের বোঝানো হচ্ছে। তাদেরই মতো নামগোত্রহীন, নির্বাসিত ছবির মূল চরিত্র, যে ভূমিকায় অভিনয় করছেন বিক্রম। তাঁকে ছবিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে দেখা যাবে অন্ধকারে, নির্মম ভাবে। পথকুকুরদের সঙ্গে কোনও রকম অন্যায় বরদাস্ত করবেন না তিনি। ঠিক একই রকম চরিত্রে দেখা যাবে শ্রীলেখাকে। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন মাধ্যমে আইনি পথে। সরকারি এনজিও চালান তিনি। সারমেয়দের অধিকার নিয়ে লড়ে চলেন দিবারাত্রি। এর বেশি আর কিছুই বলতে রাজি নন পরিচালক বা অভিনেত্রী কেউই।
আরও পড়ুন:
ডগা ফেটে যাওয়ায় চুল বাড়ছে না? লেবু ও কারিপাতা তেলই হবে বাজিমাত
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৪: মন তোর শক্তিই ‘মন্ত্রশক্তি’
‘পারিয়া’-র মতো ছবি করার কথা কেন ভাবলেন পরিচালক? তথাগতর কথায়, এটি আমার একেবারে ব্যক্তিগত প্রতিশোধের এক ছবি বলা যেতে পারে। ছোট থেকে মানুষের পাশাপাশি জীবজন্তুদের সঙ্গেও আমি বেড়ে উঠেছি। মানুষের থেকে জীবজন্তুকে কখনও আলাদা করে দেখিনি। এখন কলকাতায় পথকুকুরদের নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, চেষ্টা করি তাঁদের পাশে থাকতে। প্রতিদিনই দেখি মানুষ নিজের বিনোদন বা শৌখিনতার জন্য পশুপাখিদের কষ্ট দিচ্ছেন। সেই সব মানুষকে দেশের আইন যথাযথ শাস্তি দিতে পারে না। ১৯৫০ সালের এক অতি পুরনো আইনই এখনও অন্ধ ভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। এই ছবি সেই আইনের বিরুদ্ধে একটি বলতে পারেন। সেই সঙ্গে আমি নিষ্ঠুর মানুষের মনে ভয় ধরাতে চাই।”
ভয় ধরাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, ছড়িয়ে পড়ছে নিরবে, কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শিশুকে যত্নে রাখবেন?
স্বাদে-আহ্লাদে: সকালে জলখাবারে থাক নতুনত্ব, বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু পালক পনির পরোটা
শ্রীলেখাকে এই ছবিতে দেখা যাবে এক জন নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মীর কর্মীর ভূমিকায়। রাস্তার কুকুরদের নিয়ে তাঁর অনেক ভাবনাচিন্তা। এই চরিত্রের জন্য শ্রীলেখার কথা কেন ভাবলেন তথাগত? পরিচালকের বক্তব্য, “ব্যক্তিগত জীবনেও কুকুর বা প্রাণীর প্রতি শ্রীলেখাদির যে সংবেদনশীলতা, তা থেকে মনে হয়েছে এই চরিত্রটি তিনি ভালো মতো কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। বাস্তব জীবনেও কুকুরপ্রেমের জন্য নানা সমস্যার মুখমুখি হয়েছেন তিনি। তাঁকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। এই চরিত্রের জন্য সাহস দরকার, যেটা শ্রীলেখাদির রয়েছে। অভিনেত্রীর কথায়, পারিয়া অবশ্যই হবে। দর্শকদেরকেও দেখতে হবে।”